৪ দিন হল শাহবাগ চত্বর প্রজন্ম চত্বরে পরিণত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় ছিলাম, সে যেন এক প্রাণের মেলা, তারুণ্যের জাগরণ। একটা দল, নাম নেই, ব্যানার নেই, কিছু তরুণ তরুণীর স্লোগান আছে শুধু। পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম, আমাকে দলে ডেকে নিল। শুরু করলাম তাদের সাথে স্লোগান দেয়া।
ক-তে কাদের মোল্লা, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার
গ-তে গোলাম আজম, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার
৪১ বছর ধরে একটা বাড়িতে ছিলাম!
নতুন বাড়িতে উঠে সবকিছু মানিয়ে নিতে, ঘরটাকে সাজাতে ও নানা ঝামেলায় ঘর কখনো পরিষ্কার করা হয়নি।
কিন্তু এখন আর এই বাড়িতে শ্বাস নেয়া যাচ্ছে না- কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন-মনোক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস ও রোগ-জীবাণু তে ঘরে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
ঘরের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
সব কাজ-গোসল-রান্নাবান্না-ঘুমানো-বাথরুম করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
"খুলনার মানুষ পৃথিবীর সবচাইতে শান্তিপ্রিয় আলসে জাতি।এরা বিক্ষোভ,আন্দোলন,মারামারি কিছুর ভিতরেই নাই"
যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার প্রতিবাদে মানুষ যেদিন শাহবাগে জড়ো হতে শুরু করে,এইটা সেদিন রাত বারোটায় দেয়া আমার একটা স্ট্যাটাস আপডেট।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে অগণিত মানুষ দিন-রাত সময় কাটাচ্ছেন শাহবাগের মোড়ে। তাঁরা পথে থাকবেন, সত্যিকার রায় নিয়ে বাড়ি ফিরবেন। জীবনের তাগিদে দূরে বসবাস করলেও আমরা আত্মিক ভাবে তাঁদের পাশে আছি।
প্রশ্ন হলো, আমরা কি কিছুই করতে পারি না? পারি। খুবই জরুরী একটি কাজ করতে পারি। এই কাজটি দেশের মানুষগুলোর পক্ষে করা দুষ্কর, কিন্তু আমাদের জন্য সহজ।
জামায়াত-শিবির ও মুসলিম বিশ্বের নিরলস প্রচারণার ফলাফল হিসাবে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে যাচ্ছেতাই সংবাদ প্রচার করছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে বিভিন্ন ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আপনারা যাঁরা সশরীরে শাহবাগে যেতে পারছেন না, তাঁরা অনুগ্রহ করে নিচের তালিকা দেখুন, চেষ্টা করুন কিছুটা সময় খরচ করতে।
০৫-০২-২০১৩
কিংকর্তব্যবিমূঢ়
হ্যাঁ, কালকে রাজাকার কসাই কাদের মোল্লার রায় শোনার পরে এটাই ছিল আমার মানসিক অবস্থা। কতক্ষণ এদিক ওদিক করলাম, ইন্টারনেট এ খবরগুলো একে একে দেখলাম, পরে বাসায় টিকতে না পেরে গেলাম বইমেলা। সেখানে একা একাই ঘুর ঘুর করছিলাম, দেখা হয়ে গেল সুহান এর সাথে। সেই একই আলোচনা, কি হলো এটা!! এরপরে রাতে হিমুদার থেকে সংগ্রহ করা রায়ের কপি পড়ে কাটলো। রায় দেখে, যুক্তি দেখে, কিছুক্ষণ চুপ করে বসে রইলাম।
…
কী বললেন ? চাই না বিচার ?
কে বলেছে ! এ অনাচার !
বিচার তো চাই, কিন্তু তবে…
স্বচ্ছ বিচার হতে হবে,
অমুক আমার ‘মুক্তি’ ছিলেন, দেখেন নিয়ে খোঁজ !
তাই
যা বলি তা ডিরেক্ট বলি
নিরপেক্ষতা মেনেই চলি
মানবতার পক্ষে আমি, জানাচ্ছি হররোজ !
কাদের মোল্লার রায়ে বিচারের নামে প্রহসন করায় আওয়ামী লীগের সমালোচনা করায় অনেকে নাখোশ। মূল সুর একটাই -- আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করছেন কেন, এটা তো আদালতের এখতিয়ার?