একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি, কাদের মোল্লার বিচারের রায়ে সরকার অথবা সরকারী দলের কিছু করার নেই। কখনো ছিলও না। বাংলাদেশের আইন-আদালতের উপর সরকারের কোন প্রভাব নেই। কেবল সরকার বলে নয়, এই রায়ে কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, দল অথবা সংগঠনের কারোরই কোন প্রভাব নেই। সুতরাং আমরা যারা বিচারের রায়ে খুশি নই, তারা যেন মনে রাখি, সরকার এই বিচারের রায় বদলাতে পারে না। তারা এই বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের তাদের সদিচ্ছা দেখিয়েছে মাত্র। কিন্তু বিচারের রায় কী হবে, কে অপরাধী অথবা কে অপরাধী নয় সেই বিষয়ে সরকার (অথবা অন্য কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী) কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। এই সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র স্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের।
স্বাধীনতার বিরোধিতা করার পরেও উগ্র মৌলবাদী ধর্মভিত্তিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামী এই দেশে রাজনীতি করে। এই রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ হওয়ার পরেও কেবল সাধারণের ধর্মীয় অনুভূতি, ধর্মের প্রসঙ্গে মানুষের দূর্বলতাকে পূঁজি করে রাজনীতির মাঠে টিকে থাকে এই দল। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পরিকল্পণা করে অগনিত বুদ্ধিজীবি হত্যাকারী সংগঠন ছাত্র শিবির (তৎকালীন 'ইসলামী ছাত্র সংঘ') এই দলেরই অংগসংগঠন। কিন্তু ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার ইতিহাস নিয়েও ধর্মভিত্তিক উগ্র মৌলবাদী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের ছাত্রসংগঠন শিবির কীভাবে একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে রাজনীতি করছে সেই প্রসঙ্গে এই লেখাটি নয়।
ধরে নেই, কোন অজানা কারণে জামায়াতে ইসলামী এবং ছাত্রশিবিরের রাজনীতি এই দেশে সিদ্ধ। সেই হিসেবে,গণতান্ত্রিক দাবী আদায়ের লক্ষ্যে তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, মিছিল, প্রতিবাদও সিদ্ধ এবং গ্রহনযোগ্য। কোন রাজনৈতিক দলের অংশ না হয়ে সাধারণের জন্যেও এসব গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু সেই গণতান্ত্রিক অধিকারের সীমা কতটুকু?
জে আলফেলডারের হিসাবমতে ২০১৩ তে সেনা অভ্যূত্থানের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। জে আলফেলডার আমাদের অনেকের কাছে অচেনা নাম হলেও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। ২০১২ সালে বাঘা বাঘা রাজনৈতিক বিশ্লেষককে অবাক করে দিয়ে মালি এবং গিনি বিসাউ এ সেনা অভ্যুত্থানের ব্যাপারে তার ভবিষ্যতবানী বাস্তবে রূপ নেয়।সেবার বাংলাদেশও তার তালিকায় ছিল। এবং ২০১২ সালেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি ক্যু এর প্রচেষ্টা নস্যাৎ ক
আমরা কোন দিকে যাচ্ছি, এ প্রশ্ন করাই যেতে পারে। তবে তা বহুল ব্যাবহারে এত বেশি জীর্ন আর সেকেলে হয়ে উঠেছে যে,একে আর প্রশ্ন মনে হয় না ইদানিং। বরং এটি আক্ষেপ বা এরকম আর কিছু যা অনুদ্দিষ্ট ছুড়ে দিয়ে আমরা নিজের মত করে যাপন করতে পারব আমাদের তথাকথিত জীবন। মানে এক ধরনের পলায়ন আর কি। তথাকথিত মানে সেই নটা- পাঁচটা,খবরের কাগজ, চায়ের দোকানে দেশোদ্ধার, খাতা-কলম, জলছাপ মারা ময়লা অথবা নতুন নোট, গোনা- গুনতি, সন্ধ্যায় অথবা রাতে রিমোটের ভ্রমন, টক শো দেখে দ্বয়িত্ব পালন, একান্তে ক্ষরণ ইত্যাদি।
মহামূল্যবান এইসব কাজ আর তার চলমানতার ফাঁকে কখনো কখনো আমরা হাসি, গান গাই, নাচিও কেউ কেউ, ফুঁশেও উঠি মাঝে মাঝে যখন এড়ানো যায় না আর কিছুতেই। ফুঁশে ওঠাটা অস্বাভাবিকতা। তাই আমরা খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হয়ে যাই আবার। নিজস্ব বৃত্তায়নে নিজেকে দেখি আর তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলি মাঝে মাঝে। এই ফাঁকে কারা কারা বিপন্ন হলো তার দায়তো আমাদের নয়। কাজ সেরে ফেরার পথে কে অপহৃত হয়ে শোধ করলো একা একা লৈঙ্গিক দায় আমরা জানার প্রয়োজন বোধ করি না। হ্যাঁ লৈঙ্গিক দায়, মানে প্রচলিত অর্থে যাকে ধর্ষণ হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে। যদিও বাংলা একাডেমির অভিধান ঘেঁটে অর্থ পাওয়া গেল, অত্যাচার বা নিপিড়ন। একমাত্র নারীর ক্ষেত্রেই এই শব্দটি দিয়ে লৈঙ্গিক অত্যাচার বিষয়টিকে বোঝায়। শব্দার্থ পর্যালোচনা এই লেখার দায় নয়।
২০১২ সালের এইচ.এস.সি.
যতদূর মনে আছে, পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর কাজের সাথে আমার পরিচয় তার "ব্যাচেলর" চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে। তখন সবে আমি কলেজের প্রথম বর্ষে। সেটি তরুনদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়, অনেক সংলাপ তখন আমাদের মুখে মুখে, গানগুলোও মন্দ ছিলনা। হঠাৎ জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা ফারুকী এর পরে অনেক কাজ করেছেন। বিশেষ করে টিভি নাটকে। সেগুলোর অধিকাংশ আমার দেখার সৌভাগ্য হয়নি। তবে দেখা না হলেও, লোকমুখে শোনার সৌভাগ্য হয়েছে সেগুলোর না
[justify]মাঝে মাঝেই বাড়ীতে আব্বার কাছে ফোন করে ঘ্যান ঘ্যান করি,ডাক্তার হবনা। আসলে এই আক্ষেপটা এমনি এমনি তো আর আসেনা,সারাক্ষন পরীক্ষা, ক্লাস, ওয়ার্ড সবকিছু নিয়ে ত্যাক্ত-বিরক্ত এই আমি। তার উপর মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে মনের ভিতর সারাক্ষন একটা আশংকা ,এই বুঝি কোন অপরাধ করে ফেললাম, কোন স্যারের চোখে পড়ে গেলাম-তাহলে তো সাড়ে সর্বনাশ ,আর পাস করা লাগবেনা কোন প্রফে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কর্তৃক জনাব আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে ঘোষিত সর্বপ্রথম রায়কে স্বাগত জানাচ্ছে। জনাব আযাদ জামায়াতে ইসলামীর একজন সাবেক নেতা, যিনি ১৯৭১ সালে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও গণহত্যা সংঘটনের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে বিচারের মুখোমুখি হয়েছিলেন।