এই স্বল্প জানার পরিধি নিয়েও এমন একটা লেখা ফেঁদে বসার কথা আমার নয়। কিন্তু গত কালকের একটা ঘটনা মনে হলো একটু আলোচনায় আনতে পারলে অন্তত কে কি ভাবছে সেটা জেনেও নিজের দুর্বলতা কিছুটা দূর হবে। লেখাটিকে কেউ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করবেন না আশা করি।
বর্তমান সরকার তৃতীয় বছর পার করে চতুর্থ বছরে পদার্পণের দিন বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলে নানা বিশ্লেষণ ও মতামত প্রকাশিত হয়েছে। এসব আলোচনা থেকে অন্তত একটি বিষয় পরিষ্কার- সরকার যেসব সেক্টরে সফলতার পরিচয় দিয়েছে, শিক্ষা তার মধ্যে অন্যতম। একটি জাতীয় দৈনিকের দেশব্যাপী পরিচালিত মতামত জরিপ থেকেও একই চিত্র উঠে এসেছে। দেশের মানুষ সরকারের তিন বছরে অনেক কর্মকাণ্ডে বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করলেও কিছু কি
এই লেখা আমাদের লেখার কথা ছিলো না।
এই লেখায় ঈশানের আসবার কথা ছিলো না। কথা ছিলো আমাদের মতোই ঘরে বসে সে নববর্ষে উদযাপন করবে, বুয়েটের স্যারদের মতই তারও পরিবার আছে।
বন্ধুমহলে পরিচিত মুখ ঈশানের কৃতিত্ব কিন্তু এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। কম্পিউটার সায়েন্স পড়ুয়া তৌসিফ আহমেদ ঈশান একজন সৃজনশীল প্রোগ্রামারও বটে।
মুক্ত মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার কুৎসিত আভিলাসটি নানামহল থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই আমাদের সামনে আসছিল। এলজিআরডি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম-এর সাম্প্রতিক বক্তব্য আমরা পড়েছি। তিনি বলেছেন নিজেদের ক্রেডিবিলিটি ধরে রাখতে ব্লগগুলো মনিটর করুন। এটা যে শুরুর ইঙ্গিত ছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সেই শুরুটাকে আরো অনেকেই যুক্তি(!) এবং উৎসাহ দিয়ে এগিয়ে নিতে চাইছেন। কেন চাইছেন সে বিষয়টি ব্লগেই স্পষ্ট করেছেন সচলায়তনের সহব্লগার হিমু ভাই।
[justify]
মহিউদ্দিন আহমদ ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে দৈনিক প্রথম আলোতে “টিপাইমুখ বাঁধ তৈরি করা কেন জরুরি” শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। বলতে দ্বিধা নেই তথ্যগত ও ভাষাগত বিচারে নিবন্ধটিকে আমার অত্যন্ত একপেশে মনে হয়েছে। আমি এই নিবন্ধে তার বক্তব্যের অযৌক্তিক দিকগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষার বাংলা (আবশ্যিক) প্রশ্নপত্রের একটি প্রশ্ন--
১০। বাংলায় অনুবাদ কর ঃ-
খোমাখাতার এক বন্ধুর স্ট্যাটাসে নিচের সতর্কবাণীটি দেখলাম।
“এই মুহূর্তে ঢাকায় যারা অবস্থান করছেন, কাজে বা ঘুরতে বের হয়েছেন, সবাই একটু সাবধানে চলাফেরা করুন। পুরো ঢাকাতেই জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে ব্যাপক বোমাবাজি এবং ভাঙচুর করছে। মতিঝিলে এরই মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন। ”
[justify]গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ গওহর রিজভী সম্প্রতি The Daily Star এ "Tipaimukh: A plea for rational and scientific discussion" শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। তার এই নিবন্ধ দৈনিক প্রথম আলোতে "টিপাইমুখঃ যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক আলোচনার অনুরোধ" শিরোনামে বাংলায় অনূদিত হয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখেনা যে ডঃ রিজভীর এই নিবন্ধ তার সম্প্রতি ভারত সফরের অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা।উল্লেখ্য যে, টিপাইমুখ নিয়ে সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক আলোচনার নিমিত্তে ডঃ গওহর রিজভী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আরেক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান দিল্লী সফর করেন। সেখান থেকে ফিরে এসে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন যে, বরাক নদীর ওপর টিপাইমুখে বাঁধ হলেও তাতে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে না এবং তিনি মনে করেন যে টিপাইমুখে বাঁধের কারণে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে বলে যে কথাগুলো উঠেছে, তার সবই ভিত্তিহীন। বলতে দ্বিধা নেই ডঃ রিজভীর এই নিবন্ধ সেই সাংবাদিক সম্মেলনে তার মতামতেরই আনুষ্ঠানিক রূপ। এখানে বলে নেয়া ভাল যে তার এই নিবন্ধের অনেক অংশেই আমার দ্বিমত রয়েছে। শুধু তাই নয় তিনি এই নিবন্ধে পানিসম্পদ কৌশলগত দিক থেকে কিছু ভুল তথ্য দিয়েছেন। আমার এই নিবন্ধে তার লেখার কিছু অসংগতি এবং যেসব বিষয়ে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী মতামত রয়েছে তার ব্যবচ্ছেদ থাকবে।