পড়ুয়াদের ২০১৫, শিরোনামটা দেখেই স্মৃতিতে সদ্য বিগত হয়ে যাওয়া বছরে পড়া বইগুলো একে একে ঝলক দিয়ে উঠলো যেন! ২০১৫, পুরো বছরটাতে আমি সৈয়দ মুজতবা আলী, জাহানারা ইমাম এবং শাহাদুজ্জামানে বিভোর ছিলাম। দেশে বিদেশে-এর মত এমন সরেস রস সাহিত্যে আমি কখনোই আস্বাদন করেনি। অন্যদিকে শাহাদুজ্জামানের ছোট গল্প আমাকে সাহিত্যের নতুন স্বাদ ও ভাবনার দিগন্তে হাটিয়েছে।
এখন দুঃসময়!
দেশ, দেশের বাইরে--সবখানেই।
যে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন 'শান্তির ললিত বাণী শুনাইবে ব্যর্থ পরিহাস'---সেই তিনিই আবার গেয়েছিলেন শান্তির প্রার্থনা সঙ্গীত --'বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি'।
রবীন্দ্রনাথের এই প্রার্থনা হয়ত ছিল ঈশ্বরের প্রতি অথবা হয়ত প্রতিটি মানুষের মনে যে সুকুমার বৃত্তিটুকু বেঁচে থাকে সকল হীনতা-দীনতার মুখে--তার প্রতি।
আমার খুব ভাবতে ইচ্ছে করে হয়ত শেষোক্তটিই সত্যি।
কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের একটা গল্প আছে ‘সাড়ে সাতাশ’। সেখানে তিনি নতুন গল্পের খোজে পুরোনো সাতাশটি গল্পের চরিত্রগুলোকে ডেকে পাঠান। চরিত্রগুলো নিয়ে উনি নদীর পাড়ে গোল-টেবিল বৈঠকে বসেন। ভুলে যাওয়া, ছায়ার মত নিত্য সঙ্গী হয়ে যাওয়া চরিত্র থেকে শুরু করে ডোডো পাখি, কাঁঠাল পাতা কিংবা মাটির ঢেলা, কেউ বাদ যায় না। একটু একটু করে নষ্টালজিয়া নেমে আসে নদীর ঢেউয়ে ঢেউয়ে। তেমনি, সঙ্গীতাঙ্গনে আমারও প্রিয় কিছু চরিত্
এই পর্বে পাঁচটি প্রাথমিক স্ট্রামিং প্যাটার্ন দেখানো হয়েছে নীচের ভিডিওতে। খুব বেসিক এই প্যাটার্ন গুলো পরবর্তীতে অন্যান্য স্ট্রামিং শেখার জন্য কাজে লাগবে। ভিডিওটিতে E মেজর কর্ড ব্যবহার করে স্ট্রামিংগুলো দেখানো হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনে বাম হাত দিয়ে স্ট্রিংগুলো চেপে ধরে স্ট্রামিং প্যাটার্ন প্র্যাকটিস করতে পারেন।
সেবার খুব বন্যা হলো, ১৯৮৮ সাল। বড়’রা সবকিছুতে বেশি বেশি চিন্তা না করতে পারলে খুব সমস্যায় পড়ে যান, ছোটদের চিন্তা করার সময় কোথায়! সারা দেশ বন্যায় তলিয়ে গেল, তলিয়ে গেল প্রায় পুরো ঢাকা শহর; ঢাকা শহরের বড় বড় রাস্তায় নেমে এলো নৌকা, তলিয়ে গেল পাড়া-মহল্লা এবং ছুটি হয়ে গেল স্কুল!
আলসেমি ছুড়ে ফেলে ফেসবুক দূরে ঠেলে গিটার ইশ্কুল নিয়ে আমি আবার চলে এলাম। এতদিন ফিঙ্গার এক্সারসাইজ করলে হাত ঝরঝরে হয়ে যাবার কথা। আর ফাঁকিবাজি করলে আগামী লেসনগুলোতে পস্তাবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। এই পর্বে ব্যাসিক ফিঙ্গার এক্সারসাইজের সাথে আরও কিছু স্পেসাল এক্সারসাইজ থাকবে যেমন- জিগজ্যাগ এক্সারসাইজ, কর্ড ধরার সুবিধার জন্য কিছু স্পেসাল এক্সারসাইজ, অল্টারনেটিভ পিকিং এর জন্য এক্সারসাইজ।
ফিঙ্গার এক্সারসাইজ করতে করতে কার কার আঙুল ব্যাথা হয়ে গেছে আঙুল, থুড়ি হাত তুলুন। জি না, ভাববেন না রেস্টু করতে দিবো। ফিঙ্গার এক্সারসাইজও বাদ হবেনা। আরও বিভিন্ন রকমের এক্সারসাইজ আছে। তবে বিশ্বাস করুন, কিছু বিশেষ ধরণের এক্সারসাইজ আছে যেগুলো প্র্যাকটিস করলে কর্ড ধরতে অনেক বেশি সহজ হবে। খুব সহজেই স্কেল এর প্র্যাকটিস করতে পারবেন। তাই বলি কি একটু কষ্ট হলেও এই এক্সারসাইজগুলো ভালো করে করুন, সবুরে মেওয়া ফলে আর ফিঙ্গার এক্সারসাইজে গিটারে সুর ফলে। তবে, একেবারেই হতাশ করছি না। এই পর্বে বিরক্তিকর ফিঙ্গার এক্সারসাইজের সাথে নতুন কিছুও থাকছে- নোট সার্কেল এবং প্রত্যেকটা তারের বিভিন্ন ফ্রেটের নোটের নামের চার্ট। ওহহো!! তার আগে তো জানানো দরকার গিটার টিউনিং কিভাবে করতে হয়...
গান তোলা শেষ? সানিয়া মুনিয়াদের রেসপন্স কি? কর্ড পরিবর্তনের সময় আঙুল আটকে যাচ্ছে বলে বাঁকা ঠোঁটে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে উঠে চলে গিয়েছে? আপনার হৃদয় ভেঙে খানখান হয়ে গিয়েছে? ঘাবড়াবেন না। এসে গেল আরও কিছু ফিঙ্গার এক্সারসাইজ। যেসব ফিঙ্গার এক্সারসাইজ করলে আপনি পারবেন আটকে যাওয়ামুক্ত কর্ড পরিবর্তনের ক্ষমতা।
কেমন আছেন সবাই? ভালো তো। দেরি হয়ে গেল বলে দুঃখিত। চলুন কাজে লেগে যাই-
এই পর্বে গপ্পগুজব কম। এমনকি আগামী কয়েক পর্বেও তাই। কারণ আগামী বেশ কয়েকটী পর্ব ফিঙ্গার এক্সারসাইজ নিয়েই হবে। যে এক্সারসাইজগুলো আঙুলের জন্য দেয়া হয়েছে, হচ্ছে, হবে তার প্রত্যেকটি-ই গিটার বাজানোর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই লেসনগুলো ঠিকঠাক মতো করলে পরবর্তিতে গিটারের কর্ড ধরতে, লিড বাজাতে সুবিধা হবে। জীবনটা যেহেতু হিন্দি সিনেমা না আর আমি আপনিও শাহরুখ খান না, তাই গিটার হাতে নিয়ে টুং টাং করলেই “তুঝে দেখা