তখন গুগল ছিলোনা, ছিলোনা উইকি। এখনকার মতো কিছু কি ওয়ার্ড লিখে কোথাও কোনো সার্চ দেয়ার ব্যাবস্থা ছিলোনা। ছিলোনা বিনামূল্যে সহজেই কিছু ডাউনলোড করার ব্যাবস্থা। কিন্তু একটা জিনিশ ছিলো আর তা হলো মনের মধ্যে সঙ্গীতের প্রতি ভয়াবহ ভালোবাসা আর আকর্ষন। হ্যাঁ, আমি সেই ৯০ দশকের দিকের কথা বলছি, যখন আমাদের ওয়েস্টার্ণ মিউজকের সমস্ত ক্ষুধা মেটানোর দায়িত্ব একা কাঁধে নিয়েছিলেন রেইনবো’র কবীর ভাই। টিফিনের টাকা, বাজার থে
যখন সেভেন এইটে পড়ি ফিডব্যাকের বঙ্গাব্দ ১৪০০ অ্যালবামটি বের হয়। ভারি চমৎকার কভার, ভাঁজ খুলে দেখা যায় প্রতিটি গানের লাইন আর সাথে পাতাজোড়া ব্যান্ড সদস্যদের ছবি। ক্যাসেটের দাম ছিল তখন চল্লিশ টাকা, একসাথে অত টাকা বের করা সহজ ছিল না। যাহোক কোনভাবে কিনে শুনার পরে মাথা ঘুরে গিয়েছিল, আরে এমন গান তো শুনিনি। এরকম গানের আগে কবিতার লাইন? কোথাও রোমাঞ্চ নেই, খাঁটি করুণ বাস্তবতা, এবং এই বাংলাদেশেরই কথা? অথবা মনে পড়ে তোমায় গানটির শেষ লাইনে “...এবং এক মিনিট নিরবতায়” কথাটির সাথে টিকটক টিকটক শব্দ? নাহ আরো কিছু গান শুনতে হচ্ছে।
দেশ, খুঁটি, মাটি। খুব অদ্ভুত রকম শক্তিশালী এক ধারনা। দেশ ছেড়ে দূরে সরে যাওয়া যায়, দেশের সাথে সকল সংস্রব ত্যাগ করা যায়, শুধু যায় না দেশের সাথে জড়িয়ে থাকা অস্তিত্বটুকু অস্বীকার করা। যত দূর পথ হাঁটি না কেন, যত উচ্চতায় আরোহণ করি না কেন, শিকড় তো আমাদের ছোট্ট দেশেই পড়ে আছে। বিদেশে এসে এই বোধটুকু প্রায় সবার মাঝেই অনেক গভীর হয়। বিশেষ করে আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবজনক অধ্যায়গুলো এলে।
চট্টগ্রামের বিখ্যাত কবিয়াল রমেশ শীলের কথা অনেকেই হয়ত জানেন। আঠেরোশ শতকে জন্ম নেয়া এই স্বভাব-কবি অজস্র গানের জন্ম দিয়েছেন। মাইজভান্ডারির গান তার হাত ধরে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। শুধু কি তাই? তদানিন্তন সমাজ-ব্যবস্থা, গ্রাম-বাংলার রূপ-বৈচিত্র্য, অর্থনৈতিক সঙ্কট হতে শুরু করে স্বদেশী আন্দোলন, আমাদের ভাষা আন্দোলন সবকিছুই তার কাব্যে গানে স্থান পেয়েছিল।
শহীদ দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গান।
সচল নিঘাত তিথি, কনফুসিয়াস ও হিমু গানটির প্রথমাংশ ধারণ করে আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন।
ছয় দশক আগে মাতৃভাষার জন্যে বন্দুকের সামনে বুক পেতে দেয়া বীর মানুষগুলোর প্রতি আমাদের আভূমিনত শ্রদ্ধা জানাই। কামনা করি, তাঁদের সেই সাহস, অনমনীয় সংকল্প আমাদের সবার মাঝে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সঞ্চারিত হোক।
বিনোদনের সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল সঙ্গীত। একটা সময় সমাজের কতগুলো নির্দিষ্ট শ্রেণীতে সীমিত ভাবে আবদ্ধ থাকলেও প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমান সময়ে সঙ্গীত হয়ে উঠেছে সব বয়সী সব শ্রেণীর মানুষের বিনোদনের প্রথম ও প্রধান মাধ্যম। সঙ্গীতের গঠন, যন্ত্রব্যবহার, প্রকাশ ও উপস্থাপনরীতি দেশ, কাল এবং ভাষা ভেদে ভিন্ন হলেও সঙ্গীতের ভাব ও আবেগ মানুষের হৃদয়কোণে অনুপ্রবেশ করতে পারে খুব সহজেই। আর তাই শিক্ষিত,
বহুদিন পর একটা গান নিয়ে হাজির হলাম।
এইটা একটা রবীন্দ্রসঙ্গীত। পূজা পর্যায়ের গান।
সবারই খুব চেনা গান---'আমার হৃদয় তোমার হাতের দোলে'।
সবার চেনা গান গাইবার বিপদ অনেক।
এত বিখ্যাতজন এই গান এত ভাল করে গেয়েছেন যে নতুন করে এই গানে তেমন কিছুই করা সম্ভব নয়।
তারপরও গাওয়া।
ইউএসবি আর ফ্রি ডাউনলোডের যুগে টাকা দিয়ে সিডি কিনে গান শোনাকে অনেকে পাগলামো বলবেন,বা আদিখ্যেতাও বলতে পারেন! কিন্তু আমি এই পাগলামি বলেন,বা আদিখ্যেতা,এই কাজটা করে বেশ মজা পাই! কয়েকদিন আগে যেমন কিনে আনলাম জয় শাহরিয়ারের নতুন অ্যালবাম "এখনই..."।গত কোরবানির ঈদে অ্যালবামটি বাজারে আসার খবর শুনেই বেশ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম। বাজারে আসার কয়েকদিন পরেই কিনে ফেললাম...।
ভূপেন বাবু,
আমি নিশ্চিত জানি, এ চিঠি আপনি কখনোই পাবেননা। সেখানেই চলে গেলেন আপনি, যেখানে গেলে কোন চিঠি কেউ পায় না কোনদিন। তবুও, আমার সবসময়ের প্রিয় গায়ক, আপনাকে নিয়ে, দু-চার কথা লিখতে ইচ্ছে হল।