তখন আমাদের বাসায় মাত্রই নতুন গান শোনার যন্ত্র আনা হয়েছে, বয়স অল্প, সেটাকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ ছিলনা, তখন সিডির চল ছিলনা, ক্যাসেট চলতো| যন্ত্র তো কেনা হলো, কিন্তু তাকে সরব তো করতে হবে| ক্যাসেট আনা হলো বেশ কিছু| আমি সারাদিন এই বোতাম সেই বোতাম টিপে নানা কারিগরী করি| একদিন বাবা নিয়ে আসলেন একটা ক্যাসেট, উপরে লেখা ছিলো "আমি এক যাযাবর"| কৌতূহল বশত সাথে সাথেই চালালাম সেটা, জানিনা হয়তো গায়কের সম্মোহনী সুরেই হোক বা অসাধারণ লাইন গুলোর কারণেই হোক, সেদিন পুরো ১০ টা গানের একটাও বাদ রাখিনি| পর পর শুনেছিলাম, আর অজস্র বার শুনেছিলাম সেই একটা কালজয়ী গান-
১৯৯৫ এ যখন ক্লাস থ্রীতে পড়ি। আমার বয়স ৮ হবে হয়ত। গ্রামের একটা স্কুল। হেটে হেটে প্রতিদিন স্কুলে যাই। আমার স্কুলের হেড স্যার ছিলেন খুবই বে-রসিক মানুষ। আমরা কোন ছোট খাটো ভুল করলেও শাস্তির হাত থেকে ক্ষমা পাবার জো নেই। স্যারের শাস্তিগুলিও খুব অদ্ভুত। হয়ত দুপুর টিফিন আওয়ারে তালপাখা দিয়ে স্যারকে বাতাস করতে হবে। এই সময়ে স্যার একটু আরামে ঘুমিয়ে নেবেন (যেহেতু গ্রামের স্কুল, তাই গ্রামে ইলেকট্রিসিটি থাকা সত্ব
প্রাইমারী স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে হাইস্কুলে সবে পা দিয়েছি। যুগের হাওয়া আর ডিশ এন্টেনার কল্যাণে ইংরেজি গানের জগতে আমাদের ভীরু পায়ে অনুপ্রবেশ, শিক্ষক আর অভিভাবকদের রক্তচক্ষু এড়িয়ে সেই তীব্র আকর্ষণময় জগতে সময়ক্ষেপণ বেড়ে চলত সর্বদাই। বন্ধুদের আড্ডায় মাইকেল জ্যাকসন, ফিল কলিন্স, জন বনজোভি, রিচার্ড মার্ক্স, বব মার্লে, জন ডেনভার, জর্জ মাইকেল, লিওনেল রিচি, ব্রায়ান অ্যাডামস, বিটলসদের নিয়ে ঘণ্টার পর
সবকটা জানালা খুলে দাওনা .. ‘জানালা’ খুলে দেবার বিষয়টা আমাদের গদ্যে,পদ্যে বিভিন্নভাবে বলা হয়েছে, বলা হচ্ছে, আরো বলা হবে। কিন্তু এই শব্দগুলো একসাথে শুনলে যে গানের কথা আমাদের মনে পড়ে তার সাথে আমাদের নিরাকার বোধ জড়িত। এই জানলা খুলে দেয়ার সাথে একটা দেশের কতটা আবেগ জড়িত হয়ে যাবে তাকি জানতেন প্রয়াত নজরুল ইসলাম বাবু যখন তিনি অক্ষরে অক্ষরে গেঁথেছিলেন এই অবিনাশী গান; কতটা বুঝেছিলেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল যখন তিনি ভেতরের সবটুকু আবেগ নিয়ে জল ছাপিয়ে যাওয়া দু’চোখে প্রথমবার সুরে গেঁথেছেন, কিংবা সাবিনা ইয়াসমিন, তিনি যখন প্রথম তার কিন্নর কণ্ঠে গানটা তুলেছিলেন। আমাদের ভাগ্য ভালো এখনো এই গানটির ফিউশন করার চেষ্টা কেউ করেনি।
অনেকেই সঙ্গীত ব্যাপারটাকে একটা নেহাতই তামাশা বলে ঠাউরান। নইলে অন্য যেকোন বিষয়ে অনধিকারীগণ অনভিপ্রেত মন্তব্য করলে বিদগ্ধ-সমাজ তেড়ে মারতে যান; কিন্তু গান-বাজনার ব্যাপারে দেখি এক আশ্চর্য গা সওয়া ভাব। এ ব্যাপারে যে কেউ তার বালখিল্য মতামত সুধীসমাজে পেশ করবার অধিকারী!
অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ। অফুরান প্রাণশক্তিতে উদ্দাম, বিপুল হাস্যকৌতুকে উচ্ছল, কথার পিঠে তাৎক্ষণিক কথা বসানোর ক্ষেত্রে বিস্ময়কর পারংগমতায় উজ্জ্বল, সংগীত প্রতিভায় অনন্য, স্মৃতিশক্তিতে অসাধারণ, মুহুর্মুহু প্রেমে পড়ার ক্ষেত্রে অননুকরণীয় প্রেমিক এবং ভোজন ও আড্ডায় অক্লান্ত পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি বলি কাকা। আমার এই কাকা সম্বোধনটায় কোনো আত্মীয়তার কোনো সূত্র নেই। বাংলাদেশে বেশ কিছু কাকা আছে আমার। পীযূষ তাদের অন্যতম।
কতো স্মৃতি এই কাকার সাথে!
অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ। অফুরান প্রাণশক্তিতে উদ্দাম, বিপুল হাস্যকৌতুকে উচ্ছল, কথার পিঠে তাৎক্ষণিক কথা বসানোর ক্ষেত্রে বিস্ময়কর পারংগমতায় উজ্জ্বল, সংগীত প্রতিভায় অনন্য, স্মৃতিশক্তিতে অসাধারণ, মুহুর্মুহু প্রেমে পড়ার ক্ষেত্রে অননুকরণীয় প্রেমিক এবং ভোজন ও আড্ডায় অক্লান্ত পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি বলি কাকা। আমার এই কাকা সম্বোধনটায় কোনো আত্মীয়তার কোনো সূত্র নেই
আশির দশকের একদম শেষ দিকে আমার মামাতো ভাই যাকে আমি ভয়াবহ ভালোবেসে "মাম্মা” বলে ডাকি সেই মিঠু ভাই আমাকে প্রথম শোনান নিলয় দাসের গান। তারপর খালাতো ভাই টুটুল ভাই, মাম্মা, আমি, আমাদের ভাগনা-বেটা তমাল আর তন্ময় সহ আমরা একসাথে হলেই যখন অন্তত একটা গিটার বেজে উঠা শুরু হলো, তখন থেকেই নিলয় দার গান আমাদের গানের ভিড়ে ঠিকই জায়গা খুঁজে নিত।
১. গত ১৭বছরের ইতিহাসে বারমুডায় খতরনাক খরা মৌসুম চলছে। বৃষ্টির দেখা নেই। অভিমানে মেঘ উড়ে উড়ে চলে যায়, বৃষ্টি হয়ে নামে না। উঁচু স্থানে বসবাসকারীদের সকলের পানির ট্যাংক প্রায় শূন্য। চাহিদা মেটাতে পারছেনা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ। গরম অসহ্য। হঠাৎ চারিদিক অন্ধকার করে নেমে এলো বহু প্রতীক্ষিত সেই বৃষ্টি! এক নিমিষে সমস্ত গ্লানি, খেদ সব তাড়িয়ে নিয়ে চলে গেল অতলান্তিক সাগরের গভীরে।
রবীন্দ্রনাথের প্রতি আমার একরকম চাপা ক্ষোভ আছে। কোন বিষয় নিয়ে ভাবলেই দেখা যায়, তিনি আগেই সবচে সুন্দর কথাটিই লিখে ফেলেছেন তা নিয়ে। প্রত্যহের যেকোন আবেগে, যেকোন মুহুর্তে তিনি এসে হাজির হন; অন্য যে কারো আগেই। তাঁর জন্যই হয়তো আমার কখনো লেখক হওয়া হবেনা।