চাকুরীসূত্রীয় এক জেষ্ঠা আপা কোন এক জন্মদিনের উপহার দিয়েছিলেন জন ডেনভারের এই গানটি। একটা ইমেইলে লেখা "শুভ জন্মদিন" আর একটা লিংক। আজো আমাকে ভাবায় গানটার অন্তর্নিহিত অর্থ। বোধহয় বুড়ো হচ্ছি।
মে ১৯৭১-এ প্রকাশিত জন ডেনভারের চতুর্থ আ্যলবামের শিরোনাম ছিল এই গানটি। একই আ্যলবামের "মেঠ পথ" (কান্ট্রি রোড) গান ত দুনিয়াশুদ্ধ সবাই চেনে।
আজকাল প্রায়ই ভাবি
জীবনের সময়গুলো
শেষ করা সব কাজ
কেম ...
বন্ধ চোখের পাতা,
আর পেয়না ভয়,
রাক্ষসেরা নেই,
পালিয়েছে অনেক দুরে আর বাবা আছে কাছে,
মায়াবী,
মায়াবী, মায়াবী,
মায়াবী ছেলে,
ঘুমাতে যাবার আগে,
একটু করো প্রার্থনা,
সবদিন, সবভাবে,
ভাল থেকে আরো ভালভাবে,
মায়াবী,
মায়াবী, মায়াবী,
মায়াবী ছেলে,
বাইরে সমুদ্র বয়ে চলে,
আর আমি প্রতিক্ষা কাতর,
তোমার বড় হবার অপেক্ষায়,
কিন্তু আমাদের দুজনাকেই,
ধৈর্যশীল হতে হবে আরো,
আরো লম্বা পথ দিতে হবে পাড়ি,
আর ততদি ...
অধমের ধর্মাচরণ এক শব্দে বর্ণনা করতে গেলে ‘অপধার্মিক’-এর চেয়ে উপযোগী কিছু খুঁজে পাওয়া যাবে না হয়তো। কালে-ভদ্রে জুম্মায় যাই, ঈদ উপলক্ষে ছাত্রদের আগাম ছুটি দেই; কিন্তু প্রকৃত ধার্মিকের তুলনায় এগুলো গণনায় নেওয়ার মতো না। সেই তুলনায় ২০০৯-এর রমজান মাস বেশ ঘটনাবহুল ছিলো।
মাত্রই পাহাড়ি ভার্জিনিয়া থেকে সাউথ ক্যারোলাইনার ধূসর সমতলে নেমে এসেছি তখন। প্রথম দু’সপ্তাহ ছিলাম বীভৎস রকম ...
গত ২৯শে অগাস্ট ছিল কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রয়ানদিবস। খুব ছোটবেলায় যখন তাঁর সাথে পরিচয় হয়েছিল---সেটা ছিল গ্রামোফোনের মাধ্যমে। বাসায় তাঁর কিছু দীর্ঘশ্রুতি'র(LP:Long play) রেকর্ড ছিল। ছোটবেলার সবকিছু এত বড়(পড়ুন, বুড়ো)বেলায় পরিষ্কার মনে নেই। শুধু দুইটি জিনিস মনে ঝকঝকে হয়ে আছে। একটা রেকর্ডের মলাটে তাঁর বুড়ো বেলার একটা ছবি দেয়া ছিল। সেটা দেখে আমি মেঘের ভীড়ে কেবল তার চেহারা খুঁজে পেতাম। ছোট ...
বেশ কিছু দিন কাজের চাপে এখানে অনিয়মিত ছিলাম। আশা করছি সবাই কুশলেই ছিলেন। আমার একটা নতুন গান নিয়ে এলাম। রবি বুড়োর গান। আমি নিশ্চিত অনেকেই এই গানটা শুনেছেন। গানটা হল---'প্রাঙ্গনে মোর শিরীষ শাখায়'। গানটির রচনাকাল ২৩শে শ্রাবণ,১৩৩৫ বঙ্গাব্দ। শ্রাবণ মাসে রবীন্দ্রনাথের মনে ফাগুন নিয়ে গান কেন এসেছিল, সেইটা আমাকে অনেক দিনই ভাবিয়েছে।
নানান কারণে গানটা আমার প্রিয় হয়ে রয়েছে। তবে সব চাইত ...
বছরদেড়েক আগের কথা। এক বন্ধুকে দেবো বলে জন্মদিনের গান খুঁজছিলাম। নিজের পিসিতে মনমতো কিছু না পেয়ে শ্রী গুগলনাথের শরণাপন্ন হলাম। তিনি যে গানটি খুঁজে দিলেন সেটি শুনতে বেশ, কিন্তু ভাষা বুঝি না। চৈনিকগোত্রের কোনো ভাষা হবে, এটুকু আন্দাজ করতে পারি শুধু। কাল বহুদিন পর আবারো গানটা শোনা হলো। অমনি পুরোনো ভূতটা চেপে বসলো ঘাড়ে। এ গানের মর্মোদ্ধার করতে হবে!
ফাইলের গায়ে মাউসের দক্ষিণাঘাতে ...
এক একটা লেখা পড়ে থেকে থেকে আর দিনের আলোয় আসতে সুযোগ পায় না। এই লেখাটাও সেই রকম। এক এক অনুচ্ছেদ করে লিখে লিখে এগিয়েছে। যে গান নিয়ে লেখা সেও খানিক পুরোনো হয়ে গেছে। তবু পোস্টাতাম, কিন্তু সে গান অনুবাদ করতে গিয়ে দুর্দশার একশেষ। বাণী খটোমটো হলে কাজটা সোজা হয়, কিন্তু সরল হিন্দি অনুবাদ আরও বেশি কঠিন। যাক, সচলের কথা ভেবে লেখা যখন, পোস্ট করে দিলাম। তৎপর অনুবাদক কেউ থাকলে গানের বাকিটা করে দি...
কত কিছুই তো লিখবো ঠিক করেছিলাম। আমার মায়ের কথা, আমাদের অজস্র স্মৃতির কথা,বলগাহীন স্বপ্নদের কথা। কিন্তু হাতে কলম(কী-বোর্ড)ধরার সাথে সাথে দলবেধে সব হুড়মুড়িয়ে গায়েব। মাথার মাঝে কোণঠাসা হয়ে আছে হাজারো শব্দ, অথচ হাত গলে বেড়িয়ে আসতে চাইছে না একটিও। আবেগমাখা লেখা লিখতে পারিনি আগেও, আজকেও পারবো না সেটাই স্বাভাবিক।
আজকের এই পোস্টটির ছোট একখানা ইতিহাসের আবার পাতিহাঁসও আছে। আগেরবার 'মা...
১.
মাঝে মাঝে আমার দুপুরগুলো আটকে যেত। শুধু আমার না, আমাদের সবারই। হয়তো টেনিস বলটা হারিয়ে গেছে, টেপির বাড়ির পেয়ারাগুলোও শেষ। কিছুই করার পাচ্ছি না। রোদ-বৃষ্টি তো গায়ে মাখিনি কখনো। লাগতো না। তারপরও এইসব দামাল ছেলেরাই দুপুর জালে আটকা পড়তাম। আটকা পড়লে বুঝি কথা বলাও মানা। পাঁচিল ঘেঁষা সুপারি গাছে হেলান দিয়ে, নিয়ামুল ভাইদের ছাদ থেকে উঁকি দেওয়া, ডালিয়ার সারি দেখতাম। মাঝে মাঝে এক পশলা ব...
জানি না এমন লাগে কেন?
জাগতিক কোন বর্ণমালায়
এইসব স্বপ্নমাত্রিক অনুভূতির বর্ণনা
নিতান্তই বেমানান
কীভাবে বোঝাবো তোমায়!
মোটেই যাবে না বোঝা
বৃথাই আমার মনোলোকের
সোনার হরিণ খোঁজা।
ভোরের তারার আলো নিয়ে
গুনগুনিয়ে একটি পাখি
ডাকে ডাকে ডাকে--
সেই সুরের টানে মন চলে যায়
কোন অজানার বাঁকে,
যায় না কিছুই বোঝা;
বৃথাই আমার রূপ সাগরে
অরূপ রতন খোঁজা।
পাঁজড় রেলের উপর দিয়ে
গুমগুমিয়ে একটা গাড়ি
...