গত পর্বের শিরোনাম দেখে সানিয়া, মুনিয়াকে পটানোর দূর্দমনীয় ইচ্ছা নিয়ে পোস্টের উপর ঝাপিয়ে পড়ে হতাশ হয়ে যারা “ব্যাটা দেখাইলো মুরগী, খাওয়াইলো ডাইল” বলে আমাকে গালিগালাজ করেছিলেন, এই পর্বে তাদের জন্য আগেই সাবধান বাণী- মুরগী এখনো খাওয়ার সময় হয়নি। আপাতত গিলা কলিজাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে যে। প্রথমেই একটা বেরসিক প্রশ্ন- গিটার কিনেছেন তো?
ভূমিকাঃ
এই সিরিজ এর আইডিয়া এবং গুতাগুতি করে আমাকে দিয়ে অবশেষে শুরু করানোর একক কৃতিত্ব নজু ভাইয়ের। এমনকি সিরিজের নামকরণের প্রথম অংশটুকুও উনার করা। অর্থাৎ গিটার ইশ্কুল। যে মানুষ নিজের কন্যার নাম রাখতে দুই বছর পার করে দেন, সেই তিনিই কিনা জিজ্ঞেস করার পর “খাড়ান, কইতাছি” বলে মাত্র দুই মিনিটের মাথায় নাম হাজির করে ফেললেন। তো, এমন ডেডিকেশন নিয়ে কেউ গুতাগুতি করলে আর কাহাতক আলসেমি করা চলে?
তবে কিনা, লিখতে বসেই হলো আসল ঝামেলা। অন্যকে জ্ঞানদানমূলক পোস্ট লিখতে গিয়ে বুঝতে পাল্লুম নিজে একটা অকাট মূর্খ। তারমধ্যে যে জিনিস হাতেগিটারে (ওই হাতেকলমে আরকি) দেখানোর ব্যাপার তা শুধু লিখে লিখে বোঝানো আরেক মুশকিল। তবে সে ঝামেলা ছবি, ভিডিও দিয়ে অনেকটাই দূর করা যাবে আশাকরি।
ব্লগ লিখুন পাতাটা খুলে চুপচাপ বসে আছি। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই ফেইসবুকের এক গ্রুপে মেসেজ পেলাম অভিজিৎদার সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। অভিজৎদাকে ফেইসবুকে মেসেজ করে কনটাক্ট চাইলাম। তখনও জানিনা কি ঘটেছে...
১।
দৃশ্য এক:ঝুমু আপু নিহিমকে স্কুল এর পড়া শেখাচ্ছে...
- আমাদের হাত কয়টা?
-দুইতা
-পা কয়টা?
-দুইতা
-চোখ?
-দুইতা
-আম্মু, নুনু?! এইতা কেন বলা হল না! (ভ্যাজাল!)দৃশ্য দুই:
- আমাদের বয়সে বড় যারা তারা আমাদের গুরুজন, গুরুজন মান্য করবো।
- আম্মু , হাম্বা?! (নিবিড় ইতিমধ্যে হাম্বা হাম্বা বলে মেঝে তে হাঁটছে! )দৃশ্য তিন:
ঐ তে ঐরাবত!
>বাবা! তুমি আবার ঐ পাঁজী গুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছ!<
বিপদ আর কাকে বলে! আঁচলকে নিয়ে গিয়েছিলাম গান শেখাতে। সেখান থেকে ফিরছি। ভেবেছিলাম ছুটির দিনে রাস্তা এত ব্যাস্ত থাকবে না। কিন্তু পথে নেমে দেখি; কাজের দিনের চেয়ে ভীড় কম না। প্রতি দিকের তিনটি করে গাড়ি চলার লাইন। তারপরেও গাড়ি গুলো পথ পাচ্ছে না। কর্পোরেট জীবনে ছুটি বলে কোন কথা নেই। সবাই ছুটছে। কীসের পেছনে?
বেঙ্গল ক্লাসিক্যাল মিউজিক ফেস্টিভ্যালের আগে শিল্পীদের টেকনিক্যাল ইন্টারভিউ করার সব রকম চেষ্টা করে যখন হাল ছেড়ে দিয়েছি, তখন একদিন হঠাৎ মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি!
[সিঁড়িতে পায়ের শব্দ শুনেই দুই বোন দরজায় এসে দাঁড়ায়। আঁচল দরজা খুলতে পারে এবং সে কৃতিত্বের জন্য তাকেই কোলে নিতে হয় আগে । চারু হাত দুটো উঁচু করে আঁ আঁ করতে থাকে। কোলে নেই তাকেও। করপরেট খাটুনীতে বলহীন শরীর থাকে আরো দূর্বল। কিন্তু এই সুযোগ প্রতিদিন হয় না। বাসায় ফিরে দেখি বেশীর ভাগ দিন দুই বোন ঘুমিয়ে পরেছে। আঁচলের তিন বছর হওয়ার পরে আমাদের সংস্কৃতির অন্তত কিছুটা ছোঁয়া দিতে তাকে নিয়ে গিয়েছিলাম ভারতীয় উচ্
পেশাগত কারনে গত সপ্তাহে ময়মনসিংহে যাই। সেখানে এক পূর্ব পরিচিত এক অডিও ব্যবসায়ীর সাথে দেখা হলো। দেখি তাঁর দুই যুগেরও অধিক পুরাতন অডিও ক্যাসেট--সিডির দোকান ফ্যানের দোকানে পরিণত হয়েছে। বললাম, “ভাই একি অবস্থা”!