ওরা বলে, রাতগুলো সে শুধু কেঁদে পার করে দেয়। ওরা বলে, সে খায় না কিছুই, কিছুই মুখে রোচে না তার। ওরা কিরে কেটে বলে আকাশও কাঁপছিলো তার কান্নার দমকে। ভুগছিলো সে ওর জন্যে, আর মরতে মরতেও গাইছিলো, আয় আয় আয় আয় আয়। ডুকরে ডাকছিলো সে, আয় আয় আয় আয় আয়। গাইছিলো সে, আয় আয় আয় আয় আয়। এমনই মরণ অনুরাগে মরছিলো সে। একটা বিষণ্ন ঘুঘু এসে খুব ভোরে শুন্য বাড়িতে গান গায়, যার ছোট্ট দরজাগুলো বিরাট করে খোলা।
[justify]
- তোমার কি মন খারাপ?
- নাতো মামা।
- তাহলে এমন দেখাচ্ছে কেন তোমাকে?
- ভালো লাগছে না মামা।
- প্রেমে পড়েছো নাকি? প্রেমে পড়লে প্রেমিক মাত্রই মাঝেমধ্যে উদাস করা মন খারাপের রোগে ভোগে!
- আমি লজ্জা পেয়ে বললাম, কি যে বলেন?
- লজ্জার কি আছে? এই বয়সের সবাই একটু-আধটু মুগ্ধ হতে ভালোবাসে। আর সেই মুগ্ধতায় যখনই হাহাকারের ঢেউ উঠে তখন উদাস উদাস লাগে। তখনই মন খারাপ করা রোগ দেখা দেয়।
সে এক ভীষন দুঃসময় এসেছিল আমাদের মাঝে
সে এক ভীষন সুসময় এসেছিল আমাদের মাঝে---
দুঃসময় এইজন্যে --আমরা হারিয়েছি আমাদের লক্ষ লক্ষ আপনজন। এই ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের ভেতরে একটি পরিবারও খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা শহিদের রক্তে স্নাত হয় নি। রক্তের দামে নাকি কিনে আনতে হয় স্বাধীনতা! মাত্র ন'মাসের পরিব্যপ্তীতে আমরা আমাদের পাঁজর খুলে বইয়ে দিয়েছিলাম রক্তের নহর।
অল্প স্বল্প ভুমিকা
গত পোস্টে লিখেছিলাম মেজর স্কেল আর মাইনর স্কেলের কথা। আমাদের পরিচিত বেশিরভাগ গান এই দুই স্কেল অনুসরণ করে থাকে। কথাটা পুরোপুরি ঠিক হলো না অবশ্য। বিশুদ্ধ মেজর বা মাইনর স্কেলে যে সাতটি নোট থাকার কথা, ভাবের প্রয়োজনে প্রায়ই তার বাইরের কিছু নোট চলে আসে। তারপরও, যেহেতু মূল কাঠামোটা মেজর বা মাইনর স্কেলের, আমরা অল্পজ্ঞানীরা ওগুলোকে মেজর বা মাইনর স্কেলের গান হিসেবেই চিহ্নিত করব। আমার মাথায় কর্মক্ষম স্মৃতিকোষের সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে কম বলে বেশি জিনিস আমি একসাথে মাথায় রাখতে পারি না।
নিধির বাবা, নূপুরের জামাই, আমাদের নজরুল ভায়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে এটা একটা ভিডিয়ো ব্লগ।
কাজী নজরুল ইসলামের লেখা এই গানটার তেমন কোন ঠিকুজি কুলজী খুঁজে পেলাম না নেটে।
কখনো কি পরীক্ষা করে দেখেছেন একটা তারের দুই মাথা বেঁধে টান দিলে কি হয়? প্রশ্নটা বোকার মত হয়ে গেল, নিশ্চয়ই দেখেছেন। এই পোস্টে উঁকি দিয়েছেন আর কখনো গিটারের তারে একটা টোকা দেননি, এমন হবার সম্ভাবনা খুবই কম। ফলাফলটা খুবই সাধারণ, শব্দ হয়। ফুঃ! আমাদের চারপাশে হরহামেশাই নানান শব্দ হচ্ছে, এ আর এমন কি?
দলছুটের আমি তোমাকেই বলে দেবো
বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তা প্রচারাভিযান 'গ্রো'-এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের জন্যে আমরা 'ত্রিমুর্তি' মিলে একটা গান বেঁধেছি, যাকে আমরা বলছি গ্রো বাংলাদেশ থিম সং। আমরা ত্রিমুর্তি মানে ফিডব্যাকের দলনেতা, বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় একজন সঙ্গীত পরিচালক ফোয়াদ নাসের বাবু; আমার বন্ধু, বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গিটারবাদক ও প্রতিভাবান সঙ্গীত পরিচালক রুবায়েত চৌধুরী; আর ত্রিমুর্তির সর্বশেষ জন এই আপনাদের রাতঃস্মরণীয়।
কিছু দিন আগে (গত ১০ অক্টোবর) ছিল জগজিত সিং-এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।
দেখতে দেখতে এক বছর হয়ে গেল তাঁর চলে যাবার।
মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি খুব সম্ভবত তার শোক সামলে ওঠার ক্ষমতাটা।
যত বড় শোক আসুক না কেন--- কালে কালে আমরা ঠিকই সেরে উঠি। আমাদের মাঝে যারা ভাগ্যবান তারা হয়ত ভুলেও যাই।
আমি খুব ভাগ্যবান কেউ নই। কিছু কিছু জিনিস আমার কিছুতেই ভোলা হয় না। কিছু কিছু ক্ষত আমার কিছুতেই সারে না।