আপডেট ২: বিশেষ বিবেচনায় শিশু অধিকার সপ্তাহটি আপাতত স্থগিত করা হলো। পরিবর্তী তারিখ শিঘ্রী ঘোষণা করা হবে। তবে অনুগ্রহ করে আপনারা শিশু অধিকার বিষয়ে লেখা চালু রাখুন।
------------------------------------------------
সাম্প্রতিক ব্লগার হত্যার ঘটনায় শিশু অধিকারের বিষয়টি মূল আলোচনা থেকে সরে যাওয়ায়, লেখার সময় আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেয়া হলো। নতুন ডেডলাইন আগস্ট ২০, ২০১৫।
------------------------------------------------
প্রিয় পাঠক,
অতি সম্প্রতি সিলেটের শিশু রাজন এবং খুলনার কিশোর রাকিব হত্যাকান্ড সর্ম্পকে আপনারা অবহিত আছেন। এই দুটি হত্যাকান্ড নিয়ে প্রচুর আলোচনা হলেও বাংলাদেশের বাস্তবতায় শিশু অবহেলা একটি নিত্যদৃষ্ট বিষয়। সচলায়তনে নারী সপ্তাহের আলোচনায় নারী ছাড়াও শিশু নিযার্তনের প্রসঙ্গও উঠে আসে। তাই এ বিষয়ে আমাদের একটি উদ্যোগ নেবার ইচ্ছা তখন থেকেই।
প্রায় ছ বছর আগে জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিলো সচলায়তনের হাত ধরে। আন্তর্জালের অলিগলিতে ঘুরতে ঘুরতে ঘটনাচক্রেই এ পাড়ায় পা রাখা। অক্ষরযাপনের অভ্যেসে যে দীর্ঘ জড়তা জড়িয়ে ছিলো, পরম বিস্ময়ে তা উড়িয়ে নিয়ে গেছিলো এ পাড়ার অদেখা অক্ষরশিল্পীরা। অপার মুগ্ধতা, প্রবল ঈর্ষা আর আড়ষ্ট প্রেম নিয়ে লিখতে বসেছিলাম। কী লিখব? কী নামে লিখব?
লেখক, পাঠক আর সমালোচকের অবিরাম সক্রিয়তায় নবম বছরে পা রাখলো সচলায়তন।
গত এক বছরে ৮৩১,০৫৭ জন পাঠক সচলায়তনের পোস্টগুলো পড়েছেন ৪,৮৬৩,৮১৫ বার। বিশ্বের ১৮৫টি দেশে ৬,৩২২টি শহর থেকে বাংলাভাষী পাঠকেরা এই এক বছর সচলায়তনের সঙ্গে ছিলেন। তাঁদের মোট পাঠকাল ছিলো ২২ বছর ৮৪ দিন (প্রায়)।
চিৎকার ব্যান্ড সচলায়তনের নারী সপ্তাহ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাদের "যতদূর" গানটি "নারী সপ্তাহ" উপলক্ষে উৎসর্গ করেছে। তাদের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সচলায়তনের পক্ষ থেকে চিৎকার ব্যান্ডের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
ব্যানারশিল্পীদের কাছ থেকে অপূর্ব সব ব্যানারে প্রতিদিন সজ্জিত থাকতে চায় সচলায়তন। সচলায়তনে যে কেউ ব্যানার পাঠাতে পারেন। টেক্সটে সচলায়তনের নাম আর শ্লোগান [চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির] রাখতে হবে ব্যানারে, তবে শ্লোগানটা ঐচ্ছিক, আবশ্যিক নয়। আকার ৯৬৫x১৫০ পিক্সেল। ফাইল সাইজ ৫০ থেকে ১০০ কিলোবাইটের মধ্যে। ইমেইল করে দিন banner এট সচলায়তন ডট com বা contact এট সচলায়তন ডট com।
অনেক অনেক দিন আগের কথা। তখন আরবের লোকেরা গুহায় বাস করতো, গণি মিয়া ছিলো একজন গরিব কৃষক। সেই প্রাগৈতিহাসিক সময়ে ফেসবুক বলে কোন জিনিস ছিলো না। সেই সময় আমাদের যতরকম গিয়ানজাম করার জায়গা ছিল এই সচলায়তন। হেন কিছু নেই যেইটা নিয়ে আমরা একটা ব্লগ লিখে ফেলতাম না।
ক্লারিফিকেশন: ১৩ তারিখ শেষ পর্যন্ত সময়সীমা আছে। সবচেয়ে পশ্চিমের সময় প্যাসিফিক টাইম জোন অনুযায়ী ১৩ তারিখ রাত ১২ পর্যন্ত লেখা নেয়া হবে। অর্থাৎ ঢাকা সময় ১৪ তারিখ দুপুর একটা পর্যন্ত লেখা জমা দেয়া যাবে। যারা লিখছি লিখব করে সময় করে উঠতে পারেননি, তারা এই বেলা লিখে ফেলুন। লেখা জমা হয়েছে ৪৬টি। আসুন আমরা এটিকে পঞ্চাশ অতিক্রম করতে সাহায্য করি।
==== ==== ==== ==== ====
আপডেট: নারী সপ্তাহ নিয়ে সচলায়তনের এই আয়োজনে আমরা প্রচুর সাড়া পেয়েছি। অনেকে জানিয়েছেন সময়াভাবে তারা লিখতে পারছেন না। তাছাড়া তথ্যসমৃদ্ধ বিষয়গুলো প্রস্তুত করতেও সময় লেগেছে অনেকের। এই আলোচনা যেনো চালু থাকে এবং আরো বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী থেকে যেনো লেখা আসতে পারে সেজন্য নারী সপ্তাহের লেখার সময় বাড়িয়ে ১৩ই মে পর্যন্ত করা হলো। আলোচনা চলুক এবং লেখা আসতে থাকুক। বছর জুড়েই যুদ্ধ চলতে থাকুক নারী সপ্তাহ শেষ হয়ে গেলেও।
ব্যানার: স্যাম
১.
বুকে শ্বাপদ মুখে তোদের অহিংসা অছিলা
এবার তবে করবি তো আয়
আমার মোকাবিলা[শপথ, সলিল চৌধুরী]
ক'জন তাদের একাডেমিক পেপার বা থিসিস ইংরেজি থেকে বাংলা করার চেষ্টা করেছেন, অথবা বিজ্ঞানচর্চার চেষ্টাই বা করেছেন বাংলায়? সংখ্যাটি অত্যন্ত কম বলেই আমার ধারণা। একবার মনের খেয়ালেই চেষ্টা করেছিলাম আমার এক কনফারেন্স পেপার বাংলা করার, দুই প্যারা করেই ক্ষান্ত দিয়েছিলাম। আমার মতে বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার অভাবের প্রধান না হোক, অন্যতম কারণ হচ্ছে বাংলায় বিজ্ঞান-বিষয়ক লেখার অভাব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে না হয় কিছু বাংলায় বিজ্ঞানচর্চা হলেও হতে পারে, প্রকৌশল বা চিকিৎসা বিদ্যালয়গুলোতে বাংলার ব্যবহার নিষিদ্ধই বলা চলে!
এ অবস্থার পরিবর্তন আনার জন্যে কঠিন কাজটি হলো বাংলায় সব বিষয়ে ভাল ভাল বই লিখে ফেলা। সে সুযোগ আমাদের তেমন নেই, কারন দেশের বিদ্যালয়ে জ্ঞানচর্চা হয় না, শেখানো কিভাবে চাকুরি পাওয়া যায়। বুয়েট আমাকে প্রস্তুত করেছে বিসিএসের জন্যে, গবেষণা করতে শেখায়নি, শিখিয়েছে অসংখ্য গাণিতিক বিশ্লেষণ, শিখায়নি গণিত, পদার্থবিদ্যা বা রসায়নকে ভালোবাসা যায়। বিচ্ছিরি সব ডিজাইন ঘাড় ধরে শিখিয়েছে, বোঝায়নি মূলনীতি (যা শিখে আমি খাতা-কলম-ক্যালকুলেটর না পিষে ছোট্ট একটা প্রোগ্রাম লিখেই সমাধান করে ফেলতে পারতাম)। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থায় অবশ্য আমি নীতি-নির্ধারকদের খুব বেশি দোষ দিতে পারি না, আগে মাথার উপরে ছাদ আর পায়ে চলার পথ দরকার, আপাতদৃষ্টিতে 'অর্থহীন' গবেষণার থেকে।
সেন্টার ফর ইনকুয়েরি-তে প্রকাশিত বন্যার আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মুক্তমনা কর্তৃক বাংলা অনুবাদ এখানে।