জাপানের রূপকথার ওনিবাবা কে বাংলা করলে দাঁড়াবে ডাইনী বুড়ি।
০১।
তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর স্মরণে আয়োজিত ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে 'রানওয়ে' মুভিটি দেখার পর আমার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল এরকমঃ
[i]"বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে ফিল্ম বানানো আম্রিকানদের ব্যাপার-সেপার। আমরা অতো কষ্ট করতে যাবো কেনো? আমরা বানাবো ফর্মুলা ফিল্ম।
০১।
নাম: দ্যা ব্রেস্ত ফোরট্রেস
দৈর্ঘ্য: ১৩৮ মিনিট
বিষয়: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ইতিহাস
পরিচালক: আলেক্সান্ডার কট
দেশ: রাশিয়া, বেলারুস
০১.
গতকাল চ্যানেল আই-তে একটা গোলটেবিল বৈঠক দেখছিলাম। টিভিতে খেলা আর পুরানো মুভি ছাড়া আমার তেমন কিছুই দেখা হয় না। এ ধরণের গোলটেবিল বৈঠক, টক শো আমার দেখার কথা না। তারপরও আগ্রহভরে অনুষ্ঠানটা দেখছিলাম। আমি ও আমার দুই ছোট ভাই। কেননা, অনুষ্ঠানটা ছিল আমাদের মত স্টুডেন্টদের নিয়ে। শিক্ষাখাতের বিভিন্ন সমস্যার কথা খোদ ছাত্র ও অভিভাবকদের কাছ থেকে শুনছিলেন স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী। ব্যাপারটা আমাদের দেশের জন্য নতুন। তো
১৮ই জানুয়ারী। রোজ বুধবার। বেলা বারোটা।
পাঠক নিশ্চয়ই খানিকটা নড়েচড়ে বসেছেন। ভাবছেন, এইদিন এই সময়ে বুঝি লেখকের জীবনে খুব উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটে গেছে। প্রিয় পাঠককে হতাশ করে বলতে হচ্ছে, অধমের জীবনে এ্যাডভাঞ্চারাস বা থ্রিলিং কিছু সচরাচর ঘটে না। কুয়োর ব্যাঙ হলে যা হয় আর কি।
আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে বসে আছি কফির আড্ডায়, দেশ থেকে খবর আসল রাজাকার নেতা কারাগারে। এর পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে শুরু হয়ে গেছে আমাদের আজব রাজনীতিবিদদের কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি! মনে পড়ে গেল এই শহরেই গ্রেফতার হয়েছিল গা ঢাকা দিয়ে থাকা নাৎসি অপরাধী আইখমান। আর বুক ফুলিয়ে দেশের ক্ষতিসাধন করতে থাকা রাজাকারকে ফাটকে পুরতে আমাদের লাগল চার দশক !
চমকে উঠলাম। ছবির দ্বিতীয় দৃশ্যটা দেখেই। যেমন চমকে উঠেছিলাম তিলোত্তমা মজুমদারের ‘শামুকখোল’ উপন্যাসটা পড়ে। জীবনটাই একটা পরিহাস। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কি বেঁচে থাকে? একটা শূন্যতা, একটা অমলিন বোধ কিংবা একটা অলিখিত প্রত্যয়। সেই বোধ নিয়েই নির্মিত হয় একটা নোংরা মেয়ের জীবনের ভাঙা গড়ার ইতিহাস।
০১.
পড়ছিলাম ঋতুপর্ণঘোষের সাক্ষাৎকার। কবেকার জানি না। অনেক আগের হয়তো। কথা বলছিলেন তার বিজ্ঞাপন ও ছবি বানানোর নানা অনুষঙ্গ নিয়ে। ছবিতে রং-এর ব্যবহার নিয়েও বললেন অল্প-স্বল্প। একজায়গায় জানালেন নিজের ছবিকে “ঋতুপর্ণ ঘোষের ছবি” বলে বিজ্ঞাপিত করার অনাগ্রহের কথা। বললেন, বায়ান্ন জনের ছবি কখনো ঋতুপর্ণের একার ছবি হতে পারে না। আর এক জায়গায় ক্যামেরার সামনে কখনো কাজ করবেন কী না প্রশ্নের উত্তরে স্ট্রেইট এবং খুব কনফিডেন্টলি বললেন, “না”।