শৈশব আমার কাছে খুব প্রিয় একটি বিষয়।
কারণ আমার শৈশবে আমি ছিলাম এক রূপকথার রাজ্যের মানুষ---
সাধারণ কোন হেঁজিপেজি মানুষ নয়---আমি ছিলাম এক রাজকুমার!
[i]“প্রথম শট- রাশান এক গ্রাম, তার সীমানাতেই স্তেপের দিগন্ত ছোঁয়া প্রান্তর চিরে সুদূরপানে চলে গেছে এক মেঠোপথ, তার মুখে দাড়িয়ে আছেন এক মধ্যবয়সী রমণী, চোখে উদভ্রান্ত দৃষ্টি, বোবা চোখ দুটো মেলে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি অন্তহীন অপেক্ষায়, নেপথ্য থেকে রুশী ভাষায় শুরু হয় ঘটনার ধারাবর্ণনা- জননী দাড়িয়ে আছেন তার সৈনিক ছেলের অপেক্ষায়, যে গেছে পিতৃভূমি রক্ষার মহান ব্রত নিয়ে এই গ্রাম থেকে অনেক অনেক দূরে দ
গ্রেগরি চুখারয়ের রূপোলী ফিতের অমর কাব্যগাথা ব্যালাড অফ এ সোলজার কে অনেকেই বিশ্বের সর্বকালের সেরা তিনটি চলচ্চিত্রের (অন্য দুটি সিটিজেন কেইন ও বার্থ অফ এ ন্যাশন) একটি বলে অভিহিত করে থাকেন। চলচ্চিত্রবোদ্ধা এবং বিশ্বের আপামর মানুষের কাছে এর সমান আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা। অথচ এটি ছিল সিনেমাটির মুখ্য দুই চরিত্র সৈনিক আলিওশা ও কিশোরী সুরার চরিত্রে অভিনয়কারী ভ্লাদিমির ইভাসোভ ও ঝানা প্রোখোরেঙ্কোর অভিনয় জীব
‘যা কিছুই বলতে চাই
আমারই শব্দে বিনাশ
আমারই শব্দে’ (ইরশাদ কামিল)
শব্দ আর অভিপ্রায়ের মধ্যে আদি দ্বন্দ্বের নিষ্পত্তি হলে, সেটা হতেই হয় কোনো একদিন, দুর্বহ বোঝার মতো চেপে থাকে কোনো কোনো উচ্চারণ। কোনো কোনো শব্দ ফেরানো যায় না আর। কোন শব্দই বা যায়!
ঘন্টাদুয়েক ধরে মরমিয়া সুফীবাদের ছয়েনছবিলা বিজ্ঞাপন দেখার পর মনে হল, এপারবাংলার দরদিয়া শ্যামাসাধনাই বা বাদ যায় কেন? এই সিনেমার যে মূলার্থ কালীর মতনই ন্যাংটাভাবে প্রকাশিত হয়ে পড়েছে, তাকে রামপ্রসাদী ছাঁচে ফেললে দাঁড়ায়:
দে মা আমায় বেলুচ ধরি–
আমি পাকিসেনারেই পিরিত করি।
(ওমা) মেহের বলে এমন রূপের জ্বালায় জ্বলে আমি মরি–
(এখন) ধবল সবল পুরুষ পেলে কোমল বুকে চেপে ধরি॥
দে মা আমায় বেলুচ ধরি...