ছবিটার নাম দেখে বোঝার উপায় নেই যে এই ছবিটা চট্টগ্রামের সেই বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে যার মহানায়ক সূর্যসেন। এত বছরেও বাংলাদেশ পারেনি সূর্যসেনকে নিয়ে একটা যুতসই ছবি তৈরী করতে, বোম্বে অন্ততঃ বাংলাকে সম্মান দেখিয়েছে ছবিটা তৈরী করে। সেই ভেবে মনে মনে পরিচালক Ashutosh Gowariker এর উপর কৃতজ্ঞতাবোধ নিয়ে ছবিটা দেখতে শুরু করি। কিন্তু ছবি যতই এগোতে থাকে কৃতজ্ঞতাবোধ কমতে থাকে আর মুখের ভেতর জমতে থাকে বিবমিষা তরল। মাঝ
"HBO Documentary Films " এর কাজগুলো আমার সবসময় পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকে, এক বন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া এই তথ্যচিত্রটি দেখার পর লেখার ইচ্ছে হলো| সামরিক জান্তার শোষণ ও ভয়াবহ অত্যাচার এবং জাতিগত বিদ্বেষে জর্জরিত দেশ বার্মা বর্তমানে মায়ানমার, ৪০ বছররেও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধে সামরিক বাহিনীর আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছে অগুনিত মানুষ, বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম দরিদ্র ও চরম মানবিক বিপর্যয়ে আক্রান্ত এই দেশটির কথা অনেক আগে থেকে শুনে আসলেও এতটা ভালো ভাবে জানার উপায় হয়নি কখনই, সামরিক সরকারের অধীনে থাকা এই দেশটি থেকে কোনো ধরনের তথ্য কিংবা তথ্যচিত্র দেশের বাইরে যাওয়াটা খুবই কঠিন এবং ধরা পড়লে শাস্তিযোগ্য একটি অপরাধ, তাই চরম সাহসিকতার সাথে এই কাজটি করেছেন কিছু মানুষ|
আমরা আবার উত্তেজিত হয়ে উঠেছি । এবার আমরা হারিয়েছি আমাদের এমন দু জন বুদ্ধিজীবী কে যাদের স্থান অপূরণীয় । আমাদের এই উত্তেজনা কিছুদিন চলবে তারপর আমরা আবার ঝিমিয়ে পরবো। আমাদের আসলে কিছুই করার নেই। এমন করে এক একটি ঘটনা ঘটবে আমরা উত্তেজিত হয়ে চেঁচামেচি করবো । তারপর কিছু দিন পর উত্তেজনা প্রশমিত হলে নিজের কাজে বাস্ত হয়ে পরব । আবার কিছু ঘটবে আবার চেঁচাব । আমন করে আবার, আবার বারবার । আমাদের চোখের সামন
পৃথিবীর কোন জীব এই গ্রহের সবচেয়ে বেশী দেখেছে- ভাবছেন নিশ্চয়ই অতল জলের নীল তিমি, কিংবা অক্লান্ত ডানায় ভর দিয়ে হাজার হাজার কিলোমিটার পরিভ্রমণ করা পরিযায়ী পাখি, গহন বৃষ্টি অরণ্যের কোন জন্তু, অতলান্তিক মহাসাগরের অজানা মাছ বা নদীর সরীসৃপ। কিন্তু এই মহান গর্বের, আমাদের নীল গ্রহটাকে সবচেয়ে ভাল করে দেখবার, ভ্রমণ করবার, উপভোগ করবার তকমা যার গায়ে তিনি আমার-আপনার মতই মানুষজাতির সদস্য, ডেভিড অ্যাটেনবোরো!
[justify]
আজকের প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সানে সেরা বিদেশি ছবি হিসেবে ‘মেহেরজান’ পুরস্কারপ্রাপ্তির খবর বেরিয়েছে। খবরে জানানো হয়-
[justify]১
চিত্র ১:
১৭৬৯। হাইতি। এখানে মাটির রঙ আলকাতরা-কালো, তারচে' বেশি কালো এই ফসলি জমির শ্রমিকদের গায়ের রঙ। ওরা ৪৪ জন। একটানা কাজ করছে সেই উষা থেকে, যখন সূর্যের-ও চোখ খুলে নি, আর এখন সূর্যের ঘুমিয়ে পড়ার সময়। পাক্কা ১২ ঘণ্টা। শ্বাপদের মতো সর্তক চোখে তাকিয়ে আছে শ্বেতাঙ্গ মনিব। কাজে একটু এদিক ওদিক হলে চাবুকের বাড়ি, গরম শিকের ছ্যাঁকা। ওরা কাজ করে যায়, মাঝে মাঝে হাঁপিয়ে উঠলে উঁকিঝুঁকি মারে আশপাশে, দ্রুত লয়ে কথা বলে। ওরা কাজ করে যায়। নিয়তি। মানুষের অপমান। ঈশ্বরের নিস্পৃহতা। ওরা কাজ করে যায়। মার খায়। মরে যায়। বংশানুক্রমিক। হয়তো দিনের শেষে এক টুকরো রুটি ও জল মিলবে, ভাগ্য ভালো হলে মাংশ লেগে থাকা হাড়, সবজি-ভাজা। আর নিশাচর পাখির মতন থেকে থেকে ভেঙে যাওয়া ঘুম।
[justify]
বইটা পড়া অনেক আগেই। বড্ড কাঁদিয়েছিলো বেয়াড়া অক্ষরগুলো। যুদ্ধ, প্রেম, কৈশোর, বন্ধুত্ব, উত্তেজনা, বুদ্ধিমত্তা-সব মিলিয়ে নিটোল বেদনার্ত দাগকাটা পাঠোপকরণ। আমারও হাল্কা স্বপ্নালু ইচ্ছে হয়েছিলো আমার সন্তানের নাম রাশেদ থাকুক না হয়।
[justify]১
আমাদের সূর্য এখন প্রায় মাঝবয়েসী নারীর মতন, মনিকা বেলুচ্চির মতন সূর্য আমাদের এই প্রপঞ্চ শীতে আন্তরিক রোদ নিয়ে আসে, আমরা সেই রোদের পানে সাইকেলআরোহী বালকদের মতন উষ্ণ কাতরতা নিয়ে চেয়ে থাকি। আমাদের সূর্যের বয়েস এখন প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন, তাকে পাড়ি দিয়ে হবে কম বেশি আরো এতগুলো বছর, অর্থাৎ সূর্যের বয়েসকাল আনুমানিক দশ বিলিয়ন বছর। কিন্তু বয়েসের শেষসীমায় পৌঁছে সূর্য আর মাঝবয়েসী নারীর মতন আকাঙ্ক্ষার হবে না, সে বদমেজাজি অত্যাচারি প্রাচীন জমিদারদের মতো লাল হয়ে যাবে, লাল দানবে পরিণত হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘গেরিলা’। ৈসয়দ শামসুল হকের উপন্যাস ‘নিষিদ্ধ লোবান’ এবং একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার ছায়া অবলম্বনে নির্মিত এ চলচ্চিত্রটি।
[right][i]“আমি তোমায় সন্তান দিতে পারব। উত্তম বীজ উত্তম ফসল। তোমার সন্তান খাঁটি মুসলমান হবে, খোদার ওপর ঈমাণ রাখবে, আন্তরিক পাকিস্তানী হবে, চাওনা সেই সন্তান?