[i]মেহেরজান বিষয়ে পানি অনেকদুর গড়িয়েছে। মেহেরজানের পরিবেশক আশির্বাদ চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহগুলো থেকে ছবিটি প্রত্যাহার করেছে [১]। এর মধ্য দিয়ে মেহেরজান বিতর্ক দ্বিতীয় পর্যায়ে গিয়ে পড়লো। পর্যায় উত্তরণের সাথে সাথে মেহেরজান সমর্থকদের বিতর্কের বিষয়বস্তু ছবির বিষয়বস্তু ছেড়ে জাতীয়তাবাদ, ফ্যাসিবাদ ও নানারকম ইংরেজী শব্দমালাকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে বলে ধারনা হয়। এই রীতিতে আজকে প্রথম আলো পত্রিকায় ফাহমিদুল হকের একটা
১.
'জাপানীজ ওয়াইফ' দেখলাম সেদিন। অপর্না সেনের ছবি। ছবিটা নামিয়ে রেখেছিলাম আগেই। দেখা হয়নি এদ্দিন। সিনেমাটা আমাকে যে দুটো কারণে আলোড়িত করেছে তার একটি হলো ঘুড়ি। ঘুড়ি জিনিসটা স্মৃতি জাগানিয়া।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রুবাইয়াত হোসেন তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি মেহেরজান নির্মাণ করেছেন। ইতিহাসকে কেন্দ্র করে চলচ্চিত্র নির্মিত হলে সেই চলচ্চিত্রে শুদ্ধত্ব আর নির্ভুলতা নিশ্চিত করার জন্য সতর্ক থাকার প্রয়োজন বেড়ে যায় অনেকগূণ। এ কারণে ইতিহাস-ভিত্তিক এই ছবির বিভিন্ন বর্ণনায় সত্যতা ও যথার্থতা যেন টিকে থাকে সেই ব্যাপারে পরিচালকের খুব বেশি মনোযোগী থাকার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ১৯৭১-এ ব
পরের মুখে ঝাল খেতে আমার ভালো লাগে না। তাই সিনেমা দেখার আগে বা বই পড়ার আগে রিভিউ পড়ি না কখনোই। তবে মেহেরজানের কথা আলাদা। রিভিউ না পড়লে এই সিনেমা দেখতে যাওয়া হতো না। বেশ কিছু আলোচনা-সমালোচনা পড়ে শেষমেষ ঢুঁ দিলাম সিনেপ্লেক্সে নিজে চেখে দেখার আশায়। পড়ে আসা আলাপের বাইরেও কিছু জিনিস দেখলাম আর বেরিয়ে এলাম কিছু প্রশ্ন নিয়ে। সমাজতাত্ত্বিক বা মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ নয়, দর্শকের আসনে বসে টাটকা অনুভূতির খসড়া ল
[justify]
ভণিতা
আসেন, একটা খেলা খেলি। আমি একটা শব্দ বলব। আপনি সাথে সাথে একটা রঙের নাম বলবেন। যা মনে আসে তাই। এই খেলা কিছুক্ষণ খেললে মোটামুটি একটা প্যাটার্ণ পাওয়া যায়।
যেমন- গাছ বললে বেশীরভাগ মানুষ বলবে সবুজ।
এরকমই একবার খেলতে খেলতে এক বন্ধুকে বললাম “পর্নো”। ভাবলাম সে বলবে নীল। খুব বেশী এলেমদার হলে বলবে গোলাপী। আমাকে চমকে দিয়ে সে বলল সবুজ।
সেই রাতে এই পাপী বান্দা Green Porno লিখে Google এ দিল গুঁতা। ফলাফল যা পেল তা নিয়ে এই পোস্ট।
মূল কথা
ফেলুদা-ফিলিম ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’-এর নাম বদলে ‘রিঙ্কু সিল্ক হাউস’ হলে কেমন হত? সত্যজিৎ রায়েরই লেখা, শুটিং-অভিজ্ঞতা নিয়ে কিশোরপাঠ্য সঙ্কলন ‘একেই বলে শুটিং’ থেকে একটা অংশ তুলে দিচ্ছি:
“একটা ব্যাপারে একটু মুশকিলে পড়তে হয়েছিল; বাঙালির দোকান ‘রিঙ্কু সিল্ক হাউস’-এর লোক আমাদের ছবি মারফত যাতে তাদের দোকানের বিজ্ঞাপন হয় সেই মতলবে দিনের বেলা কখন জানি এসে গলির সর্বত্র তাদের দোকানের নাম ল ...
‘Every work of art is distinct. The form comes out of its theme, philosophy and reflections.’
-Ritwik Ghatak
১
আমরা যে রেনুর গল্প শুনেছিলাম, হয়তো কিছুটা দেখেওছিলাম, পাঠক সে রেণুর সাথে আপনাদেরও পরিচয় থাকতে পারে। শহরতলীর নিম্নবিত্ত এলাকাটায ওদের বাস। স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় সে মায়ের কাছে ফিরে আসে। বিধবা ময়ের অগোছালো সংসারে আরো আছে দুই জন। অন্ধ বড় ভাই রোকন, যার স্থবির জীবন প্রাণ খুঁজে পায় দাবার ঘুঁটির চলাচলে। বখে যাওয়া ছোটো ভ ...
শিল্প-মাধ্যমে নাম সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ কি না জানি না। আমার নিজের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। নাম দিয়ে চেনা যায় সেই চরিত্রকে, চরিত্রের ব্যাকগ্রাউন্ডকে। কেন না, নামের মধ্য দিয়ে আমরা সেই চরিত্রের সাথে একটা যোগাযোগ সূত্র তৈরি করি। স্বাগতা-সামীর নাম সমাজের যে শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করে, সামাদ-সেতারা সেই শ্রেণীর নিশ্চয় না! ডুবসাঁতারের কেন্দ্রীয় চরিত্র রেনু। রেনু নামটা শোনার সাথে সা ...
পুরোনো দিনের সিনেমা দেখবার ঝক্কি আছে। এটা একবিংশ শতাব্দীর যুগ। সময়টা গতির, যন্ত্রের আর ব্যস্ততার। সিনেমার প্রথম দৃশ্য থেকেই এখন টানটান উত্তেজনা, নায়ক-একবচন বা বহুবচনে- উদ্দাম দৌড়ঝাঁপ, মুহুর্তে মুহুর্তে কাহিনীর মোড় বদল, হাইটেক স্পেশাল ইফেক্ট। কাহিনীর বুনবার সূতোয় যতই ফাঁক থাক, রঙের জৌলুসে চোখ পর্দা থেকে সরে না। দুই ঘন্টায় চোখ-কান-মাথা সমানে খাটিয়ে দিন দুই পর ভেবে পাইনা মনে রা ...