২০০১ সালের এক রাত। খুব কুয়াশা ছিল সেদিন। আকাশে চাঁদ উঠেছে। কিন্তু দুধ সাদা চাঁদরে তার মুখ পাওয়াই ভার। সমস্ত চরাচর একটা হিম ঠান্ডার ভেতরে ডুবে আছে। হুমায়ূন রোডের বাসার ছাদে দাড়িয়ে আছেন সুমিতা দেবী, অভিনেত্রী- ব্যক্তিগত জীবনে জহির রায়হানের স্ত্রী। কুয়াশার সেই হিম সাদা চাদর ফুড়ে সুমিতা দেবীর কণ্ঠ ভেসে আসে-
আমি হিন্দী মুভির ভক্ত না। সমালোচক তো আরওই না। তবে মাঝে মধ্যে কোতুহল হলে যে দেখি না--তা নয়। নায়কদের মাঝে আমির খানকে এগিয়ে রাখি তার ছবি তৈরির ডিভোশন এবং এক্সপেরিমেন্টেশন করার সাহস ও ক্ষমতার জন্য। নতুন নায়কদের মধ্যে রনবীর নামের একটিকে আমার বেশ পছন্দ (সিং-ওয়ালা না কাপড়-ওয়ালা--নিশ্চিত নই)-- যার বরফি ছবিটা মনে ধরেছিল (যদিও প্রভূত পরিমানে নানান চলচ্চিত্র থেকে টুকলিফাই করা এবং ধরা পড়ার পরেও পরিচালক বা প্
আয়নাবাজির হাজারটা সমস্যা। দেশের অন্যতম সেরা কারিগরি ব্যক্তিদের সহায়তায় দেশের অন্যতম সেরা পরিচালক অমিতাভ রেজার নির্মিত সিনেমা বলে এই হাজারটা সমস্যা কিছু বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, উন্মোচন করে, যা বিশদ আলোচনার দাবী রাখে। ঝামেলা হচ্ছে, হাজারটা সমস্যা ব্যাখ্যা করে, সাথে বিশদ আলোচনা করতে গেলে এই লেখাটা ক্লান্তিকর রকম বড় হয়ে উঠবে। কিন্তু এমনও সম্ভব না যে, আমি বললাম হাজারটা সমস্যা আছে, আর আপনারা বিনা প্রতিবাদে মেনে নিলেন, আর আমি বিশেষ পরিস্থিতির আলোচনায় মনোযোগ দিলাম। তাই ব্যাখ্যায় তো যেতেই হবে। চেষ্টা করবো যতটা সংক্ষেপে কাজ সারা যায়, সারতে। অনুরোধ করবো, সাথে থাকতে।
আয়নাবাজি এখনও না দেখে থাকলে এবং দেখার ইচ্ছা থাকলে, লেখাটা না পড়াই উত্তম, কারণ গল্প নিয়ে আলোচনা করেছি।
বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের জগতে ধ্রুবতারার মত আবির্ভাব হয়েছিল সালমান শাহের। ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহানের 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' ছবিতে মৌসুমির বিপরীতে অভিষেক করার পর থেকেই একের পর এক সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করে নব্বই দশকের শীর্ষস্থানীয় নায়ক, ফ্যাশন আইকন এবং হার্টথ্রব হিসেবে দর্শকের মনে জায়গা করে নেন তিনি। ১৯৯৬ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর মাত্র পঁচিশ বছরে রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করা সালমান শাহ তিন বছরের ক্যারিয়ারে
বাৎস্যায়নের 'কামসূত্র' আসলে একটা সাত অঙ্কের নাটক। নাটকের প্রধান চরিত্র 'নায়ক' এবং 'নায়িকা'। নায়কের আবার তিন সহচর: 'পীঠমর্দ' (লম্পট), 'বিট' (চ্যালা), ও 'বিদূষক' (ভাঁড়)। বাৎস্যায়ন এক্ষেত্রে বেশ গতানুগতিক; সংস্কৃত প্রায় নাটকেই এই পাঁচটি চরিত্র পাওয়া যেত। এবং আমাদের যুগের নাটক-সিনেমাতেও এদেরকে দেখা যায়। কিন্তু প্রাচীন যুগের তুলনায় আমাদের যুগে ভাঁড়দের ভাবমূর্তি অনেক খারাপ। এমনকি মধ্যযুগেও ভাঁড়ামোর ছি
জালালের গল্প মুক্তি পেয়েছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। যত দূর মনে পড়ে, প্রথম সপ্তাহেই দেখেছিলাম। তখনও সচলায়তনে লেখা শুরু করিনি, তাই জালালের গল্প নিয়ে কিছু লেখা হয়নি। গত মাস থেকে সিনেমাটির একটি হাই কোয়ালিটি প্রিন্ট ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে যেটির লিঙ্ক সিনেমাটির ফেইসবুক পেইজেই শেয়ার করা হয়। ইদানীং কোন কাজ না থাকার সুবাদে এবং কিছু একটা লিখতে ইচ্ছে করছিল বলে, এছাড়াও, জালালের গল্প সাম্প্রতিক সময়ের অত্যন্ত গু
বেশ ভাল হত যদি বাকী জীবনটা একটা ঘরে বসে কাটিয়ে দিতে পারতাম।
কেউ যদি প্রতিদিন সামান্য খাবার দিয়ে যেত। আর বই। বই পড়ে পড়ে কাটিয়ে দিতাম। টু হেল উইথ হিউম্যানকাইন্ড এন্ড অল দেয়ার শিট! মানবজাতি থাকতো পড়ে তাদের আটারলি ইনকম্প্রিহেনসিব্ল এন্ড . . . এন্ড ইনেভিটেব্ল কাপ-ঝাপ নিয়ে। ওসব আর গায়ে লাগানো লাগতো না। কেবল পড়তাম আর পড়তাম। এটারনাল সন্তুষ্টির ইনফিনিট ভাণ্ডার। কিন্তু-
সাধারণ দর্শক যারা চলচ্চিত্র দেখতে ভালোবাসেন তারা কতটা চলচ্চিত্র বিশ্লেষকের দৃষ্টিতে একটি সিনেমা দেখা শুরু করেন তা বলা কঠিন। আমার ধারণা, যারা সিনেমা দেখতে ভালোবাসেন তারা অন্তর্গত বোধ থেকেই সিনেমা দেখেন এবং এক একজন দর্শক বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা সিনেমাটি নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনার মাধ্যমে সিনেমা প্রেমী হয়ে ওঠেন। সাধারণ দর্শকদের জন্য বোদ্ধা শব্দটি ব্যবহার হয়ত ঠিক নয় তাই অন্য কোনো সমর্থক শব্দ না পাও