[justify]ছোট বেলায় খুব স্বপ্ন ছিল একদিন বড় হয়ে ঘুষখোর পুলিশ কর্মকর্তা (একান্তই নিজের ইচ্ছে)হবো কিন্তু সে স্বপ্ন আমার পূরণ হয়নি। তারপর এমনি অনেক স্বপ্ন ভেঙ্গেছি আর গড়েছি।অবশেষে ছোট ছোট কিছু স্বপ্নকে রঙ দিতে নিজ জন্মভূমিকে ছেড়ে পরবাসী জীবন মেনে নেওয়া ।২৬ শে সেপ্টমবর ঢাকা থেকে রাত ২ টায় আমার ফ্লাইট চাইনা ইস্টার্ন এয়ারলায়েন্স এ, রাত ১০ টার মধ্যে এয়ারপোর্টে পৌছে গেলাম এবং তারপর থেকেই বিড়ম্বনার শুরু।
[justify]আমার আম্মা বরাবরই খুব রসিক মানুষ। কথায় কথায় হেসে গড়িয়ে পড়েন। উনাকে দেখলে দুঃখ বা কষ্ট বোধ টের পাওয়া যায়না। অনেক বড় বড় ঘটনাতেও উনাকে খুব শান্ত ভাবে হাসি মুখে ঘটনার মুখোমুখি হতে দেখেছি। ছোট থেকে দেখি আম্মা কখনও খাবার নষ্ট করেননা, সব খাবারই নাকি উনার কাছে খুব সুস্বাদু মনে হয়। আমি মাঝে মাঝে বিরক্ত হতাম। সব খাবারই মজা, তাই কি আর হতে পারে?
ঔপনিবেশিকতা নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে দেখলাম বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথের বই দ্য ওয়েলথ অব নেশনশে (১৭৭৬) ঔপনিবেশিকতা ও তার অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা আছে। অ্যাডাম স্মিথের লেখা বইটিকে আধুনিক অর্থনীতির জনক বলা যায়। বইতে কলো্নী সংক্রান্ত অর্থনীতি নিয়ে আলোচনার সময় মাথায় রাখা দরকার যে অ্যাডাম স্মিথ ঔপনিবেশিকতার তীব্র বিরোধী ছিলেন। কিন্তু তার বিরোধিতা মানবিকতা বা অধিকারের প্রশ্নে নয়, নিতান্তই অর্থনীতির প্রশ্নে। যদিও তার বইতে তিনি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীকে বরাবর দায়ী করেছেন বাংলার দুরবস্থার জন্য, কিন্তু তার অর্থনীতির ফোকাস থেকে সরে যান নি। তিনি বইতে দেখানোর চেষ্টা করেছেন ঔপনিবেশিকের জন্যও কলোনী-ব্যবস্থা লাভজনক নয় ও দীর্ঘমেয়াদে যে দেশগুলো ঔপনিবেশিক হবে না, তারা অন্যেদের থেকে অর্থনৈতিকভাবে অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে।
১.
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১২ তারিখে হণ্ডুরাসের রাজধানী তেগুসিগালপা থেকে কিছু দূরে কোমায়াগুয়া শহরের কারাগারে আগুন [১] লাগে। পেনিতেনসিয়ারিয়া নাসিওনাল দে কোমায়াগুয়ার সাড়ে আটশো কয়েদীর মাঝে একজন রাজ্যপালকে ফোন করে চিৎকার করে বলে, এই কারাগার সে আগুন লাগিয়ে ধ্বংস করে দেবে।
কেউ কেউ পরে অনুমান করেছে, তার বান্ধবী তাকে ছেড়ে গিয়েছিলো তার আগের দিন, ১৪ তারিখ, ভালোবাসা দিবসে।
আবদুল মান্নান সৈয়দের লেখা আগে পড়িনি। গল্প নয়, উপন্যাসও নয়।
কখনো সংবাদপত্রের সাময়িকী পাতায় তাঁর লেখা চোখে পড়েছে বলেও মনে পড়ছে না। 'সত্যের মতো বদমাশ' নামে বইয়ের লেখক তিনি - এটুকুই মাথায় ছিল।
এ সপ্তাহে আবদুল মান্নান সৈয়দের ১৫টি গল্প পড়লাম - বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত 'শ্রেষ্ঠ গল্প' মলাটে।
পড়েই আফসোস হলো - এতো দেরী করে পড়লাম কেন!
সাভারের আশুলিয়ায় আগুনের ঘটনা শুনেছেন?
-কী বলেন আপনি! শুনবোনা কেন? আমি ভাই সচেতন মানুষ। দেশ দুনিয়ার খবরাখবর রাখার চেষ্টা করি সবসময় । আহ! কী হৃদয় বিদারক ঘটনা। আমি কিছুতেই মানতে পারিনা এটা নিছ্ক দুর্ঘটনা । এটা শ্রেফ হত্যাকন্ড। কোনো সভ্য মানুষের পক্ষে এটা সহ্যকরা সম্ভবনা।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনি কী কী করেছেন?
[justify]গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে এত বড় দুর্ঘটনাটা আর সবার মত নাড়িয়ে দিয়ে গেছে আমাকেও। মনে হচ্ছে এত দূর থেকে হাহুতাশ করা ছাড়া কিছুই মনে হয় করার নাই। কিন্তু আমরা হতাশ হয়ে, শোক দিবস পালন করে, গার্মেন্টস মালিক কিংবা পোষাক ক্রেতাদের গালি দিয়ে একজন শ্রমিককেও যেমন ফিরিয়ে আনতে পারব না, ভবিষ্যত মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতেও কিছু করতে পারব বলে মনে হয় না। বরং কিছুদিন পর আমরা সবই ভুলে যাব, আবার আগুন লাগবে কো
[justify]মনোসন্তোষপুর নামটি অতি মনোরম। নিশ্চিন্তপুরের মনোসন্তোষপুরে আমরা সবাই অতি নিশ্চিন্তে মনে সন্তোষ নিয়েই ছিলাম। সকাল বিকাল নিশ্চিন্তপুরের রাস্তায় ছোট ছোট ময়লা পায়ে পুরনো ছেড়া স্যান্ডেলের ঘর্ষণে মৃদু ধুলোময় পথে রেহানারা ছুটে চলে। আমরা আমাদের পোর্শে সিডানের চৌকশ চালকের পেছনের সীটে আয়েশে হেলান দিয়ে গাড়ির কালো মোটা কাঁচের ওপার থেকে পথ চলার নিয়ম না জানা ওদের ভীরু পায়ে এগিয়ে চলা দেখি। ওদের আমরাই জী
না না, আপনারা বিচলিত হবেন না। আপনারা বসুন। আপনারা শান্ত হোন। আপনাদের কাপড়ের দাম বেড়ে যাবে না। শুধু লাল রংগুলো খানিকটা ক্রিমসন হয়ে যেতে পারে কিছু দিন। পুড়লে যা হয় আরকি। ওসব আমরা সামলে নেব ঠিক। ক’টাই তো মোটে মানুষ মরেছে। এখনো অ-নেক উদ্ধৃত আছে।