ব্লগে লেখালেখি করেন এমন এক ছোটবোনের সাথে গতকাল কথা হচ্ছিল, তিনি এখনকার খিচুড়ি মার্কা বাংলার প্রচার ও প্রসার নিয়ে উদ্বিগ্ন। চেষ্টা করছেন নিজে সম্পূর্ণ শুদ্ধ বাংলায় কথা বলা ও লেখা শুরু করবেন এবং ধীরে ধীরে অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করবেন। আমি উনার উদ্দেশ্যকে শ্রদ্ধা করি। দেশের বাইরে থাকার কারণে আমি নিজেও এই দোষে দোষী। তবে উনার চিন্তাটা আমার ভেতরে কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আপনাদের মতামত জানার জন্য ব্লগে
অসভ্যতার সবগুলো সীমা অতিক্রম করে ফেলেছি আমরা।
নিম্নমানের এক ভিডিও'র ট্রেইলার (ধর্মান্ধরা একে মুভি বলে, আমার রুচিতে বাঁধে একে মুভি বলতে) নিয়ে আমাদের দেশের ধর্মান্ধরা যা করল, তাতে মনের মধ্যে দেশের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত হয়েছিলাম।
ধর্মান্ধরা ইউটিউব বন্ধ করার জন্য আন্দোলন করল। ওরা সফলও হল। সরকার ইউটিউব বন্ধ করে দিল।
মনে পড়ল এডমুন্ড বার্কের উক্তি-
নাম যেমন মানুষ কর্মসুত্রে পায় না, তেমন পায় না ধর্ম, দেশ, সংস্কৃতি, ভাষা। এর সবই আসে জন্মসুত্রে।
ড.ইউনূস অর্থনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট একজন মানুষ হলেও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাবার পর শান্তির একজন দূত হিসেবেই দেশ বিদেশের মানুষের কাছে পরিচিত পান। কিন্তু নিজের গ্রামীন ব্যাংক এবং হালের সামাজিক ব্যবসা ছাড়া তাকে বিশ্ব শান্তির কোন বিষয় নিয়েই সরব দেখা যায় না। বিশ্ব শান্তির কথা না হয় বাদই দিলাম দেশের শান্তি যখন বিনষ্ট তখন কেন তাকে সক্রিয় দেখা যায় না - বর্তমানে এ প্রশ্ন সবার।
২০০১
আজকে ভোর থেকে একটু একটু মন খারাপ।
দিন এগিয়ে যায়, সাথে সাথে মন খারাপ ভাবটা আরো বাড়ে। খবর শুনি। খবর দেখি। খবর পড়ি। ফোনে কথা বলি। মন খারাপ ভাবটা আরো জেঁকে বসে। বন্ধুকে জিজ্ঞেস করি - কি অবস্থা বাড়ির, সবাই ঠিকঠাক আছে তো। সে আশ্বস্ত করে- এখনো পর্যন্ত সব ঠিকই আছে। আমাদের দিকে কোন ঝামেলা নাই। আর ওইদিকে আমাদের আত্মীয়স্বজনও খুব বেশি নাই।
তা হবে। ওরা পয়সাওয়ালা। পড়ালেখাওয়ালা। গ্রীনকার্ডওয়ালা।
“যৌক্তিকতা আর বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির বিরূদ্ধে সবচেয়ে বড় হুমকি যদি ধর্ম না হয়, তাহলে কোনটা?
মোহাম্মদ জবুথবু হয়ে ল্যাবের সোফায় বসে আছে। ঝিমুচ্ছে। কানাডা সরকার ইরানের দূতাবাসকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এমন দুঃসময়ে বেচারার ইরানী পাসপোর্ট হারিয়েছে, আরো হারিয়েছে কানাডার স্টাডি পারমিট। বাস্তবতার কড়াঘাতে সে মূহ্য।
আমি একটা ফোনের জন্যে অপেক্ষা করছি। এই ঘনঘোর দুঃসময়ে মোহাম্মদ নিশ্চয়ই আগের মতো বিনা নোটিশে দার্শনিকতা কপচানো শুরু করবে না। এই ভরসায় সোফার অন্য প্রান্তে গিয়ে বসলাম। মোহাম্মদের ক্লান্ত বন্ধ চোখটা মুহূর্তে খুলে গেলো। ধীরে ধীরে ঘাড়টা ঘুরালো আমার দিকে। আমি মুখে হাসি নিয়ে ভয়ে ভয়ে তাকালাম।
[i]শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর হলো: যুক্তরাষ্ট্রে 'ইনোসেন্স অব মুসলিমস' নামক চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতিবাদে আজ সকালে ইসলামী মৌলবাদী নামে পরিচিত ১২টি রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়া এবং বেলা ১১টার দিকে প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে অগ্রসর হতে চেষ্টা করার সাথে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ, গ্রেফতার, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং বেশ কিছু যানবাহন পোড়ানো ও ভাঙচুরের পর এই দলগুলো
অনলাইন গন মাধ্যম নীতিমালা-২০১২ যে উদীয়মান বিকল্প মিডিয়া কে বিকাশ এর আগেই কণ্ঠ রোধ এর একটা প্রচেষ্টা চেষ্টা তা একটা শিশুও বোঝে। এই নীতিমালায় কি আছে একটু ভালো ভাবে দেখা প্রয়োজন।এই আইনটাকে সরকার এবং এই কানুন এর মুল লেখকদের দৃষ্টিভঙ্গি মাথায় রেখে ব্যাখ্যার চেষ্টা করেছি।
দীর্ঘ হয়ে যাবে বলে এই কিস্তিতে শুধু মাত্র প্রথম দশটির ব্যাখ্যা আছে। পরবর্তী কিস্তিতে বাকি গুলো আসবে।