গত ১ জানুয়ারি ফেইসবুকে বুয়েটের আপডেট পাচ্ছিলাম বিভিন্ন বন্ধুর স্ট্যাটাস, ব্লগ ও ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে। দেখলাম, সবাইকে বুয়েটে যেতে বলা হয়েছে বিকাল চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে। যাবো কিনা যখন ভাবছিলাম, তখনই ফেইসবুকে ইশানের এক্সরে রিপোর্টের ছবি দেখলাম। এটা দেখে আর থাকতে পারি নাই। ছুটে গেলাম বুয়েটে। ’০৬ ব্যাচের অনেকেই তখন হলে গেছে সারা রাত ক্লান্তির পর হয়তো একটু জিরিয়ে নেবার আশায়। সন্ধ্যার পর থেকে আবারো যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে কিনা! যাই হোক, সন্ধ্যার দিকে আমাদের ’০৪ ব্যাচের বেশ কিছু বন্ধু আসলো, অন্যান্য ব্যাচের স্টুডেন্টরাও আসতে শুরু করলো একে একে। আমরা ’০৬ এর ভাইদের বললাম যে আমরা তাদের সাথে আছি। তারা আমাদের বলল তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে। তখন তাদের যে কথাগুলো বলেছিলাম, সেগুলোই আজ এখানে লিখে দিচ্ছি।
বিষে বিষক্ষয় বলে যে ব্যাপারটা আছে আমার বেলায় সেটা একবোরেই অকাট্য। দুঃখ, বিষন্নতা, হতাশা এই জাতীয় প্রতিটি ব্যাপার থেকে বের হতে আমার বিষে বিষক্ষয় পদ্ধতির ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। যেরকম একবার এক কষ্ট পেয়ে মূক ও বধির হবার উপক্রম হয়েছিলো, তখন আমাকে বাচাঁয় The Bicycle Thief.
ছোটবেলায় আমার পছন্দের একটা কাজ ছিল রেলস্টেশনে গিয়ে পত্রিকার জন্য অপেক্ষা করা। সপ্তম-অষ্টম শ্রেণী থেকেই এই কাজটা করতাম। নবম শ্রেণীতে সাইকেল পাওয়ার পর ইশকুলের দিনগুলো ছাড়া বাদবাকি সব দিনই দুপুরের ঘুম বাদ দিয়ে সোজা ইস্টিশনে চলে যেতাম। ঢাকার কমলাপুর থেকে ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে দিনের প্রথম ট্রেন অর্থাৎ মহুয়া এক্সপ্রেস নামের যে মেইল ট্রেনটি ছাড়ে, সেটি ময়মনসিংহ হয়ে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌঁছতে পৌঁছতে দুপুর একটা
ডিসেম্বরের মিষ্টি একটা বিকেলে যখন আমার রুমের পেছনের বাউবাব গাছের মাথা থেকে “ ইয়াহু” বলে বাতাসে লাফ দিয়ে পড়ে তুলোর মখমল-কোমল ফুলেরা তখন এক মুহুর্তের জন্য ভুলে যাই দুঃখের বিলাসী কবিতার পংক্তিগুলো।
মুক্ত মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার কুৎসিত আভিলাসটি নানামহল থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই আমাদের সামনে আসছিল। এলজিআরডি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম-এর সাম্প্রতিক বক্তব্য আমরা পড়েছি। তিনি বলেছেন নিজেদের ক্রেডিবিলিটি ধরে রাখতে ব্লগগুলো মনিটর করুন। এটা যে শুরুর ইঙ্গিত ছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সেই শুরুটাকে আরো অনেকেই যুক্তি(!) এবং উৎসাহ দিয়ে এগিয়ে নিতে চাইছেন। কেন চাইছেন সে বিষয়টি ব্লগেই স্পষ্ট করেছেন সচলায়তনের সহব্লগার হিমু ভাই।
ইদানিং কিছু ছেলেপেলে দেখা যায় বড় ভাইয়া বলে সম্বোধন করে। কেমন যেন বিব্রত বোধ করি।বিব্রত হবার মত যথেষ্ট কারনও আছে। এইট-নাইন পড়ু্য়া ছেলেগুলোর সাইজ হাতির মত,লাল লাল চোখ,মুখ ভর্তি খোঁচা খোঁচা দাড়ি-গোঁফ ,গড় গড় করে হিন্দী বলে,রাস্তায় দেখলে মোটা মোটা দুই হাত বাড়িয়ে গর্জন করতে করতে ছুটে আসে !! কি ভয়ংকর ! দেখতে দেখতে আমিও বড় ভাই হয়ে গেলুম.. ছোটবেলায় ভাবতাম কখন বড় হব্,কখন বড় হব.. আর এখন ?? আফসুস ,গাধার মত বড় হয়েই যাচ্ছি..
বাংলাদেশের ভাল ছাত্ররা কি বিদেশে চলে যাচ্ছে? এই নিয়ে আমি আগে বেশ কিছু লেখা পড়েছি। সচলায়তনের চটজলদি প্রোফাইল দেখলে ঘটনাটা সত্যি বলে ধরে নেওয়া যায়। মোটামুটি বুয়েটিয়ান বলে যে ক'জনকে চিনি তারা সকলেই বিদেশে অবস্থানরত - হিমু জার্মানীতে, জাহিদ কানাডায় বা মুর্শেদ আমেরিকায়। দিনকয়েক আগে আমি নিজের লিঙ্কড-ইন প্রোফাইল আপডেট করার সময় দেখলাম লিঙ্কডইন সুন্দর পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় পিছু। লিঙ্কডইনে আমার বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত পরিসংখ্যান লিখে নিয়ে বুয়েট-সংক্রান্ত হিসাব শুরু করলাম। যা হিসাব পেলাম তা নিয়েই পোস্ট।
২০০৮ সালের কথা আমি তখন মেডিকেল কলেজে চতুর্থ বর্ষে পড়ি। আমার এক সহপাঠী বন্ধু আমাকে বলেছিল,কি বিয়ে টিয়ে বসবি না ?
আমি তার দিকে প্রশ্নপূর্ন দৃষ্টিতে তাকাতেই সে বলল,বয়স তো আর কম হয়নি ?
আমি বললাম,তোর প্রথম প্রশ্নটাইতো ঠিক মতো বুঝতে পারিনি আবার দ্বিতীয় প্রশ্ন করছিস কেন ?
সে বলল, বুঝতে পারছিস না কেন ? আমি কি হিব্র“ ভাষায় কথা বলছি ?
১৯৬২ সালের এক ছয় বছরের অনুসন্ধিৎসু বালকের কথা বলি। ডাক্তার বাবার ব্যাগ থেকে সবক’টা থার্মোমিটার হাতুড়ি দিয়ে ভেঙ্গে যে দেখতে চেয়েছিলো, পারদ কি জিনিস! রেডিওতে গান শুনে শুনে বাবার কাছে প্রশ্ন করে বসলো, সব গানগুলোর এই ‘তুমিটা’ কে বাবা? মাকে বান্ধবীদের কাছে গল্প করতে শুনে যে তার জন্ম হয়েছে আটমাসে আর বড়ভাইটির সাতমাসে, মাকে অপ্রস্তত করে শুধিয়ে, কোন্ দিন থেকে আটমাস গুণেছিলে মা?