জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যখন এক পা দু পা করে ধীরে ধীরে ইমিগ্রেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম, খুব ইচ্ছা করছিল একবার পেছনে ফিরে দেখি স্বচ্ছ কাচের ওপাশ থেকে যারা আমার গমনপথের দিকে তাকিয়ে আছে তারা কে কি করছে। মিনিট খানেক আগে হাসিমুখে সবাইকে বিদায় দিয়ে তখনো আমার মনে হচ্ছিল এ বছরের অস্কার বিজয়ী অভিনেতাও মনে হয় আমার মত ভাল অভিনয় করতে পারে নাই। আমি বুঝতে পারছিলাম যে প্রতিটা পদক্ষেপে আমি আমার জীবনের সবচেয়ে
আগের পর্বে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় কৌশলের অনুসিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনার পটভূমি নিয়ে কথা বলেছিলাম।
[justify]
সপ্তাহখানেক আগে শিক্ষাসফরে মাওয়া যেতে হয়েছিলো। পথের মধ্যে নির্মানাধীন যাত্রাবাড়ি গুলিস্থান উড়াল রাস্তার অংশটুকু পার হতে হয়েছিল। ঐ এলাকায় বাতাস ধূলাবালি দিয়ে ভর্তি - এক অসহ্য অসভ্য অবস্থা; অথচ আমি প্রায় নিশ্চিত যে ঐ প্রকল্প অনুমোদন দেয়ার সময়ে নির্মানকালে এই ধরণের বায়ু দূষণ রোধ করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বিষয়ে অঙ্গীকারনামা দেয়া হয়েছিল - এই ধরণের অঙ্গীকারনামা ছাড়া কোন প্রক
নেপালের বই এর দোকানের সুখ্যাতি শুনেছিলাম ওখানে যাবার আগে। পৌঁছে শোনা কথার সত্যতা স্বীকার করতে হোলো।
পোখারায় হিমালয়ের ছায়া আকাশে আকাশে, তাই ফেরার সময় হিমালয় অভিযানের গল্পই ব্যাগ-বন্দি করে নিলাম। বইয়ের নাম ‘ব্রেকিং ট্রেইল – আ ক্লাইম্বিং লাইফ’, লেখিকা- আরলিন ব্লুম।
যেকোনো ম্যাৎকার বিরক্তিকর। কিন্তু ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার ম্যাৎকার তুলনাহীন।
ক. নেপোবাবুর প্রত্যাবর্তন
সরকারের দায়িত্বসম্পাদনায় নাগরিক অসন্তুষ্ট। সরকারকে গালি দেয়ার তার অধিকারটি মৌলিক। নাগরিক গালি দিচ্ছে। গালিতে কাজ যে খুব কাজ হচ্ছে তা না। কিন্তু তারও চেয়ে বেশি আপত্তিকর, সরকার তার কাজকর্মের কোনো ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজন বোধ করছে না। এগুলো জানা সমস্যা। বিরাট এইসব সমস্যার পাশে, একটা আপাতদৃষ্টিতে ছোট মুশকিল দেখতে পাই। কিছুদিন হল, এই দুর্যোগের সুযোগে, দৈনিক প্রথম আলো, বাংলাদেশের নেপোসমাজের মুখপত্র, তার আস্তিনের নিচের ছুরিকাটি আবার বের করতে শুরু করেছে। সামরিক শাসন কায়েমের মাধ্যমে নেপোতন্ত্র বাস্তাবায়নের স্বপ্ন ভেস্তে যাওয়ায় ছুরিকাটি আস্তিনের নিচে চালান করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিত অনুকূল হতে শুরু করেছে।
একটি দেশের পররাষ্ট্রনীতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ তাদের সেনাবাহিনীর পরিচালনা কৌশল। আর সেই দেশটি যদি পাকিস্তান হয়, তবে সেখানে সেনাবাহিনীর পরিচালনা কৌশলই আদতে দেশটির পররাষ্ট্রনীতি। এটা ৪৭, ৬৫, ৭১ এ যেমন সত্য ছিল, এখনো আছে। এবছরের নভেম্বরের ২৬ তারিখের ঘটনা ও তারপরের বহুল প্রচারিত কেচ্ছাকাহিনিতে সেটাই দেখা গেছে।
[sup]দেশে ফেরার পর বেশ কিছুদিন কোন কাজ করিনি, এমনকি লেখালেখি ও না। শুধু ঘরে সময় দেয়া, আর মাঝেমাঝে ঘুরাঘুরি। তরুনদের ঘুরাঘুরিরএকটা দলের সাথে মিশে গিয়ে উত্তর সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো দেখা হলো, এই অঞ্চলের মানুষ হয়ে ও এর আগে এমন করে দেখা হয়নি। পারিবারিক ঝুটঝামেলা শেষে গত আগষ্ট থেকে নতুন করে যখন কাজ শুরু করলাম, ঘটনাক্রমে সেই উত্তর সিলেটই হয়ে গেলো আমার কাজের প্রধান একটা অংশ। উত্তর সিলেটে পর্যটন
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইআর) বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের অর্থাৎ দুই প্রজন্মের যে মিলনমেলা উপলক্ষ্যে যে অনুষ্ঠানটি হলো, তার স্লোগানটি ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে বিসদৃশ লেগেছে। স্লোগানটি হুবহু মনে নেই, কিন্তু কথাগুলো এরকম- শিক্ষা-বিষয়ে ডিগ্রি না থাকলে কাউকে শিক্ষাবিদ বলা যাবে না। সকালে আইইআরে গিয়ে আইইআর অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের তৈরি করা ব্যানারে স্লোগানটি দেখে যা
লেখক: -মুহিত হাসান দিগন্ত
এক. ধান ভানতে শিবের গীত...খানিক ব্যক্তিগত প্রারম্ভিক :
এটা একশ ভাগ ঠিক যে— আমাকে কোনোভাবেই একজন নিয়মিত ব্লগার বলা যাবে না, তবু গত জুলাই মাস জুড়ে ভিকারুননিসা নুন স্কুলের যুগপৎ সাহসী এবং প্রতিবাদী ছাত্রীদের নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনের সময় বিভিন্ন ব্লগসাইটে ও ফেসবুকে যেসব লেখাপত্তর চলছিলো- তার বেশিরভাগই পড়তাম।