আমি যখন পণ্ডিতমশাই…(১)
আমি যখন পণ্ডিতমশাই…(২)
আমি যখন পণ্ডিতমশাই…(৩)
ছোটোবেলা থেকেই জেনে এসেছি স্টুডেন্ট মানে হলো শিক্ষার্থী বা ছাত্র-ছাত্রী। কিন্তু ভার্সিটিতে এসে আমার এই আটপৌরে ধারণা অচল বলে প্রতীয়মান হলো। বিশেষতঃ হলে উঠার পর প্রকৃষ্টরূপে জ্ঞাত হলাম যে, স্টুডেন্ট মানে ছাত্র-ছাত্রী নয়, স্টুডেন্ট মানে হলো শুধুই ছাত্রী। একজন ছাত্র হিসেবে তাৎক্ষণিকভাবে আমি এই স্টুডেন্টশীপ হারানোর ঘটনায় তীব্র মনঃক্ষুন্ন হলেও শেষ পর্যন্ত মেনে নিতে বাধ্য হলাম। তাছাড়া এ ঘটনার প্রতিবাদে বুয়েটের ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত বিক্ষোভ-সমাবেশ, অনশন-ধর্মঘট কিংবা মানববন্ধনের ন্যায় কোনোপ্রকার বলিষ্ট কর্মসূচী নেয়া হয়েছিলো বলে শোনা যায় না।
এপ্রিল, মধ্য দুপুর। গনগনে আগুন ঢালছে চৈত্র মাসের সূর্য। আমি আর আরো ছয়জন অপেক্ষা করছি। কোথায় যেন শুনেছিলাম, অপেক্ষা করার মত যন্ত্রণা নাকি আর কোন কিছুতেই নেই। আর যদি কিসের জন্য অপেক্ষা, তা না জানা থাকে, তাহলে তো কথাই নেই। আমি যন্ত্রণা বোধ করছি না। আমি জানি কিসের জন্য আমার অপেক্ষা। আমাদের। বদির চিপ দিয়ে এক ফোঁটা ঘাম বেয়ে নামছে। আমি পুর্ণ মনযোগ দিয়ে শুধু ঐ বিন্দুটা দেখছি। এমন একটা ফিগার যেন কি একটা শব
আমার টিউশনি জীবনের শুরুর দিকে একটা ক্লাস সিক্সের ছেলেকে গুলশান-২ এ গিয়ে পড়াতাম। সেইরকম অভিজাত এক পরিবার! দারোয়ান, কেয়ারটেকার সহ আরো কয়েকজনের কাছে জবাবদিহিতা এবং কয়েক জায়গায় সাক্ষরদান ছাড়াও গার্জিয়ান ফোনে কনফার্ম করার পরেই কেবলমাত্র বাসায় প্রবেশের অনুমতি মিলতো। যাই হোক, সবই সয়ে নিয়েছিলাম কারণ মাস শেষের প্রাপ্তিটা বেশ খুশি করার মতোই ছিলো। আর তাছাড়া আমার টিউশনির বাজারটাতেও তখন বেশ মন্দা যাচ্ছিল। তো, টিউশনির শুরুতে বলা হয়েছিলো যে, সপ্তাহে চারদিন(সাধারণত তিনদিনের বেশি পড়ানো হয় না। কিন্তু ঐ যে বললাম, বাজারে মন্দা চলছিলো।) সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত পড়াতে হবে। কিন্তু সৌভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্যজনক ভাবেই হোক, টিউশনির প্রথমদিন থেকেই আমার মহাব্যস্ত স্টুডেন্টের শিডিউল পাওয়াটা ‘লাম্বার ওয়ান ছাখিব কান’ এর শিডিউল পাওয়ার চেয়েও কঠিন কাজ হয়ে দেখা দিলো।
নিজের ছাত্রজীবন এখনো শেষ না হলেও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাকেও ছাত্র আর গুরুর দ্বৈতভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠার আগে বাড়ি থেকেই টাকা নিতাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঠার পরপরই নিজেকে বড় বড় মনে হতে লাগলো। ফলে বাবার কাছে টাকা চাইতে গিয়ে মনের বাধাটা এলো দু’ভাবে। একদিকে স্বাবলম্বী হওয়ার তথা নিজের পায়ে(কেউ কি অন্যের পায়ে হাঁটে নাকি!) দাঁড়ানোর উত্তুঙ্গ বাসনা আর অন্যদিকে মধ্যবিত্ত বাবার কষ্ট
আমার মেয়ে ‘তুংকা’ খুব ভালো স্কুলে ভর্তিপরিক্ষায় উতরে যাবার পর আমার আকাশ ছোঁয়ার আনন্দ হয়েছিলো। ভর্তির নিয়ম কানুন ইত্যাদি জানার জন্য স্কুলে যাবার পর মাথায় বাজ পড়লো। স্কুল শুরু এগারোটায়। সর্বনাশ ওকে স্কুলে নামাবে কে? আগের স্কুল ছিলো নয়টায়, মেয়েকে নামিয়ে সময়মতো অফিসে পৌঁছে যেতাম। তুংকার বাবার এক দূরের চাচাকে অনেক অনুনয় করে স্কুল শেষে বাসা পৌঁছে দেবার কাজটা গছিয়ে দেয়া গিয়েছিলো। বিনিময়ে যখন তখন গাড়িটা তাকে ব্যবহার করতে দিতে হতো।
আগের পোস্টগুলোতে ছবি নিয়ে শুধু গপ্পোই হচ্ছিল। আড্ডা, মন্তব্য ইত্যাদির ফাঁকে কেউ কেউ অনুরোধ করেছেন টিউটোরিয়াল দেওয়ার জন্য। এই পোস্টের গপ্পোটা তাই কিঞ্চিত শিক্ষণীয় গোছের।
যে কোন শিল্পের উপর দক্ষতা মোটা দাগে দুইটা জিনিসের উপর নির্ভর করে -
১। একটি নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর মাধ্যমে ব্যক্তিগত অনুভবের শৈল্পিক রূপান্তর
২। এই রূপান্তরের টেকনিক বা কারিগরী দিক
স্বপ্নে এক মুক্তিযোদ্ধার সাথে বর্তমানের এক তরুণের দেখা। প্রথমজনই কথা শুরু করলেন।
-রাজাকার কারা?
-একাত্তরে যারা রাজাকার দলের সদস্য ছিল তারা।
-রাজাকাররা কি ঘৃণ্য?
শৈশবে আমার বাচন যন্ত্রটিতে কিছু ঝামেলা ছিল। কথা বলা শুরু হতেই বোঝা গেল, এই মেয়ে ‘ত’ ততিয়ে কথা বলে। যেমন বাবার নাম জিজ্ঞেস করা হলে জবাব দেই, ‘তায়েত তালোয়াল’ (জাহেদ সারোয়ার)। প্রথম দিকে এটা নিয়ে বিশেষ কেউ চিন্তিত না হলেও স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর ঝামেলার ব্যাপারটা বোঝা গেল। আমার তোতিয়ে কথা বলাটায় অন্যরা মজা পেতে শুরু করেছে। বড়রা তো আদর করার ছলে হাসি ঠাট্টা করতোই, ছোটরাও ভেঙ্গানো শুরু করলো। মনে
আজ (১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১১) অফিসে আসার পথে দেখলাম রাস্তায় হলুদ টিশার্ট পরিহিত বেশ কিছু তরুণ-তরুণী আয়কর দেয়া নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে। তাদের কাছ থেকেই জানা গেল আজ আয়কর দিবস। তারা রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে কিংবা সিগন্যালে গাড়ি থেমে থাকার সময় মানুষদের কাছে গিয়ে আয়কর-সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানাচ্ছেন। আয়কর দিলে কী সুবিধা, না দিলে কী সমস্যা হতে পারে ইত্যাদি বিষয় খুব সংক্ষিপ্তাকারে তারা চমৎকারভাবে উপস্থাপন কর
উইকিমতে আমাদের দেশের এ মূহুর্তে সম্প্রচাররত টিভি চ্যানেল মোট ২০টি ১। আমার জানামতে আরও বেশ অনেকগুলো চ্যানেল সম্প্রচার শুরু করবার বিভিন্ন পর্যায়ে আছে। নানান স্বাদের নাটক, বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান ছাড়াও এই টিভি চ্যানেলগুলোর বিশেষ আকর্ষণ সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে প্রচারিত সংবাদ আর টক-শো। টক-শো বা সংবাদ-প্রচারের সর্বোচ্চ টাইম-স্লটের দিক থেকে বিবেচনায় আমাদের ব্রডকাস্ট মিডিয়া একেবারে