সতর্কতা :
ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কার বা মুক্তচিন্তায় যাঁদের সংবেদনশীলতা রয়েছে, তাঁদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে।
…
২ দিন আগের কথা।
-হ্যালো।
-হ্যালো, আমি নিশু।
-সুন্দরী! তোমার খবর কি?
-সুন্দরী! যাক শেষ পর্যন্ত তুমি আমাকে সুন্দরী বললা।
-সুন্দরী বলছি নাকি? বুল অয়ে গেচে। এই বুলের কুনু কমা নেই। আমি আসলে বলতে চেয়েছিলাম সুন্দরীর বান্ধবী। তোমার সেই ‘অপ্সরা’ বান্ধবীর খবর কি?
-অই ব্যাটা। ঠিক হবি কোনদিন? নাকি লুল প্রজাতী হয়ে যাচ্ছিস?
আমাকে কেউ যদি জিজ্ঞেস করে আমার সবচেয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার কথা , নিঃসন্দেহে সেটি ছিল বাবার মৃতদেহ ঘরে এসে পৌছানোর অপেক্ষা । রাত প্রায় আড়াইটার কাঁচা ঘুম ভেঙ্গে গিয়ে যদি বুঝতে পারেন, আপনার বাবা যাকে খুব সাধারন এবং আপাতঃদৃষ্টিতে নিরিহ একটা পেটব্যথার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল তিনি আর নেই , তখন কেমন লাগে ?
'বাউল আব্দুল করিম বলে.
জীবন লীলা সাঙ্গ হলে.
শুয়ে থাকব মায়ের কোলে.
তাপ অনুতাপ ভুলে।'
তিনি শুয়ে আছেন, তাঁর মতোন। আমরা ও প্রায় ভুলতে শুরু করেছি আমাদের মতোন। তাঁর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে তাই কোথাও তেমন কোন উচ্চারন নেই। না থাক, তুচ্ছ আমাদের বিস্মরনে আসলে কিছুই যায় আসেনা তাঁর।
সচলায়তনে তাঁকে নিয়ে নানা সময়ে লিখা কিছু পোষ্টের লিংক রেখে গেলাম। হয়তো পড়বেন কেউ, হয়তো মনে করবেন কেউ।
দুপুর দুইটায় ফ্রেশার ডিউটি ডাক্তার চলে গেলেন। পরে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার এলেন আর এলেন দারুণ এক নার্স। মরমা এই মেয়ের নাম তিংতিং! একদম শেষ পর্যন্ত আমাকে অসম্ভব সাহায্য করেছে সে। বিকাল তিনটায় আমাকে ব্যাথা বাড়ার ঔষধ দেয়া হলো। ব্যাথার ঔষধ মানে Oxytocin।মেয়েদের শরীরে সহজাতভাবেই এটা তৈরি হয়। সিন্থেটিক ফর্মে Pitocin দেয়া হয় স্যালাইনের মাধ্যমে যাতে ব্যাথার তীব্রতা বাড়ে আর জরায়ুর মুখ তাড়াতাড়ি খুলে যায়। নার্স মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করলাম কতক্ষন লাগবে, সে বললো তিন ঘন্টার মতো। আমি জানতাম লেবার এর গড়পড়তা সময় আট ঘন্টা তবু সেসময় সেটা ভুলে গেলাম। তিনঘন্টা কে আঁকড়ে ধরলাম...দিহান, দেখতে দেখতে কেটে যাবে ১৮০ মিনিট, এমন কোনো ব্যাপার না।
হাস্পাতালে টোটাল নী রিপলেস্মেন্ট অপারেশানের তৃতীয় দিনে ঘুমে যখন চোখটা একটু লেগে এসেছে, ঠিক তক্ষুনি নার্স এসে মোলায়েম সুরে জাগিয়ে বললো তার সাথে হাটতে যেতে। তার সাহায্য বিছানা থেকে নেমে ক্রাচে ভর দিয়ে রুম থেকে বারান্দায় বের হোলাম। আমার ঠিক সামনে আমার মতন ক্রাচে ভর করে হেটেঁ চলেছেন আমার পড়শি। অপারেশান হওয়া পা ফুলে একদম কলাআআআ গাছ। নার্স আমাকে বারান্দার শেষ প্রান্তের গন্তব্যর সীমানা দেখিয়ে দিল, যেখানে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা ইতালীয়ান লেদার চেয়ার গুলি বিশ্রামের জন্য আমন্ত্রন জানাচ্ছে। পাঁচ মিনিটের পথ পঁচিশ মিনিটে শেষ হোল। পড়শির সাথে পরিচয় করিয়ে, দুজনের সামনে দুটি টোস্ট এবং এক কাপ করে রং চা দিয়ে বললো, ‘তোমরা বিশ্রাম, গল্প করো, দশ মিনিট পরে সিড়িতে ওঠা নামা প্রাক্টিস করে রুমে ফেরত যাবে’।
আকাশ তো সবসময় নীল থাকে না, মাঝে মাঝে মেঘ থাকে, রাতের বেলা কালো থাকে। মানুষ আবার মেঘের জন্য অপেক্ষা করে, রাত হলে স্বপ্ন দেখে, কেউ কেউ ছাদে গিয়ে উদাস ভঙ্গিতে বসে থাকে। এইটা কোনো সমস্যা না, সমস্যা হলো—আমরা তরুণেরা অধিকাংশ সময়ে উদাস হয়ে বসে থাকি, চারপাশের কোনো খেয়াল রাখি না। ওদিকে বিশাল বড় মেঘ এই দেশের আকাশ ছেঁয়ে ফেলছে, আসলে মেঘ বলা ঠিক না, কোনো অভিশপ্ত কিছু যার কোনো সমার্থক শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না আর আম
উপস্থাপিকার কন্ঠসর তখন আবেগে রুদ্ধপ্রায়, অডিটরিয়ামের কয়েক হাজার গন্যমান্য ব্যাক্তি তখন উঠে দাড়িয়েছেন শ্রদ্ধায়, টিভি ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ মানুষের চোখ অশ্রুসজল, করতালিতে কেঁপে উঠছে পুরো অডিটরিয়াম, ধীর পায়ে তিনি উঠে এলেন মঞ্চে, উপস্থাপিকা আবেগে জরিয়ে ধরলেন তাকে, সম্মানিত অথিতি তার বক্তব্যে তুলে ধরলেন নারী-পাচারের চরম কিছু অংশ, সবাইকে অনুরোধ করলেন, প্রত্যেকটা মেয়েকে নিজের সন্তান হিসেবে চিন্তা করে তাদের কষ্ট অনুধাবন করতে, যেনো নিজের মধ্যে জাগ্রত হয় আত্মশক্তি, যেনো পুরো সমাজ রুখে দাড়ায় মানুষ পাচারের মতো ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে, নমস্কার জানিয়ে যখন কথা শেষ করলেন, তখন আবার পুরো অডিটরিয়ামের দর্শক উঠে দাড়িয়েছেন, টপ টপ করে চোখ থেকে জল পরছে তখন অনেকেরই, করতালিতে আবার কেঁপে উঠলো পুরো হল| এই দৃশ্য CNN Hero 2010 Award অনুষ্ঠানের| শ্রদ্ধেয় সেই নারীর নাম "অনুরাধা কৈরালা"|
শিশুকালের বর্ণবিভেদ নিরেট মাথায় তেমন একটা ছাপ না ফেললেও ধীরে ধীরে ব্যাপারগুলো বুঝতে শুরু করি
বয়স বাড়ার সাথে সাথে। তবে আরো একটি ব্যাপার এর সাথে শুরু হয় নিজের আজান্তে। তা হলো নিজেই
অন্যদেরকে নানা শ্রেণীতে ফেলে দেয়ার প্রবনতা। আমার মনে আছে ছোট বেলায়, মানে ফোর ফাইভ ক্লাশেও পড়ার সময় আমার সবচাইতে বড় খেলার সাথি ছিল আমাদের বাসায় যে মেয়েটা আমার মাকে ঘরের কাজে সহায়তা করতো ওই মেয়েটা।
[justify]বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে কাঁপিয়ে দেয়া তিনটি ঘটনা ঘটে গেলো গত কয়েকদিনে। প্রথমে জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের এক বহুল আলোচিত সাক্ষাৎকার, এরপরে বিশ্ব ফুটবলের এই মুহুর্তের সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসির ঢাকা সফর এবং সব শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের পদ হতে যথাক্রমে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে অপসারণ।