[justify]তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি হলো না। হলো না ফেনী নদীর পানি বন্টন চুক্তিও। অনেক আশায় বুক বেঁধে ছিলাম। মনমোহন সিংয়ের সফরটা নিয়ে অস্থির হয়ে অপেক্ষা করছিলাম। আশায় গুড়ে-বালি। শেষ মুহুর্তে শ্রীমতি মমতা ব্যনার্জী বেঁকে বসাতে এ যাএায় বাংলাদেশের উত্তর বঙ্গের মানুষের মঙ্গা আরো দির্ঘায়িত হল। তিনি উত্তর বঙ্গের ভারত অংশের মানুষের সমস্যার কথা চিন্তা করে শেষ মুহূর্তে পিছমোড়া দিলেন। এটা তিনি করতেই
নিকশ কালো অন্ধকার। মাঝে মাঝে ময়লা হলুদ ছোপ ছোপ। ব্যাকগ্রাউন্ডে নীল, মাঝে সাদা সাদা ছিটে। একটা আবছা ধোঁয়াশা অবয়ব। এই মধ্যরাতে জনশূন্য রাজপথ আর একলা আকাশের মাঝে মিতালির সাক্ষী হয়ে মৃদু ছন্দে হেঁটে হেঁটে চলে যাওয়া এক কিশোর। কে জানে, তার গন্তব্য কোথায়?
ডাক্তার আমার EDD (Expected date of delivery) লিখে দিলেন ৭ই অক্টোবর। ডেট দেখে আমি খুশি, লাকি সেভেন বলে কথা। কিন্তু পরে জানতে পারলাম এই ডেট ৯৮% ক্ষেত্রে সঠিক হয়না। কন্সেপশনের সময়টা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব। সাধারণভাবে প্রেগন্যান্সির মোট সময়কাল ধরা হয় ৪২ সপ্তাহ।(আমাদের গ্রামাঞ্চলে প্রচলিত দশ মাস দশ দিন কথাটা সত্যি!) তবে ৩৭/৩৮ সপ্তাহ পরে যেকোনো সময়ে বাচ্চার জন্ম হতে পারে। শেষের দিকে বিশ্রাম খুব জরুরী তাই আমি ঠিক করলাম ১৫ই সেপ্টেম্বরের পর ছুটি নিয়ে নেবো। আমার ম্যানেজার জানালেন ১৪ই সেপ্টেম্বর অফিসে বড় একটা ইভেন্ট, নতুন ডিপার্টমেন্ট চালু হবে। সেটা ভালোভাবে শেষ করে আমি ছুটি নিতে পারি।
(যাদের হাতে সময় নষ্ট করা মত প্রচুর সময় আছে, শুধু তারাই এটা পড়ার একটা রিস্ক নিতে পারেন। বাকিদের আগেই বিদায় জানাচ্ছি। ধন্যবাদ।)
‘’কোন জিনিস তুমি দেখছ বর্তমানে, আসলে অতীত?’’
২৫ আগস্ট, ২০১১
সন্ধ্যা হয়েছে, মাঠ থেকে খেলে মাত্রই হোস্টেলের রুমে ঢুকেছি দেখলাম মুঠোফোন বাজছে, কিছুটা বিরক্তি নিয়েই অপরিচিত নাম্বারটা ধরলাম, ওপাশ থেকে লোকাল ইন্টেলিজেন্স এর পরিচিত এক অফিসারের গলা শোনা গেলো, কেমন আছি, কিরকম চলছে এই বৃত্তান্তের ধকল কাটিয়ে চিন্তা করছি কখন আসল কথায় আসবে, তখনি বলে উঠলেন, আমাদের এখানে তিনজন ইলিগ্যাল ইমিগ্রান্ট ধরা পড়েছে, তারা নাকি বাংলাদেশ থেকে এসেছে, তার উপরে তিনজনই নারী, তাদের ভাষা এখানে কেও বুঝতে পারছেনা, তাই পুলিশ কাজ এগোতে পারছেনা, লোকাল ইন্টেলিজেন্স এর পরিচিত হলাম আমি, তাই আমাকে বললেন সাথে যেতে, ভাষা বুঝে তাদের তদন্তে সাহায্য করতে হবে| আমি ভাবলাম ভাষা বোঝা না হয় হলো, কিন্তু দেশের বাইরে এসে পুলিশের ঝামেলায় না জড়ালেই হলো| সাত পাঁচ ভেবে বলে দিলাম পরের দিন সকালে চলে যাবো অফিসে| রাতে জিনিসটা নিয়ে কয়েকবার ভেবেও এটা মাথায় এলোনা, দেশ থেকে এত দূরে ভারতের উত্তরপ্রদেশে মেয়েগুলো এলো কি করে???
[justify]১.
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বড্ড কাড়াকাড়ি। রাজনৈতিক দলগুলো, এমনকী জামায়াত ইসলামীও মুক্তিযুদ্ধের নিজস্ব ইতিহাস বয়ান করে। জনগন তাই বিরক্ত, তারা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে চায়। এমতাবস্থায় প্রথম আলোর সহযোগি প্রতিষ্ঠান প্রথমা নিয়ে এলো গোলাম মুরশিদের বই "মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর, একটি নির্দলীয় ইতিহাস"। সাধু সাধু...
আমার গত লেখাটি ছিল ডিরেক্ট বা প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র নিয়ে। মূল উদ্দেশ্য ছিল বর্তমান রিপ্রেজেন্টেটিভ মূলক নির্বাচন ব্যবস্থার বিকল্প কিছু চিন্তা করা। আজকে আরেকটি সম্ভাব্য বিকল্প নিয়ে আলাপ করবো তা হচ্ছে প্রপোর্শানাল বা সমানুপাতিক ভোটিং ব্যবস্থা।
প্রথমে চিন্তা করি কেন আজকের এই আলোচনা। আমাদের দেশের প্রধানতম সমস্যা হচ্ছে যে রাজনীতি আজ সব নষ্টদের অধিকারে চলে গিয়েছে। বর্তমান অবস্থাটি এমন যে রাজনীতিতে ভালো মানুষ আসতে চায় না। প্রধান দু’টি দলেই আজ কালো টাকা আর পেশি শক্তি ওয়ালা ব্যক্তিদের ছড়াছড়ি। রাজনীতিতে তারাই এখন সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। রাজনৈতিক দলগুলো এখন এই সব ব্যক্তির হাতে জিম্মি। এখন চলুন একটু চিন্তা করে দেখি বর্তমান ভোটিং ব্যবস্থা কি এর সাথে কোন ভাবে সম্পর্কিত হতে পারে? রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে এই দুর্বৃত্তদের হাত হতে মুক্ত করতে কোন বিকল্প কি আছে?
প্রশ্নটি উত্থাপিত হয়েছে সচলায়তনের ফেইসবুক গ্রুপে। জনৈক সচল জানান:
বাংলাদেশের মতো মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রে হিজাব বা ইসলামিক আচ্ছাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে দেশে জলবায়ু মূলত গরম এবং আর্দ্র সে দেশে প্রকৃতপক্ষে হিজাব পরার জন্য উপযুক্ত নয়। ৫০-৭০ দশকে এই হিজাব মূলতঃ এক্সট্রিম ইসলাম মনস্কদের মাঝে বিরাজ করলেও ৯০ এর দশক থেকে এই মনোভাবের পরিবর্তন আসতে শুরু করে। দেখা যায় খুব ইসলাম মনস্ক না হয়েও স্বেচ্ছায় একদল নারী হিজাবকে বেছে নিচ্ছে। হিজাব যদি পুরুষ শাসিত সমাজে নারীদের দমিয়ে রাখার একটা হাতিয়ার হয়ে থাকে তাহলে এই পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গীর ব্যাখ্যা কি? হিজাব কি পরাধীনতার প্রতীক নাকি স্বাধীনতার?
আমার ল্যাপটপটা বুড়ি হয়ে গেছে। বহুদিন আগেই তার ব্যাটারির তেজ ফুরিয়ে এসেছিলো, সেটা খুলে রেখে পুরোদস্তুর ডেস্কটপ বানিয়ে ফেলেছি তাই। দজ্জাল শাশুড়ির স্ট্যাটাস নিয়ে সে এখন আমার ঘরে বিরাজমতী, ঘরের বাইরে নিয়ে গিয়ে আর দশজন লোকের সামনে বার করলে মানসম্মান আর থাকবে না।