ঈদ পরবর্তী অলস সময়ের বিজ্ঞাপন-মুক্ত শুভেচ্ছা
শুরুতেই পুরনো সতর্কবাণী আবারও দিয়ে নিচ্ছি। জগাখিচুড়ি কোমল পেটে হজম হবার নয়। এ খিচুড়িতে বিভিন্ন ধরনের মসলা আছে, তাঁর মধ্যে কিঞ্চিৎ (!) অশ্লীলতার গন্ধ পেতে পারেন কেউ কেউ।
[এটি একটি রূপকথা। বাস্তব কোনও ঘটনা বা পারম্পর্যের সাথে এর কোনও মিল নাই।]
[justify]নগর পরিবহনের আর জনপথগুলোর অবস্থা বেহাল কি সুহাল তা নির্নয় করা আমার লেখার উদ্দেশ্য নয়। এই নগরে চলতে গিয়ে আমার কি হাল হয়েছে তাই বিবেচনায় আনতে চেষ্টা করব। এ নগরটা বড়ই আজিব, তারচেয়ে আজিব এই নগরের মানুষগুলা। এরা প্রতিনিয়ত আমারই মত কসরত করে যাচ্ছেন কিন্তু এদের কোন ক্লান্তি নাই। রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে, মাইলের পর মাইল হেটে, রিক্সা, বাস, সিএনজি, ক্যাবের পেছনে ছুটেও এনারা
১.
তারেক মাসুদের মৃত্যুর পর সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে প্রত্রপত্রিকায় প্রচুর লেখালেখি হয়েছে। টেলিভিশনে প্রচুর কথা বলা হয়েছে। ঘরে বাইরে অফিসে আদালতে বাসে কারে পার্কে ফুটপাতে ফুচকা চায়ের দোকানে, কথা-কথা। প্রচুর শব্দ ব্যবহৃত হয়ে গেছে। যারা দেশসমাজভাবনায় বিভোর, তাঁরা বোধকরি কলম ঘষে কলাম লিখতে গিয়ে সবচেয়ে বেশী সবচেয়ে ভারসম্পন্ন কথাগুলো বলে ফেলেছেন।
ওহে সচলায়তন, আমার বদ্ধ ঘরে তুমিই আমার একমাত্র বাতায়ন যেখান থেকে আমি আকাশের জোছনা ছুঁতে পারি। পারি ভোরের স্নিগ্ধ শীতল বাতাশ শরীরে মেখে মনপ্রাণ জুড়িয়ে নিতে।
বদ্ধ ঘরে যখন দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয় তখন বাতায়নপাশে প্রাণ ভরে শ্বাস নিয়ে যন্ত্রনাটা লাঘব করতে পারি। যখন অন্তরমাঝে প্রচন্ড ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হয়, তখন পারি সেটার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে মনটাকে হালকা করে নিতে।
[justify]পুরান পাগলের ভাত পায় না , নতুন পাগলের আমদানি। এই কথাটা এখন ব্যাকডেটেড হয়ে গেছে। বাংলাদেশে নতুন পাগলদের অত্যাচারে পুরাতন সব পাগল সাইড নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে অথবা হারিয়ে যাচ্ছে। নিরন্তর সংগ্রামরত যে কয়জন পুরাতন পাগল এখনও টিকে আছেন তাদের অভিযোজন ক্ষমতা হারানেরা পথে। এইদিকে নতুন পাগলদের জয়জয়কার চলছে। সববিছুর ডিজুসিকিরন প্রকৃয়ার চুড়ান্ত এই সময়টাতে সব বিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। ডিজুস পাগলরা প
জানালা দিয়ে কালো অন্ধকারের দিকে চেয়ে দু’চোখ ভরে পানি আসে অমির। খুব ইচ্ছে করে আকাশকে সব কথা বলে দিতে। তার নিজের ভেতরের কথাগুলো,হাজার চেষ্টা করেও কাউকে কখনো বলতে পারেনি যেগুলো, কিংবা বলা যায়, কখন কেউ শুনতে চায়নি যেগুলো।হয়ত আকাশও শুনতে চাইবেনা,বিরক্ত হবে...একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সে, এসব ভেবেই কখনো বলা হয়নি কাউকে। হয়ত কোনদিন আর বাইরে বেরোবেনা কথাগুলো, ভেতরে থাকতে থাকতেই মরে যাবে একসময়।
প্রায় সাত-আট মাস আগের কথা, তখন আমি একটা থানা হেলথ কমপ্লেক্সে কাজ করি । একিদন সকালবেলা আউটডোরে বসে রোগী দেখছি, এমন সময় সামনে এসে দাঁড়ালেন আমাদের সিস্টার-ইন-চার্জ, অঞ্জু দিদি । হাতে একটা ওষুধের ভায়াল ।
—দাদা, দেখেন তো, এইটা কি ইনজেকশন অ্যামক্সিসিলিন?
বাংলাদেশের বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আইন বহির্ভূত কর্মকান্ড, দেশের সাধারণ জনগনের মানবাধিকার এর বিষয়টিতে একটি বড়সড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে দিয়েছে| দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা যা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ জনগনের নজরে এসেছে, তাতে আমাদের দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষমতা প্রসঙ্গে আরেকবার বেশ ভালো ভাবে বিবেচনা করার সময় এসেছে বলে মনে হয়| আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলতে দেশের পুলিশ ও রেপিড একশন ব্যাটালিয়ন (RAB) এর কার্যক্রম সবসময় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে| দেশের সাপ্রতিক কিছু ঘটনায় বর্তমানে দেশে পুলিশের কার্যক্রম তাদের অতীত ইতিহাসকে ছাড়িয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চরম পর্যায়ে অবলোকন করা গেছে| বাংলাদেশ যখন দুর্নীতির দায়ে বারংবার বিশ্বে এক নাম্বারে স্থান পাচ্ছিলো তখনও বিভিন্ন কমিটির রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করলে দেখা গেছে, দেশের সর্বচ্চো দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এই পুলিশ| তত্কালীন ক্ষমতাসীন সরকার পুলিশের ভাবমূর্তি বদলানোর জন্য তখন তাদের পোশাক পরিবর্তন করলেও এসব দুর্নীতির প্রশ্নে ছিলো চুপ, কোনো ধরনের কমিটির মাধ্যমে এই অভিযোগ গুলো যাচাই করার নুন্যতম প্রচেষ্টাও দেখা যায়নি| পোশাক বদল হলে কি হবে, পোশাক যে পরিধান করছে সে অপরিবর্তনীয় থাকায় যেই লাউ, সেই কদুই থেকে গেছে|