বৃক্ষ কাকে বলে? বৃক্ষ হলো তাই, যার ডালে পাখিদের বসবাস...
বৃক্ষদের আছে নানান প্রজাতি, যেমন রয়েছে পাখিদেরও
আমি কী উপায়ে বৃক্ষ হবো, যাতে আমারও শাখায় এসে বসে বিবিধ পাখিরা?
দেখো, এ-বসন্ত বৃথা চলে যায়...
জলধি রায়
সিলেট
[justify]বাংলদেশে সড়ক দূর্ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়ে যে হারে যানবাহন বেড়ে চলেছে, তার সাথে সঙ্গতি রেখে মহাসড়ক ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতার যথাযথ উন্নয়ণ ঘটেছে কি না তা সম্ভবত কখোনোই খতিয়ে দেখা হয়নি। আমাদের বর্তমান মাননীয় যোগাযোগমন্ত্রীমহোদয় সৈয়দ আবুল হোসেন যে কোনও ইস্যুতেই হাসিমূখে ক্যামেরার সামনে বানীর ফল্গুধারা ছুটিয়ে চলেন। কিন্তু তিনি একবারও ভাবেন না যে তার এই হাসির পিছনে কতো শতো পরিবারের কান্নার রোল বাতাসে ভাসছে। মন্ত্রীমহোদয় তবুও হেসেই চলেন।
ডিসক্লেইমার: এইটা একটা ফাঁকিবাজি পোস্ট।
নৈতিকতা সম্পর্কিত আগের লেখা এখানে । আগের লেখায় প্রেক্ষাপট সম্পর্কে একটু বলেছিলাম। নৈতিকতা কি বোঝার আশায় কিছু পড়াশোনা শুরু করলাম। এই লেখায় বেন্থাম কপচানো হবে। সময় করতে পারিনা.. ছোটো ছোটো করে লিখতে হবে মনে হচ্ছে।
[justify]তারপর.........
তারপর আর কি! আমার মতো কিছু গোরু হাম্বা হাম্বা করে যায়। আর আলোর চোখে ঠুলি দিয়ে বসে থাকে বিবর্ণ সমাজ। তবুও হঠাৎ কুড়িয়ে পাওয়া জীবন বন্ধনে পথের ধারে লুকিয়ে থাকে কিছু হোতাদের কথকতা। যাদের দেখলে মনে হয় অন্তত মৌলকুত্তারা তাদের পোষ মানাতে পারেনি।
বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলে ‘সাদ’ (অথবা কাছাকাছি উচ্চারন) নামে একটা অনুষ্ঠানের চল আছে। প্রেগন্যান্সির সাত মাসে পড়লে অথবা সাত মাস পূর্ন হলে এটা করা হয়। হবু মাকে মজার মজার খাবার খাওয়ানো, উপহার দেয়া,নবজাতকের যত্নআত্নি বিষয়ে পরামর্শ দেয়া ইত্যাদি মিলিয়ে ঘরোয়া সুন্দর একটা অনুষ্ঠান।(আমাদের চিরায়ত রীতিনীতি, আচার অনুষ্ঠানগুলো মেয়েদের গুরুত্ব দেয়, সম্মান দেয়। মোল্লারা ধর্মের নামে আজব কিছু জিনিস আমদানি করে সমাজে মেয়েদের অবস্থান নড়বড়ে করে দিয়েছে...)
চুপটি করে ঘরে বসে,
লেপের নীচেই আরাম লাগে।
চোখ বুঁজে আজ অন্ধকারেই
জগৎটাকে রঙিন লাগে।
দেশে এখন অনলাইনে কেনাকাটা করা যাছে, অনেক তথ্যবহুল ওয়েবসাইট তৈরি হছে, তরুনেরা তথ্যপ্রযুক্তির কল্যানে অর্থনীতির বিকাশে অবদান রাখতে পারছে। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক পৌঁছে যাচ্ছে দেশের আনাচে-কানাচে। শিক্ষার হার বাড়ছে। মৃত্যুহার কমছে। এটিএম বুথ বসানো হচ্ছে রাস্তার মোড়ে মোড়ে। এগুলো আশার কথা, ভালো লক্ষণ। আমরা কি তবে উন্নতির পথে চলেছি? নাহ, উপরের কয়েকটি আশার কথা ছাড়া বাকি পুরো দৃশ্যপট অন্ধকার! '
পৃথিবীতে আজকাল যে দুটি শব্দের জয়জয়কার তা হল যোগাযোগ আর তথ্যপ্রযুক্তি । প্রায় সাত বিলিয়ন মানুষ আর আরও হাজার কোটি প্রাণীর একমাত্র আবাসস্থল এই বিশাল পৃথিবীটাকে এই দুটো শব্দ যেন খুব ছোট করে ফেলেছে। এখন আমাদের বেশি অপেক্ষা করতে হয়না, ইন্টারনেট নামক এক মহা জালের সাহায্যে নিমিষেই আমাদের প্রিয়জনদের কণ্ঠ শুনতে পারি , দেখতে পারি তাদের। একবিংশ শতাব্দীতে তাই সবচেয়ে বড় শক্তি তথ্য।
পড়ার বইগুলো কেবল পড়া হয়, মাথায় ঢুকানো হয়না। জটিল জটিল শব্দ আর বিষয়গুলা মাথার উপর দিয়ে উড়াল দিতে থাকে কিন্তু নিউরন নামের জিনিসটাতে আটকাতে পারিনা। খালি কি আমিই এমন? নাকি আমার মত সবাই এমন ভুক্তভোগী!
গণ-আন্দোলন পৃথিবীতে কম হয়নি। সাধারণ মানুষের পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকে গিয়েছে তখনই মানুষ রুখে দাড়িয়েছ। গণ-রোষ হয়েছে মিশরীয় সভ্যতায়, গ্রীক সভ্যতায়, মধ্য যুগে, রেঁনেসার যুগে, আধুনিক সময়ে, উত্তরাধুনিক সময়ে। কে জানে, হয়তো গণ-রোষ হয়েছিল আমাদের আদি মানব সভ্যতাগুলোতেও। কিন্তু প্রতিবারই সেই গণ-জাগরণের সুফল কেড়ে নিয়ে যায় মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ। ধর্মের নামে নিয়ে যায় ধর্মাবতারেরা, বিশুদ্ধ রক্তের নামে নিয়ে যায় রাজারা। সাম্যের নামে নিয়ে যায় সাম্যবাদীরা, বুদ্ধির নামে নিয়ে যায় বুদ্ধিজীবিরা। পুঁজির নামে নিয়ে যায় পুঁজিবাদীরা, আর গণতন্ত্রের নামে নিয়ে যায় নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।