ধর্ম ও বিজ্ঞান সব সময়ই পরস্পর বিরোধী। একটি কখনো আরেকটিকে স্বীকার করতে চায় না। ধর্মের মূল ভিত্তি হচ্ছে অদেখা কাল্পনিক বস্তুতে বিশ্বাস, বিজ্ঞানের মূল ভিত্তি হচ্ছে তত্ত্ব, পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও যুক্তিতে।
ধর্ম ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আমি তাই বিজ্ঞানকেই সমর্থন করি।
আমরা আবার উত্তেজিত হয়ে উঠেছি । এবার আমরা হারিয়েছি আমাদের এমন দু জন বুদ্ধিজীবী কে যাদের স্থান অপূরণীয় । আমাদের এই উত্তেজনা কিছুদিন চলবে তারপর আমরা আবার ঝিমিয়ে পরবো। আমাদের আসলে কিছুই করার নেই। এমন করে এক একটি ঘটনা ঘটবে আমরা উত্তেজিত হয়ে চেঁচামেচি করবো । তারপর কিছু দিন পর উত্তেজনা প্রশমিত হলে নিজের কাজে বাস্ত হয়ে পরব । আবার কিছু ঘটবে আবার চেঁচাব । আমন করে আবার, আবার বারবার । আমাদের চোখের সামন
[justify]ছেলেবেলায় একবার আমার এক বন্ধুকে নিয়ে ক্লাস শেষে তার হাত ধরে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম। স্কুলে সে ছিল আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। আমরা একসাথে খেলতাম, কাদায় গড়াগড়ি খেতাম, এমনকি বেঞ্চে বসা নিয়ে মারামারি অবধি করতাম। তারপরও প্রতিদিন নিজেদের টিফিন শেয়ার করতাম। সেই আমার বন্ধুকে যেদিন বাড়িতে নিয়ে আসলাম, ঠিক কি বলব বুঝতে পারছিনা একেবারে, বলতে গেলে দক্ষযজ্ঞ বেধে গেলো।
তারেক মাসুদ। চলচিত্র নির্মাতা। অথচ তাঁর কোন কমার্শিয়াল ফিল্ম নেই। চাইলেই তিনি বানাতে পারতেন। সুখ্যাতি ছিল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। তাঁর অধিকাংশ ছবির প্রযোজক ছিলেন তাঁরই স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ। সুযোগ, যশ এবং খ্যাতিকে ব্যবহার করে কড়ি কড়ি টাকা আয় করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেন নি। এক অন্য রকম মানুষ ছিলেন এই তারেক মাসুদ। আজীবন তাঁর কর্মক্ষেত্র ছিল বিকল্প ধারার স্বল্প ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচিত্র বানানো। পূর্ব বাংলায় যদি আজ পর্যন্ত কারো মাঝে সত্যজিৎ-এর ছায়া দেখা গিয়ে থাকে, সেটা অবশ্যই তারেক মাসুদ। অত্যন্ত বেদনার্ত হৃদয়ে সেই মানুষটাকে নিয়ে লিখতে বসে সবগুলো “কাল” অতীতে ব্যবহার করতে হচ্ছে। কারণ আজ মানুষটাই অতীত।
কয়েকদিন আগে স্যার যখন বায়োইনফরমেটিক্স ক্লাস এ কৌলিতত্ত্ব শব্দটা বললেন আমি খুব অবাক হয়েছিলাম।একবছর ধরে আমি যেই বিষয় নিয়ে পড়ালেখা করছি তার বাংলা প্রতিশব্দ জানিনা ভেবে একটু লজ্জাও লাগছিলো।ওইদিন স্যার যখন জেনেটিক্স( এখানে বলে রাখা ভাল যে কৌলিতত্ত্ব হচ্ছে জেনেটিক্স এর বাংলা প্রতিশব্দ)এর বাংলা জানতে চেয়েছিলেন তখন আর সবার মত আমিও জিনতত্ত্বই বলেছিলাম।একবার ও মনে হয়নি যে জিন শব্দটাও তো ইংরেজি,এটারও কোন বাংলা অর্থ থাকতে পারে।আসলে এতবছর থেকে এই শব্দটাই শুনে আসছি বলে হয়ত আসল বাংলা প্রতিশব্দ জানার কৌতূহলও কখন হয়নি।
স্থির বর্ষণে মিশ্র রং ছড়িয়ে শুয়ে আছে টুকরো টুকরো আলো, ভোরের জানালা গলে অবসন্ন বাতাসেরা ঢুকে পড়ে, যেন সেদিনের প্রথম কুজন, সাথে তার জল বাঁধা মেঘ । মনে পড়ে সাত বর্ণের ঝালর উড়িয়ে পরিনত শুয়োপোকারা উড়েছিল কোন নদীতীরে, জল ছুঁয়েছিল মেঘের নুপুর পথ-নদী-স্রোত শালিখের ডানা । কৃষ্ণচূড়ার পথ করে নেয়া বিকেলে ঝরেছিল আসন্ন বর্ষার টুপটাপ অশ্রুকণা, সেও কবেকার কথা ~ সেই নদী বয়ে গেছে সবুজ উঠোন ঘেসে যেন তার সুগভীর বুকে রোদের মোহনা এঁকে । সেখানে শহর শেষে পদ্মগন্ধ ভাসে দৃশ্যত আনমনা বাতাসে । যতটানা স্বপ্নের আসা যাওয়া তারো অধিক আয়োজনে আত্মিক যাতায়াতে সমাজ বিবর্জিত কয়েকজনের বেহিসেবী উচ্ছলতায় মধ্যাকাশে মাঝরাত ছিল তারায় পরিপূর্ন ।
[justify]যারা জগা খিচুড়ির প্রথম দুই পর্ব পড়েছেন, তারা ইতোমধ্যেই জেনে গেছেন এই খিচুড়ি কোমল পেটে হজম হবার নয়। এ খিচুড়িতে বিভিন্ন ধরনের মসলা আছে, তাঁর মধ্যে কিঞ্চিৎ (!) অশ্লীলতার গন্ধ পেতে পারেন কেউ কেউ। সুতরাং সামনে এগুনোর আগে সাবধান! তবে কিনা অশ্লীলতার সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেক রকম। আমার নিজের কাছে যে কোন ধরনের ফ্লপ রসিকতাকে অশ্লীল মনে হয়। যেটা শুনে হাসি আসবে সেটা আবার অশ্লীল হবে কেন?
আমি অন্তঃস্বত্তা এটা কাউকে জানানোর পর দুটো প্রশ্ন শুনতে হতো অবধারিতভাবে।
এক- ছেলে নাকি মেয়ে জানো? ছেলে চাও না মেয়ে চাও? আমার উত্তর ছিলো ‘আমার কাছে ছেলে মেয়ে সব সমান। ছেলেও যদি হয় মেয়ের মতো আদর যত্ন দিয়েই বড় করবো’!
দুই- সিজারিয়ান করাবে নাকি নরম্যাল ডেলিভারি?
মিলন নামের এই কিশোরটির দিকে যতোবার তাকাচ্ছি ততোবারই চোখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছি। এক ধরনের মস্ত অপরাধবোধে আমি তার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারছি না।
আজকাল বিভিন্ন ব্লগে আস্তিকতা বা নাস্তিকতা নিয়ে ভয়ানক আলোচনা হচ্ছে। স্পস্ট দুইটা পক্ষ দেখা যাচ্ছে। পক্ষ দুইটা যুক্তি, পাল্টা-যুক্তি, কু-যুক্তি দিয়ে সমানে লড়ে যাচ্ছে। প্রতটি ক্ষেত্রে এমন একটা সুর “আমি যেভাবে ব্যখ্যা করছি সেটাই সঠিক, আর সবাই ভুল”। পুরো ব্যাপারটা কি হাস্যকর হয়ে যাচ্ছে না?