অনুরোধ করবো লেখাটা পড়ার আগে আপনার পক্ষে বা বিপক্ষের মতামতগুলোকে ১৫ মিনেটের জন্যে তুলে রাখুন। আসুন আমরা একটা নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে বিষয়টিকে দেখার চেষ্টা করি।
গত কিছুদিন কাজের চাপ একটু বেশী ছিল। অনলাইন থেকে খবরের কাগজ পড়ার সময় হয়ে ওঠে নি।তবু দেশে কী হচ্ছে, না হচ্ছে সেটা ফেইসবুকের হোমপেইজ থেকে দেখে নিচ্ছিলাম মাঝে মাঝে। খবরটা চোখে পড়েছিল দিনের বেলাতেই। তবে বিস্তারিত পড়া হয় নি। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে ল্যাপটপ ওপেন করে স্কাইপ থেকে বাংলাদেশে গার্লফ্রেন্ডকে কল দিলাম। কথা বলতে বলতে হঠাৎ সে বলল,
“পিংকী আপুর (আমার ছোটবোন) ফেইসবুক স্ট্যাটাস দেখেছো?”
আমি অন্যমনস্ক ভাবে বললাম, “না। কেন? কী লিখেছে?”
“আপু লিখেছে, জীবনে এই প্রথম বিয়ে নামক ব্যাপারটাকে ভয় পেলাম।”
কেস স্টাডি ১ঃ মিনা ঘরের বড় মেয়ে। পিতা পেশায় কৃষক। এক ভাই মধ্যপ্রাচ্যে থাকায় আর্থিক অবস্থা নিম্ন-মধ্যবিত্ত থেকে উত্তরণের পথে। ঘরে আছে আরও ছোট দুই বোন। আর্থিক টানাটানির মধ্যে বসবাস হলেও পরিবারটি শিক্ষানুরাগী । বড় ভাই উচ্চমাধ্যমিক পাশ। মিনাও মাধ্যমিকে প্রথমবার খারাপ করলেও পরেরবার প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়। এরপর উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পার হয়ে ডিগ্রী পরীক্ষায়ও রেকর্ড সংখ্যক নাম্বার নিয়ে পুরো থানায় শীর্
ঢিসক্লেইমার: এই লেখাটা আমার উর্বর মস্তিষ্কের সাময়িক উত্তেজনা এবং কিছু দীর্ঘমেয়াদী উত্তেজনা হ্রাস করার উদ্দেশ্যে নামানো হয়েছে। কাজেই ইহার কোন তথ্যসূত্র চাইলে নিজ দায়িত্বে খুঁজিয়া লইতে হইবেক -- আমার মনে হয়, এর সূত্রগুচ্ছগুলোর কিছু অংশ আমার তথাকথিত উর্বর মস্তিষ্কে জটা পাকাইয়া রহিয়াছে।
---
যদি বলা হয় কী কাজ কর? তাহলে আমার মেয়ে হয়তো বলবে "কুকুল দেখি' -- আসলেই সে ইউটিউবে চালিয়ে রাখা কুকুরের ঘেউ ঘেউ দেখছে। কিন্তু আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমার প্রতিষ্ঠান আর পদবী বলবো হয়তো। অর্থাৎ কাজ বলতে আমি চাকুরী বাকুরীকেই বুঝিয়ে থাকি -- এই কাজের বিনিময়ে আমি বেতন পাই। এই লেখার পয়েন্ট অব ভিউ হল, যেই কাজ কোন না কোন ভাবে সমাজে অবদান রাখে। ... ... নাহ্ ঠিক মনমত হল না ... ... আরেকবার একটু গুছিয়ে শুরু করার চেষ্টা করি:
১.
সম্প্রতি ই-ভোটিং নিয়ে অনেক খবর আসছে মিডিয়াতে; অনেকেই এর পক্ষে বিপক্ষে মত দিচ্ছেন। সরকারি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ ই-ভোটিং চালু করতে চান। তার সেই ইচ্ছা পূরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
মনের আনন্দে গাইছে শিশুটি, আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি, তুমি এই অপরূপ রূপের বাহির হলে জননী...
প্রিয় গানটি শুনে হঠাৎ আমার চোখ দুটো ভিজে ওঠে। জন্মান্ধ এই শিশুটি কোনোদিন অপরূপ জননী আর রূপসী বাংলাদেশের রূপ দেখতে পায় নি চোখ মেলে!
ইয়ে, মানে একটা ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করি, শেষ কবে ঘুষ দিয়েছিলেন? মানে ইচ্ছায়, অনিচ্ছায় কিঞ্চিত তেলপানি দেয়া লেগেছিল? পাসপোর্ট করার সময়? বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিল সামলানোর জন্য? কলেজের সার্টিফিকেট ইংরেজী করার সময়? বাড়ি সংক্রান্ত কোন কাজে রাজউকে? নাকি বছরশেষে ইনকাম ট্যাক্সের ঝামেলা ভদ্রলোকের মত মেটানোর জন্য আপনার ট্যাক্স লইয়ার আপনাকে বলেছিল আপনার ট্যাক্স এত টাকা, আমার ফী এত টাকা আর এই টাকার ভেতরে জান ছুটানোর জন্য ট্যাক্স অফিসের খরচ এত টাকা?
কিছু দিন আগে টেলিভিশনে একটি অনুষ্ঠান দেখার সময় একটি মুঠোফোন কোম্পানীর বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে। বিজ্ঞাপনটি ছিল এইরকম----একটি ছেলে চোখ কচলাতে কচলাতে ঘুম থেকে উঠলো, দাঁত ব্রাশ করল তারপর কম্পিউটারের সামনে বসলো। বসে ফেসবুক ওপেন করে নোটিফিকেশন দেখলো, মন্তব্য করলো এরপর বন্ধুদের সাথে chat করা শুরু করলো। একটু পর তার মুঠোফোনে রিং বেজে উঠলো এটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য যে তার ক্লাসের সময় হয়ে গেছে। এটা দেখে সে যারপরনা
[justify] মনটা খুব খারাপ। নির্ঘুম, বিষন্ন, ভারাক্রান্ত। কিছু বলার নেই, সবই তো জানা কথা – এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে... হে আল্লা... ।
আমি নিশ্চিত অনেকেই ক্যারিয়ারের একটি প্রান্তে এসে এধরনের সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হন। কিন্তু এ রকম বিষয়ে আলোচনার একটি জায়গা পাওয়া মুশকিল। অনলাইনে যদিও প্রচুর আলোচনা রয়েছে, কিন্তু প্রত্যেকের ইস্যু স্বতন্ত্র্য বলে বেশীরভাগ আলোচনাই অনেক ক্ষেত্রে ফলপ্রসু সিদ্ধান্তের সহায়ক নয়। আমি একই রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে এই ব্লগটির মাধ্যমে আমার চিন্তাভাবনাকে স্ট্রিমলাইন করতে চেষ্টা করছি। আশা করছি আলোচনাটা হয়ত আরো অনেকের সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হবে।