১০. কালো টাকা - সাদা টাকা
[justify]বিচার মানে কী? আমার চোখের সামনে সাক্ষাৎ যে খুনিকে খুন করতে দেখলাম, তাকে পিটিয়ে মারতে পারলেই কি বিচার? না কি পিটিয়ে ছেড়ে দিলে তখন গিয়ে বিচার? না কি কান ধরে ঘুরপাক খাওনো? বা পা কেটে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা? নাকি পুলিশকে দিয়ে পিটাতে থাকা? বা র্যাবকে দিয়ে পঙ্গু কিংবা ক্রসফায়ার করে দেয়া? না কি বিচার মানে এটাই যে আদালতের সামনে সাব্যস্ত হবে সে দোষী!
আরো অসংখ্য সঙ্কট আর দূর্ভোগের মত শেয়ার বাজারের সংকটটিও আমাদের কাছে নৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবকিছুতেই এক সময় আমরা অভ্যস্ত হয়ে যাই। তেমনি এখন যারা এই বাজারের সাথে জড়িত না তারা এটাকে "দূরবর্তী ঘটনা" ধরে নিয়ে শান্তিতে আছেন। অনেকেই আছেন যাদের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ থাকলেও এটা দিয়ে ঘর-সংসার চালাতে হয় না বলে আপাতত ভুলে আছেন। ভবিষ্যতে কোন একদিন সংকট কেটে গেলে তারা ভুস করে মাথা তুলবেন। তবে কিনা দেশে ধৈর্য্য
জোনাকিরা আলো জ্বালে,
টিমটিমে অপূর্ব শোভামণ্ডিত আলো,
বসন্তের শেষে বা গ্রীষ্মের সন্ধ্যায়।
স্বয়ংপ্রভ নীলাভ-সবুজ রহস্যময় দ্যুতি,
তার সহজাত সঙ্গী আহবান।
আমরাও আলো জ্বালি,
টিমটিমে চরম প্রত্যাশাময় আলো,
দিনের শুরুতে বা যখন দিনমণি অস্ত যায়।
প্যান্ডোরার বাক্সবন্দী আশারূপ অদৃশ্যমান শিখা,
আমাদের সহজাত অস্তিত্বের আবেদন।।
___________________________________________________________________
[justify]পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী ফলাফল আমাকে বেশ খানিকটা চমকে দিয়েছে। বামফ্রন্ট ১০০ এর নিচে আসন পাবে, এতটুকু ভাবিনি। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত বিশ্বের প্রাচীনতম কমিউনিস্ট জোট সরকারকে এরকম শোচনীয়ভাবে পরাজিত করবে, এটা অবশ্য অনেকেই আগাম পূর্বাভাস দিচ্ছিলেন। এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ট তৃণমূল কংগ্রেস এবার পশ্চিমবঙ্গের সরকার গঠন করতে যাচ্ছে এবং মমতা সেই সরকারের মূখ্যমন্ত
[justify]পার্থক্য বড় ঝামেলার বস্তু। বিশেষ করে যেইসব লোকজন দশজনের ঠিকাদারী নিয়ে রাখেন, যেমন, রাষ্ট্র, হুজুর, বহুজাতিক কর্পোরেট কিংবা পাড়ার ষণ্ডা। তাদের জন্মশত্রু হলো পার্থক্য। মানুষে মানুষে পার্থক্য। মতে মতে পার্থক্য। ধর্মে ধর্মে পার্থক্য। জাতে জাতে পার্থক্য। ফলে ঠিকাদারেরা সাধারণত মানুষরে বুঝায়, পার্থক্য বলে কিছুই নাই। খালি মিল আছে। সব রঙ একরকম। সব কিছু মিলমিশের মধ্যে আছে। বা মিলমিশ হওয়ারই খাল
১৮৫৬ সালের অগাস্ট মাসের রৌদ্রকরোজ্জ্বল এক প্রভাত । উত্তর-পশ্চিম জার্মানির নিয়ান্ডারথাল উপত্যকার চুনা-পাথরের খনিতে সেদিনের কর্মব্যস্ততা মাত্র শুরু হয়েছে । হঠাৎই এক শ্রমিকের শাবল শক্ত কিছুতে বাড়ি খেয়ে ঠং করে আওয়াজ করে উঠল । শ্রমিকটি আগ্রহী হয়ে আরেকটু খুড়েই দেখতে পেলো কিছু হাড়-গোড় । হয়তো পাহাড়ী ভালুকের হাড় এই ভেবে সে সেগুলো পাশে সরিয়ে রাখলো পরে দেখার জন্যে । ওই দিনই খনি শ্রমিকটি হাড়গুলো দেখাতে নিয়ে
মুনিয়ার ডিভোর্সের খবরটা শুনে আমি বেশ একটা ধাক্কা খাই। প্রথমে ভেবেছিলাম, এটা ঠাট্টা। ঠাট্টা বটে, নিয়তির নির্মম ঠাট্টা! মুনিয়ার সাথে আমার প্রায়ই দেখা হতো বাড়ির গেটের কাছে। বিকেলে আমি বাসা থেকে বেরুতাম অফিসের উদ্দেশ্যে আর মুনিয়া তখন অফিস থেকে ফিরতো বাসায়। টুকটাক কথা হতো। প্রতিবেশীসুলভ কুশল বিনিময়। যদিও আমরা একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, কিন্তু আমাদের প্রথম পরিচয় হয় এপার্টমেন্টের লিফটে। মুনিয়া তার স্বামী-সন্তান-পরিবার নিয়ে থাকতো আমাদের ওপরের তলায়। হাসিখুশি মেয়েটির প্রাণোচ্ছ্বলতা আমাকে ছুঁয়ে যায়। আমাদের আলাপ-পরিচয়টা টুকটাক কথাবার্তাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। একই এপার্টমেন্টে থেকেও কেউ কারো বাসায় যাবার সময় আমাদের হয় না। ইট-কাঠ-কংক্রিটের এই শহরে আমরা ক্রমশ নিরেট নিরস মানুষে পরিণত হচ্ছি। আমরা নিজের মাঝে নিজেকে শামুকের মত গুটিয়ে রাখি। কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের সামাজিক মেলামেশার ঐতিহ্য!
একটি চিনামাটির ছোট প্লেটে যদি খুব ছোট এক টুকরো কাগজে আগুন জ্বালিয়ে সেটা একটা কাঁচের গ্লাস উপুড় করে ঢেকে দেয়া হয় তাহলে দেখতে দেখতে সেই কাঁচের গ্লাসটি ধোঁয়ায় ভরে ওঠে। এখন ঠিক তার পাশেই যদি আরেকটি চিনামাটির প্লেট একটি কাঁচের গ্লাস দিয়ে ঢেকে দেয়া হয় ভেতরে কোনো জ্বলন্ত কাগজ ছাড়াই, আর আগের গ্লাসের ধোঁয়া দৈব উপায়ে পাঠিয়ে দেয়া হয় নতুন গ্লাসটির মধ্যে, তাহলে দর্শকের অবাক না হয়ে উপায় থাকেনা। ব্যাপারটি অদ্ভুত