এই বিশাল জীব-বৈচিত্র্য দেখে যখন আমরা খোদার কেরামতির উপর ভক্তিতে গদগদ হয়ে যাই, তখন আজাইরা জীববিজ্ঞানীরা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন, বাছা! কুয়ার ব্যাঙের মতো ফাল পাইরো না। একটু শোনো। তারা শোনাতে চান, সাড়ে তিনশ কোটি বছর আগে প্রাণের উৎপত্তির সূচনা থেকে আজ অবধি প্রকৃতিতে উদ্ভব হওয়া ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ প্রাণী পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে বিকাশের সাথে সাথেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। টিকে আছে দশভাগেরও কম। ভিন্ন প্রজাতির কথা বাদ দেই। নির্দিষ্ট একটি প্রজাতির দিকে তাকালেও ঠিক একই ঘটনা আমাদের চোখে পড়ে। আপনার নিকটবর্তী আম গাছে লক্ষাধিক মুকুল থেকে কয়টি আম ধরে? দশভাগ বললে তো বোধ হয় বেশি হয়ে যাবে। খোদা সবকিছুতে সর্বশক্তিমান হলেও সৃষ্টিতে তাঁর হাত কাঁপে। ‘ট্রায়াল অ্যান্ড এরর' এর মাধ্যমে একটি ভালো প্রজাতির উদ্ভব ঘটানোর জন্য তিনি বিনা গ্লানিতে হত্যা করেন অসংখ্য।
বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির বিস্ময়কর অগ্রগতির কারণে গত কয়েক দশকে সভ্যতা অনেকটাই এগিয়ে গেছে। বৈজ্ঞানিক উপায়ে তথ্য সংগ্রহ, এবং যে কোনো হাইপোথিসিস পরীক্ষা করে দেখার মতো একটি প্রজন্ম তৈরি হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় যেকোনো অনুসিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বাস্তবতার আরও বেশি কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব বলে প্রমাণিত হয়েছে।
সুনীল গাঙ্গুলির কল্যাণে ফ্রান্স আমাদের কাছে ছবির দেশ। কবিতার দেশ। সেইদেশে সঙ্গমবান্ধব লোকজন বাস করে, তারা পান করে সুস্বাদু ওয়াইন, লেখে কবিতা, আঁকে ছবি। যা কিছু ভালো, তার সঙ্গে ... । ফ্রান্সের আছে আইফেল টাওয়ার, আছে র-কে হ্র বলা লোকজনে গিজগিজ প্যারিস, লুভ জাদুঘর, সেখানে মোনালিসা। সভ্যতা ভব্যতায় ফ্রান্স আমাদের চেয়ে অনেক ওপরে। সেই ফরাসিদের বিস্মিত করে দিতে পেরেছি আমরা। এ আমাদের কপালে আরেকটি রাজতিলক। খামারের ইংরেজিতে যদিও বিস্মিত করে দেয়া কথাটার একটা দুষ্টু অর্থ আছে, তবে অত কাবিলি আমরা এখনও হতে পারিনি।
ফরাসী রাষ্ট্রপতির বিশেষ দূত মাহতাঁ ইর্শ আমাদের কায়কারবার দেখে গোটা ফরাসি জাতির হয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে গেছেন। আলেকজান্ডারের পর আর কেউ এইভাবে বিস্মিত হতে পারেনি। ইর্শের সেলুকাস নেই বলে তিনি আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেই যা বলার বলে গেছেন [১]।
সাবরিনা সুলতানা
-এই যে শুনছেন!
-উমম...
-উহু এসব উম-আম এসব চলবে না, একটু উঠুন তো
-হুমম ...এই ...
-বড্ড জ্বালান! উঠুন, নাহলে পানিতে ভিজিয়ে দেবো
-উফফ...এই রাত ভোরে কি শুরু করলেন!
-যা ইচ্ছা তাই ...এক্ষুনি উঠুন। দেখুন না কি অদ্ভুদ সুন্দর মেঘ রঙা আকাশ! বারান্দায় যাবো
-গেলেই হয়। আমাকে নিয়ে কেনো টানাটানি
-আহহা চলেন না প্লিজ... প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ
১.
হাইস্কুল জীবনটা ছিল মোটামুটি জঘন্য রকমের। ক্লাস সিক্সে ওঠার পর ভুগোল, ইতিহাস, ধর্ম, বাংলা ব্যাকরন, ইংরেজী গ্রামার,পাটীগনিত, জ্যামিতি ইত্যাদির অত্যাচারে দম বন্ধ হয়ে আসতো সময় সময়। সিক্স থেকে এইট এই তিন বছরের যেসব স্মৃতি আছে সব জ্যৈষ্ঠের খরতপ্ত দুপুরের মতো ঝলসানো। বেত নামক লিকলিকে ভয়ংকর বস্তুটার সাথে প্রতিদিন দেখা সাক্ষাত হলে, আর বাড়ির কাজ যথাসময়ে শেষ না করলে যা হবার কথা আর কি।
[justify]ফেসবুকে ঘোরাঘুরি করছিলাম। কারো বিয়ের ছবি, গ্র্যাজুয়েশনের ছবি, জন্মদিনের শুভেচ্ছা ইত্যাদি দেখছিলাম, টুকটাক মন্তব্য করছিলাম। এই ফেসবুক জায়গাটা আমার খুবই আজব লাগে। একটা নিউজ ফিডে হয়ত দেখছি, কেউ লিখেছে "অন ক্লাউড নাইন"। আর তার ঠিক নিচেই রক্তাক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম। এখন ভাল থাকার উপায় হল, সুখবরগুলি দেখা, এবং দুঃসংবাদগুলি এড়িয়ে যাওয়া। যে কোন খারাপ ঘটনাতেই আমার খুব প্রতিক্রিয়া হয়, আমি সাধারণত ফে
[justify]ফ্রান্সে সম্প্রতি প্রকাশ্যে বোরকা বা মুখ ঢাকা হেজাব পরা নিষিদ্ধ করে তাদের পার্লামেন্টে পাস করা আইনটি কার্যকর হয়েছে। বেলজিয়ামেও একই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিগগিরই সেখানে পার্লামেন্টে একটি বিল আনা হবে। শোনা যাচ্ছে, ফ্রান্সে কোনো কোনো মুসলিম নেতা সংগঠিত আইন অমান্য আন্দোলনের কথা চিন্তা করছেন। রেশিদ নেককাজ নামে এক
গতকাল টাইগারপাস মোড়ে একটা বাজে ঘটনা দেখলাম।
তিনজন চলিশোর্ধ্ব লোক একটা বাইকে করে মোড় ক্রস করছিল। কারো মাথায় হেলমেট নাই। এক ট্রাফিক কনস্টেবল বাইকটা আটকালো। ওমনি তিনজনের খিস্তি খেউড় শুরু। বারবার তারা একটা কথাই বলছে, কাদের গাড়ি আটকাইছ জানো, আমরা ছাত্রলীগ-
কিন্তু ওই তিনজনের মধ্যে ছাত্রসুলভ কোন অভিব্যক্তি নেই। বয়সও অধ্যয়ণকালসীমা অতিক্রম করেছে বলেই মনে হয়।
শুরুতেই বলে রাখি এই পোস্টটি একেবারেই খটমটে কাজেই যারা পড়বেন সম্পূর্ণ দায়িত্বে পড়বেন এবং যারা শেয়ার করবেন তারাও অবশ্যই নিজ দায়িত্ব শেয়ার করবেন ।
আমার কেন জানি মনে হ্য় আমরা ভয় পেতে ভালোবাসি। জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত আমরা ভয় পাই, কারনে অকারনে ভয় পাই, ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে ভয় পাই। কোন অচেনাকে দেখলে ভয় পাই আবার মাঝে মাঝে চেনাকে দেখেও ভয় পাই। আমরা অসুন্দরকে দেখে ভয় পাই আবার সুন্দরকে দেখে অসুন্দরকে অনুভব করে ভয় পাই। আমরা অন্ধকারকে ভয় পাই আবার আলোকে দেখে আলোর ভিতর অন্ধ হয়ে যাবার ভয় পাই। আমরা হেরে যেতে ভয় পাই আবার জয়ী হয়ে হেরে যাবার