‘দৈনিক আনন্দবাজার’ নামে পশ্চিমবঙ্গে একটি 'বনেদী' খবরের কাগজ আছে এবং তা বাংলাতেই ছাপা হয় এটা জানতাম। তবে আমি ভারতে গিয়েছি মাত্র একবার, পশ্চিমবঙ্গেও ছিলাম মাত্র দুই দিন। সেটাই আমার প্রথম বিদেশ সফর হওয়ায় স্বাভাবিক ট্যুরিস্টসুলভ উত্তেজনায় (অথবা আমার নিজের স্মৃতিভ্রষ্টতায়) এই বনেদী কাগজটি হাতে তুলে নেয়ার 'সৌভাগ্য' অর্জন করতে পারিনি। এমনকি পত্রিকাটির কারেন্ট অনলাইন ভার্সনও ইউনিকোড-সমর্থিত না হওয়ায় অনেক
বদলহীন আগাপাশতলা প্রাত্যহিক ডায়াবেটিক রুটিন ঘুমহীন রাত্রি । যদিও শালবনের ওধারে হিংস্র শ্বাপদের শান্ত মমি হয়ে সে রাত দিগ-দিগন্ত ভেঙ্গে তাবৎ ভাস্কর্যময় সৃষ্টির ছাউনি নিয়ে আসে যে কোন স্রষ্টা মনে । ধুলোময় পথগুলোতে জলের রেখার বেসাতি সাজানো মিথ্যের রাংতা জড়াতে, কিংবা ধরা যাক ন্যাড়া গাছগুলোকে হুকুমের সূরে বনবীথিকায় কারুচুপির ওড়না পরাতে....
১
১৮৫৭, বৃটিশ ভারত। দাবানলের মত সিপাহী বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়েছে মীরাট থেকে দিল্লী পর্যন্ত। অনেক দিনের জমা হওয়া বঞ্চনা আর ক্ষোভের আগুন সিপাহীদের ব্যারাকের বাইরে এসে বিদ্রোহ করতে উদ্ধুদ্ধ করে। তবে পরিকল্পনাহীন বিদ্রোহ মুখ থুবড়ে পড়ে স্বল্প সময়ে। নানা সাহিব সহ কয়েকজনের হঠকারিতায় জিম্মি কয়েকশ ইয়োরোপীয় নারী ও শিশুদের হত্যা করে নিক্ষেপ করা হয় কূপে। প্রতিশোধে উন্মত্ত ব্রিটিশরা এর প্রতিশোধ নেয় দশ বছর ধরে কয়েক লাখ সামরিক-অসামরিক ভারতীয়কে নির্মমভাবে হত্যা করে। [১]
অভ্র কী, সেই পরিচয় দেওয়ার জন্য এই লেখা না...
অভ্রর গুনগান গাওয়ার জন্যও না...
মেহদী হাসান খান এমনিতেই লাজুক ছেলে, তাকে নতুন করে লজ্জা দেওয়ার জন্যও এই পোস্ট না...
তাহলে এই লেখা কেন?
আমি মনে করি অভ্রর কাছে আমার অনেক ঋণ
আর এই জিনিস বানানোর অপরাধে মেহদীকে আজীবন শ্রদ্ধা জানায়ে বিব্রত করা জায়েজ আছে।
ক্ষমতা থাকলে মেহদীকে একুশে পদক দিতাম। পারি না...
কিন্তু অন্তত একটা কাজ করতে পারি
অক্ষমের শেষ হাতিয়ার নাকি গালি। কোন শালা এই কথা বলছে আমার জানা নাই কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ নিজেকে অক্ষম রূপে আবিস্কার করি। তখন গালি দিলে মনটা শান্ত হয়। ঠান্ডা মাথায় কিছু যুক্তির অবতারনা করা বরাবরই কঠিন বলে মনে হয়। নিজেকে প্রবোধ দেয়ার জন্য, অবস্থান সম্পর্কে পরিচ্ছন্ন ধারনার জন্য, ঘটনা পরম্পরা বিশ্লেষনের জন্য, সর্বোপরি নিজের সংকীর্ণতা যাচাইয়ের জন্য কিছু পুরনো কাসুন্দি ঘাটতে চাই। আপনার ইতিহাস ভীতি বা গন্ধভীত
(২৫ শে মার্চ ১৯৭১ - ২৫ শে মার্চ ২০১১, ব্যাবধান ৪০ বছর)
মিরপুর স্টেডিয়াম, চাঁদ তারা খচিত পতাকা উড়ে,ললনার নরম কোমল গালে তার প্রতিচ্ছবি,যুবকের দৃপ্ত কন্ঠে পাকিস্তানের জয়ের আহ্ববান,কানে বাজে "পাক সার জামিন সাদ বাদ",ভাবি ভুল শুনলাম আবার শোনার চেষ্টা করি নাহ ঠিকই শুনলাম মনে হলো ...চারপাশের সব নিঃশব্দ হয়ে যায় চোখে ভাসে মিরপুর বধ্যভূমি,নাম না জানা হাজারো ভাই-বোনের মৃতদেহ,চোখ থেকে সবার অলক্ষ্যে কয়েক ফোঁটা চোখের জল গড়িয়ে পড়ে...
১।
প্রায় চার দশকের কুটনৈতিক জীবনের শেষপ্রান্তে এসে কীরকম এক অদ্ভূত বোকামী করে বসলেন সুবিমল বাবু, শ্রী সুবিমল দত্ত।
চট্টগ্রামে আদি নিবাস সুবিমল ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে যোগ দিয়েছিলেন সেই ১৯৩৭ সালে। রাঙ্গামাটির জেলা অফিসার হিসেবে চাকরী শুরু করে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব, জাতিসংঘে ভারতীয় স্থায়ী প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন শেষে চিন্তাভাবনা করছিলেন অবসরে যাবার।
যুগে যুগে অনেক মহা মনীষী ও মহা বিজ্ঞানী মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করতে নানা রকম যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন। তাদের আবিষ্কৃত যন্ত্রাবলী দ্বারা অতীতে যেমন মানুষজন উপকৃত হয়েছে তেমনি বর্তমানেও হচ্ছে, আশা করি ভবিষ্যতেও হবে। যুগ যুগান্তরের এইসব মহা-মনিষী, মহা বিজ্ঞানীদের মধ্যে বাংলাদেশীদের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। কাল থেকে কালান্তরে এইসব বাংলাদেশী মহা-মনীষী পুঁথিগত বিদ্যা পরিহার করে তাঁদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান দিয়ে আমাদের জ্বালানী ব্যতীত বায়ু, পানি সহযোগে যন্ত্রচালনার স্বপ্ন দেখিয়ে এসেছেন, আশা করি ভবিষ্যতেও দেখাবেন। এদের মধ্যে অনেকেই আবার নিরন্তর চলৎ যন্ত্রের স্বপ্নও দেখিয়েছেন। অনেকটা এরকমই একটি খবর অতি সম্প্রতি (২৩ মার্চ, ২০১১) প্রকাশিত হয় জনপ্রিয় দৈনিক “প্রথম আলো” যাদের স্লোগান হচ্ছে, “যা কিছু ভাল, তার সঙ্গে প্রথম আলো।”
আমার পছন্দের সিনেমার তালিকায় সবচেয়ে উপরে রয়েছে যে সিনেমাটি, সেটির নাম 'লাইফ ইজ বিউটিফুল'। জীবন বড় সুন্দর। সিনেমা নিয়ে যারা একটু সময় ব্যয় করেন, তাদের প্রায় সকলেই রবার্তো বেনিনির এই ইতালিয়ান ক্লাসিক দেখে থাকবেন। যারা সিনেমাটি দেখেননি, তাদের জন্যে গল্পের টুকরো অংশ বলে দেয়া যায়। সিনেমার কাহিনী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে। ইহুদীদের উপর জার্মান নাৎজীদ
গানটি আমার অসম্ভব প্রিয় ৷ মায়ার খেলার গান ৷প্রিয় হবার একটা ব্যক্তিগত কারণও আছে ৷সেটাই আগে বলি ৷
আমরা যারা চল্লিশ পেরিয়ে পঞ্চাশে পা দেব দেব করছি, তাদের বয়ঃসন্ধি আজকের পোলাপানদের বয়ঃসন্ধির মতো