আপনি কে, কী এবং কেমন তাতে আমার বিন্দু মাত্র আগ্রহ নেই। তবুও আপনাকে লিখছি কারণ, সাম্প্রতি সচলায়তনের একজন লেখিকার করা মন্তব্য থেকে জানতে পারলাম আপনি আমার স্বামী মুহম্মদ জুবায়েরের মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলেন। খুব স্বাভাবিক ভাবেই সেটা কী জানবার জন্য আমার আগ্রহ জন্মে। তারপর গত দু’দিনের চেষ্টায় বেশ কটা ব্লগ ঘেটে অবশেষে আপনার অসুস্থ মানসিকতার পরিচয় বহনকারী সেই আপত...
একদিন ক্লান্ত সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে ঝিমিয়ে পড়া ডাবলিন শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া লিফি নদীর এক পাড় থেকে আরেক পাড়ে বাড়ি ফিরছিলাম। অলস সময় যেন সেদিন কাটছিলই না। তাই ট্রেনের সিটে রাখা একটা পুরোনো আইরিশ পত্রিকা উল্টে পাল্টে দেখতে শুরু করি। হঠাৎ চোখ আটকে যায় “লিভিং ইন সিন” নামের একটা প্রবন্ধে। সেখানে লেখিকা যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন বিয়ের আগে এক সাথে থাকাটা কে...
[justify]
৪র্থ ইনিংসে ২০০ বা ততোধিক রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে জ়েতার ঘটনা উপমহাদেশের স্লো-লো ট্র্যাকে গত দশ বছরে কয়টি মনে করতে পারবেন? এরকম বিদঘুটে প্রশ্ন বিরক্তির উদ্রেক করতেই পারে। উত্তরটা শুনুন এবার। মাত্র ৯ বার যার ৫টিতেই প্রতিপক্ষ দলের নাম ছিল বাংলাদেশ। এখন নিশ্চয়ই বু...
কড়া কথা বলে ফেলতে পারাটা একটা গুনের পর্যায়ে পড়ে বলে শুনেছি।
আমি মনে করি না আমার মাঝে সেই গুনটা তেমন পরিমানে আছে। আমার শক্তির একটা বড় অংশ নষ্ট হয় কথা পালিশ করে বলতে গিয়ে। এতে কথা গুলো শুনতে ভালই শোনায়---কিন্তু সেইসব কথার কৃত্রিমতাটাও কানে বাজে।
রুঢ় আচরন করতে পারাটাও নাকি একটা গুণ। আমার মাঝে এই গুনটাও খুব বেশি পরিমানে নেই।আমার মাঝে মাঝে মনে হয়,রুঢ় আচরণ করতে গেলে যে সাহসটুকুর দরকার ...
বেশ অনেক বছর কঠিন বাস্তব আমাকে ঘটমান বর্তমান থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল। ইদানিং বেশ সময় পাচ্ছি, ব্লগে ব্লগে ঘুরে বেড়াই। নতুন প্রজন্ম কি করছে তা বুঝার চেষ্টা করি। (হায় হায়, নিজেই নিজেকে পুরাতন প্রজন্ম বানিয়ে দিলাম!!) অন্যান্য ব্লগে যদিও কিছু লেখা ভাল আসে, কিন্তু প্রায় সময়ই মন্তব্য পড়তে গিয়ে মাথা ঘুরে। ভাষা, রুচি, শালীনতা কোনকিছুই সংযত নয়। সেই তুলনায় সচলায়তনে লেখা পড়ে ভাল লাগে, যদিও অন...
জীবন অনেকরকম।
মৃতের নখ বা ঘাসের ফুল।
কখনও তোমার ঠোঁটের খুব কাছে ঠোঁট এনে,
দেবে গুঁইসাপ।
কখনও ঘুম ভাঙাবে চুমি আঁখি।
প্রচণ্ড পলাশ দেবে খোঁপায়,
আর রাতের ডিনারে মৃত বেড়াল।
তাই বলি, বাঁচো।
ধুঁকে হোক, খুঁটে হোক, প্রেমে বা অপ্রেমে,
বাঁচো।
একদিন খুলে যাবে রাজপথ।
একদিন খুলে যাবে কৃষাণী।
যে তোমার চোখে আঙুল ঢোকায়,
দেবে তাকে গন্ধরাজ?
এ বিচার আমি জানিনা।
এ বিচার তোমার।
পথিক যদি জল চায়,
...
বিষণ্ন বর্ষায় জন্মে নির্মলেন্দু গুণের প্রিয় ঋতু বসন্ত। সংগ্রামই সত্য, সংগ্রামই সুন্দর- এই সত্যে বিশ্বাসী নির্মলেন্দু গুণের কবিতা। নির্মলেন্দু গুণ স্বাধীনতার কবি। স্বপ্ন বিনির্মাণের দক্ষ কারিগর তিনি। ঈর্ষণীয় কবিতাসমৃদ্ধ জীবন তার। নাগরিক সমস্যার বাস্তব পেক্ষাপট অত্যন্ত সফলভাবে তিনি তার কবিতায় তুলে ধরেছেন। সেখান থেকে অনবরত উদগীরিত হয়েছে টচকা বমির কালসেটে ফেনাইল। এর প্রত...
“.........বুকে ভর দিয়ে এগোই, কালো প্রেমে মৃত্তিকার আলিঙ্গনে। এইখানে কাদায় কাদায় দশটি পায়ের ছাপ দিগন্তে দেখায় সূর্যাস্তের পথ। দুপাশে যন্ত্রমূখী মানুষের ভীড়ে আমি পাগল বৃক্ষ আর সবুজের কথা চেঁচাই আপনমনে। কিন্তু কেউ শোনে না, কেউ বোঝে না। রক্তে শীর্ণ প্রলয় আর নখে উদ্ভ্রান্ত আঁচড় তুলে কেউ দ্যাখে না। চোখে পেরেক আঁটে দু-তিন জনে, অল্পদরে বেচে হর্ষ আর তা কিনে গোগ্রাসে গিলতে থাকে বিষন্নদৃষ্টি...
সুখ- হাসি- গান- আড্ডা- তালের ফাঁকে
দিন কেটে যায় দারুণ রুটিন ধরে-
মধুর সময় মুখ তুলে চায় শুধু
মুখর প্রাণে নবীন উছাস ভরে!
হঠাত্ কী হয় একলা কোন ক্ষণে
মন উদাসীন স্মৃতির মালা গাঁথে,
মুক্তো হাতে আনমনা মন ভাবে,
কারণ ছাড়াই হারায় স্মৃতির সাথে।
বুকের লুকোন্ দুঃখগুলো বুঝি
আবার জাগে গহীন ঘুমের শেষে,
আমরা পুতুল, মনের সুতোয় নাচি,
অতীত ঘাঁটি ধুলোয় মলিন বেশে।
গুমরে মরি কোন অজানা শোকে,
আজ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই গণতন্ত্র বিদ্যমান এবং গণতন্ত্রকে আজ শাসন ব্যবস্থার মধ্য সর্বোৎকৃষ্ট মডেল বলে ধরা হয়। জনগণও খুশি এ কারণে যে অন্তত অন্ধকার যুগের দাসত্ব আজ তাঁদের সামনে নেই, নেই মধ্যযুগীয় কোন জমিদারী প্রথা কিংবা নেই কোন উপণিবেশিক শাসন অথবা কোন স্বৈরশাসন। জনগণ মুক্ত এবং স্বাধীন। আসলে কি তাই? বর্তমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় মানুষ আসলে কতটা মুক্ত এবং স্বাধীন নিজের ভাগ্য ...