[justify]বাংলা ব্লগিঙে চারবছর একমাসের মতো হতে চলল। প্রথম বছর দেড় ব্লগিং খুব সহজ মনে হতো। মাথায় বা আঙ্গুলে কুড়কুড় করলেই ঠুসঠাস টাইপ করে ফেলতাম। তারপর একসময় মনে হলো এভাবে না। খিয়াল করে লিখতে হবে। ধুনফুন ব্লগের দিন শেষ, দিন বদলের বাংলাদেশ। নাইলে পাঠক ধোলাই দিতে কার্পণ্য করবে না। আস্তে আস্তে দেখি এমনকি ধোলাই খাওয়ার মতো আইডিয়াগুলিও খুলির খানাখন্দকে খাবি খাচ্ছে। আঙ্গুল না চললে মাথা চলে ...
১.
মেজাজটাই চড়ে গেল পল্লবের। কলেজের একজন সহকারী অধ্যাপকের মুখে এমন কথা শুনলে মেজাজের আর দোষ কি? বলে কি না- "দুয়েকটা কঠিক অংক মুখস্থ করলে কিচ্ছু হয় না"। পল্লবকে দেখে কিন্তু বুঝা যাচ্ছে না যে সে এত ক্ষেপে আছে। সে নড়েচড়ে ঘাড় সোজা করে সোফায় হালকা হেলান দিয়ে বসে। হাত দুটো একসাথে মুঠো করে শক্ত করে ধরে রাখে। পল্লবের ভিতরে যত রাগ তার সবটুকু উত্তাপ বয়ে যায় দুই হাতের ঐ শক্ত মুঠোর উপর দিয়ে। মু...
মঙ্গলবার ২৩.০২.২০১০
[justify]আবারো জঘন্য আবহাওয়া। সেই ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু করে এক্কেবারে এই সপ্তাহান্তের শুরু পর্যন্ত টানা তুষারপাত আর বদখৎ শীতে হাঁফিয়ে উঠেছিলাম ঠিক। রবিবার নাগাদ তুষারপাত থেমেছে, তাপমাত্রা বাড়ছে, বরফ গলছে এগুলিও সব ঠিক। সমস্যা হচ্ছে বরফ গলবার সাথে সাথে গুরফগুলিও হিমবাহের আগের তাজা চেহারায় ফিরতে শুরু করেছে। সাড়ে ষোলকলা হিসাবে গতরাত থেকে শুরু হয়ে...
[justify]
দিবসটিবসের ব্যাপারে আমার উৎসাহ নাই। কিন্তু সেই আমিও এই প্রস্তাব দিচ্ছি।
যুদ্ধাপরাধের বিরোধিতার জন্যে, এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যে, এর পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর জন্যে দুনিয়ায় কোনো দিন ঠিক করা হয়েছে কি না জানি না। গুগল মারলাম, কিছুই পেলাম না।
এমন একটা দিন আমাদের প্রয়োজন। আন্তর্জাতিকভাবেই পালন করা প্রয়োজন। খবরের কাগজে পড়লাম, পাকিস্তান প্রচণ্ড কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে যুদ...
আমি অনেকটা অবচেতন ভাবেই লেখকদের ভাগ করে ফেলি। একটা জনপ্রিয় ধারার লেখকেরা আমার বিচারে রুহ-আফসা স্পেশালিস্ট। তাঁদের লেখা দুদ্দাড় করে গিলে ফেলে ভুলে যাওয়া যায়। একভাগ লেখক যারা খুব কঠিন ভাষায় লেখেন। তার লেখায় হয়তো কোন ধোঁয়াশা থাকে না। তবে শব্দে শব্দে সে লেখার আঙিনা পেরিয়ে আসতে পাহাড় ডিঙানোর পরিশ্রম করতে হয়। কেউ কেউ আবার অমসৃণ পাথরে বিমূর্ত মূর্তির মতো গল্পের অবয়ব বানান। সে গল্প ...
#১. গতকাল সারাদিন যাব না, যাব না করেও হঠাৎ দুপুর ২টার দিকে সিদ্ধান্ত এবার ছাত্রাবস্থায় শেষবারের মত শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর যে লোকদেখানো ব্যাপারটা সেটা সেরে আসি। ছেলেপিলেদের সাথে আগেই যোগাযোগ করা ছিল, তারা রওয়ানা দিল, আমিই বরং সবার শেষে তাদের সাথে যুক্ত হলাম। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিযে আসলাম। কিছুক্ষণ ছবি তুলে যার যার মত, হলে ফিরে আসা। কিছু সময় পর আরেক বন্ধুর সাথে কর্পোরেট প্রচ...
এ বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি রোববার পড়েছে।
যাক, একদিন বাড়তি ছুটি পাওয়া গেলো।
কতদিন ঘুরতে বের হইনা !
অফিস-বাসা-অফিস-বাসা। উফ!
অ্যাই, একুশে ঘুরতে বেরুবি?
চল না!
শাড়ি পরব।
কতদিন শাড়ি পরে ঘুরতে বের হই না!
তোর সাদা-কালো শাড়ি আছে তো?
না থাকলে কিনে ফ্যাল। কে-ক্র্যাফটে সুন্দর সুন্দর শাড়ি এসেছে দেখলাম।
আমিও কিনব।
আমার অবশ্য আছে একটা। গত বছরের। কিন্তু পুরনো শাড়ি পরতে ইচ্ছে করছে না।
ও একটা পার্লে...
“মামণি, মামণি”।
মেয়ের আচামকা ডাকে দুপুরের কাঁচা ঘুমটা ভেঙ্গে যাওয়ায় মেজাজ খারাপ করে সাথে সাথে জবাব দেন না সিগ্ধা। ‘ডাকুক গে, থাক। এমন অসময়ে কেউ ডাকে? কি এমন মরার দরকার, গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে দুনিয়া উজাগার করার?’ ভাবতে ভাবতে আবার একটু তন্দ্রামত লেগে আসে। সেই সাত সকালে নাস্তা বানানো, অফিসে নিয়ে যাবার জন্য স্বামীর লাঞ্চের প্যাক তৈরি, বাচ্চাকে ঘুম থেকে তুলে স্কুলে যাবার জন্য তাড়া দ...
১.
আমি যখন মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশ করি তখন আমার খালাতো ভাইয়ের সাথে একবার ঢাকা এসেছিলাম বেড়াতে। শিশু পার্ক, বোটানিক্যাল গার্ডেন, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা এসব দেখে গেলাম জাতীয় স্মৃতিসৌধ দেখতে। চিরকাল বিটিভির খবরের আগে বা বইয়ের পাতায় স্মৃতিসৌধ দেখে এসেছি দূর থেকে। গিয়ে দেখি, ওমা, যে কেউই তো এটার মধ্যে গিয়েই দাঁড়াতে পারে। অনেকে দেখলাম এর বিভিন্ন খাঁজে খাঁজে আড্ডার আসর জমিয়েছে। এ...
[justify]
১
দেশ ছেড়েছি অনেকদিন। প্রথম একবছর অনলাইনে পত্রিকা পড়তাম, দেশের খবরাখবর জানার চেষ্টা করতাম। এখন ছেড়ে দিয়েছি; কালেভদ্রে টোকা দেয়া হয়। অঘটন, দুঃসহ সংবাদগুলো মনকে শুধু বিমর্ষ করে না; শরীরের উপর-ও প্রভাব ফেলে।
শুরু হয়েছে নাম পাল্টানোর খেলা। টাকার উপর বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাপানো। জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পাল্টানো। হেনতেন। জনগণের টাকা নিয়ে এরা যে হাঁসের মতো নির্লজ্জভাবে ...