প্রিয় জাফর ইকবাল স্যার,
আশা করি ভালো আছেন। আপনার সাম্প্রতিক একটি মন্তব্য পড়ে, বলা যেতে পারে বাধ্য হয়েই আপনাকে লিখতে বসা। যা লিখব তার অনেক কিছুই আপনি জানেন, হয়ত আমার চেয়ে ভালোই জানেন। তারপরেও আপনার কর্মব্যস্ত দিনের মধ্যে কোনো অবসর সময়ে আমার চিঠিটি পড়ে ফেললেও ফেলতে পারেন এই ভরসায় লিখতে বসলাম।
১।
ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার একটা বড় অসুবিধা হলো আমরা নিজেদের পছন্দমত সাইট থেকে (সেটা যতটা অবিশ্বাসযোগ্যই হোক না কেন) তথ্যসংগ্রহ করে বা একটা প্রবন্ধ পড়েই নিজেকে সেবিষয়ে বিশেষজ্ঞ ভাবা শুরু করি।
২০১৬ যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বছর। এবছরের শেষ নাগাদ বারাক ওবামা পূর্ণ করবেন তার আট বছরের দায়িত্বকাল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাধারণত রিপাবলিকান ও ডেমক্র্যাট এই দুই দলের দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে মূল নির্বাচনের বছর খানেক আগেই শুরু হয়ে যায় প্রার্থী নির্বাচনের লড়াই। প্রতি দল থেকেই সচরাচর আট-দশজন প্রার্থী হতে চান। এদের অধিকাংশই দেখা যায় নানান রাজ্যের সিনেটর কিংবা গভর্নর। এছাড়া
কিছুদিন আগে আমি ২০০৯ সালের খসড়া শিক্ষানীতি (যেটি বিশেষজ্ঞরা তৈরি করেছিলেন) আর ২০১০ সালের আনুষ্ঠানিক শিক্ষানীতির (আমলাদের ঘষামাজার পর যেটি দাঁড়িয়েছে) শুরুতে দেয়া লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের মধ্যে পার্থক্যগুলো দেখিয়েছিলাম। এর পর [url=http://www.sachalayatan.com/shehab/55487]আলাদা ভাবে বিভিন্ন ধাপের যে বিস্তারিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বলা আছে সেগুলোরও খসড়া ও আনু
একটি সিনেমা কখন জন্ম নেয়?
আমাদের মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামদানী শাড়ি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন- এটা নতুন কোন তথ্য নয়। আবার আমাদের ভূতপূর্ব ফাস্র্টলেডি এবং বর্তমানের বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশান এরশাদ এরও জামদানী, বেনারসী শাড়ির প্রতি আলাদা টান ছিলো বলে শোনা যায়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া জামদানী না বেনারশী নাকি টাঙ্গাইল শাড়ি পছন্দ করতেন বা করেন সেরকম কোন সংবাদ শোনা যায় না। তবে তাঁর পরিধানে বরাবর
‘আমাদের গল্প’ বলতে গিয়ে আমাদেরকে স্রেফ প্লটে ফেলে দেখিয়ে সেরে ফেলবেন না, আমাদের গল্পটিও বলুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর দিয়ে মেট্রোরেল যাবে কি না কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেট্রোরেলের স্টেশন হবে কি না সেটার পক্ষে-বিপক্ষে নানা বিতর্ক চোখে পড়ল। যেহেতু আমি সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ নই, আমার পক্ষে ব্যক্তিগত মতামত জানানো ছাড়া আর কিছু বলার অধিকার নেই বলেই আমি মনে করি। আমি যেটা করতে পারি দুই পক্ষের অভিমত নিয়ে আমি একটা পক্ষ নিতে পারি শুধু। এছাড়া মেট্রোরেল ইস্যু নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষের এইসব আলোচনায় একটি বড় পয়েন্ট মিসিং (missing) বলে মনে হয়েছে। সেটি নিয়ে আলোচনা করাটাই এ লেখার উদ্দেশ্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও সময়ের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সে চরিত্র থেকে বেরিয়ে এসেছে। সেট যতটুকু না বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজের নীতির পরিবর্তনের কারণে হয়েছে তার চাইতে হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। সবসময় আবাসন সংকট তৈরী করে রাখলে সেটার সুফল ক্ষমতাসীন দলের ভাগে যায় যেটি সর্বজনবিদিত। সম্প্রতি বেশ কিছু হল খোলা হয়েছে যেটি বেশ ভাল উদ্যোগ। কিন্তু এর মাঝে আমরা যেটি ভুলে যাই সেটি হচ্ছে একটি নতুন হল তৈরী করা বেশ কয়েক বছরের উদ্যোগ। সেটি যখন হতে থাকে, তখন কিন্তু বর্তমান ছাত্রদের সমস্যা সমাধান হয়ে যায় না। তাদের ভোগান্তি রয়েই যায়। আমি যখন ক্লাস শুরু করি তখন আমার হলে ১০তলা একটি ভবনের কাজ শুরু হয়, ১৬ জনের রুমে থাকা অবস্থায় আশা ছিল খুব দ্রুত ভবনের কাজ শেষ হয়ে গেলে আবাসন পেয়ে যাব। সেই ভবনের কাজ যখন শেষ হয় তখন আমি ব্যাচেলরের রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করছি। এমনটি হয় অনেক ছাত্রের ক্ষেত্রেই। প্রতিটি বিভাগেই প্রতিবছর মেধাবী কিছু ছাত্র পাওয়া যায়, মেরিট লিস্ট করলে তেমনটি পাওয়া স্বাভাবিকও। কিন্তু বাস্তবতা বলে প্রতি বিভাগের, প্রতি ব্যাচের ছাত্রদের বড় অংশ এই সমস্যার ভুক্তভোগী। এখন এসব আবাসন সংকটের ভুক্তভুগী যারা তারা সংখ্যায় অনেক হলেও তারা কিভাবে ভোগে সেটা কোন আলোচনায় আসে না, তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। শিক্ষক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবাই এগুলো নিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি মেট্রোরেল হলে ছাত্ররা কিভাবে লাভবান হবে সেটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজের উদ্যোগে একটি বিস্তারিত স্টাডি (study) হওয়া প্রয়োজন। সেটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শুধু নয়, ছাত্রদেরও বুঝতে সাহায্য করবে মেট্রোরেলের স্টেশন কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ।
নাটক নির্মাতা দীপঙ্কর দীপনের প্রথম চলচ্চিত্র ‘ঢাকা এ্যাটাক’ বছরের শুরু থেকেই অনলাইন প্রকাশনাগুলোতে বেশ ‘বাজ্’ সৃষ্টি করছে। গত ২৯শে ডিসেম্বর মহরত হয়ে গেল- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, র্যাবের মহাপরিচালক, পুলিশের আইজিপি, ডিমপি কমিশনারের উপস্থিতিতে। জানানো প্রয়োজন- সিনেমাটির নির্মাণের সাথে ‘পুলিশ পরিবার কল্যাণ সমিতি’ জড়িত আছে, এর গল্পটি লিখেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ