হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছি। রাত প্রায় পৌনে এগারটা। গ্যাস স্টেশনে সিয়েন্জি নেয়ার জন্য গাড়ি থামালো বড় ভাই। পোশাক ও আচরনে আধুনিক এক আধুনিকার দিকে এনকিদু'র মত মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি! অকস্মাৎ পিঠে চাপড় আর নয় বছর পরে দেখা সাবেক এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে। বন্ধু তার জিয়েফের সাথে পরিচয় করায় দিল। হায়! বৃথাই ছিল সে দৃষ্টিপাত!
এ গল্পটা এ হতাশার গল্প নয়।
রাতে ফেসবুকে এনকিদু ...
চিতায় অঙ্গার
জুয়েইরিযাহ মউ
লেলিহান আগুনের শিখায় ধোঁয়াটে আকাশটা
কেবল পুড়ছে নিঃসাড় মানবদেহ,
মৃত্তিকার গভীরে বিলীন হয় দেহ -
মৃত্তিকা হয়ে ওঠে উর্বর।
জ্বলন্ত অঙ্গারে পুড়ছে মনটা
সন্ধান পাই প্রকৃত অনুভূতির।
নিস্তব্ধ দেহের মতো নিথর সম্বন্ধ,
নিঃশেষ মোহময় ভাললাগা।
শেষ ??? হাহাকার ওঠে অন্তঃস্থল হতে,
জীবনের ভান্ডারে সঞ্চিত অভিজ্ঞতা -
জানায় শুধু ; শেষ হয়নি তবু।
অবোধ মন, অবুঝ হৃদয় -
দেয়...
যে প্রাণোচ্ছ্বল আত্মাকে নিয়ে ছুটে বেড়াতাম,
মাটির কোলে ধুলো মেখে যাচ্ছেতাই
কাটাতাম দিন--
সে আত্মা এখন মৃত।
শ্মশানের শূন্যতায় সেখানে আজ বাজে
নীরবতার নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি।
কালবোশেখী টলায়নি তাকে,
পড়েছে সে খসে ডেভিলের ফুৎকারে।
কথার আত্মা, অনন্ত আত্মা
গগনশিরিষের ভাবআত্মা-- এখন মেকীর স্রষ্টা।
পুরনো আত্মা? সে মৃত।
এখন সে মৃতআত্মা।
সকাল বিকেল জানিয়ে দেওয়া তোমায় ভালবাসি, হাল ছেড় না বন্ধু, যতক্ষণ ডিজিটাল বাংলাদেশ আছে। দিনবাদলের স্বপ্ন আর সেই বরষায় পিপীলিকা মিছিলে হন্তদন্ত হয়ে দেখা দরকার নেই রুদ্রের সি*লি* তাজমহল।
পায়রার জন্য ছড়ানো গমদানা খাচ্ছে কাকেরা। হাওয়ায় ঘুরে পড়া টব, সবুজ রঙ গড়িয়ে পড়ছে ছাদে। বৃষ্টি ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে জানালার ধারে বসা লেখকদের। কোমল রেখাবকে ...
তুমি না এলে কী এমন ক্ষতি হতো?
.
এসেই জাগিয়ে দিলে অযুত নিযুত দিবারাত্রির হাহাকার। যে হাহাকার লুকিয়ে রেখেই বেঁচে ছিলাম। অন্য কোন সবুজ পৃথিবীর আশ্বাস ছিল না, তবু তোমাকে ছাড়াও চলতো আমার।
.
তুমি আসলে, পাশে বসলে, আমার দুচোখের ভেতরে তোমার দুচোখ ডোবালে। আমার অবাধ্য মন সাঁতার দিল অগম্য সাগরে। আজন্ম সাধ তোমাকে ছুঁয়ে দেখার, তবু সসংকোচ হাতটা বাড়িয়েও পিছিয়ে গেলাম।
.
গোটানো হাত পাখা মেলার আগ...
সিনেমা দেখে, চ্যাট করে এবং তারপর বই পড়ে রোজই ঘুমাতে অনেক দেরি হয়ে যায়। অনিবার্য ফল হিসেবে ঘুম থেকে প্রায়ই উঠি সকাল দশটা-এগারোটার দিকে। আজও সকাল বেলা এমন জম্পেশ ঘুম দিচ্ছি, হঠাৎ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মনে হলো আমার পাশের রুমে কেউ কাঁদছে। ঘুমের ঘোরে ভুল শুনেছি ভেবে আবার পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সাড়ে দশটায় তারেকের ফোন পেয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়লাম। দাঁত ব্রাশ করতে করতে শুনি মা যেন বাবার সাথে ...
বাংলা বানান-বিষয়ক ছড়াহ্বান:
যাদের বানানের অবস্থা করুণ,
তাদের বানানোর ব্যবস্থা করুন।
(এ তো বড় মুশকিলের কথা। আমি গুণে দেখলাম এগারো শব্দ অথচ বলে ১০ শব্দের কমে পোস্ট ছাড়া যাবে না। এই কারণে এই বন্ধনীভুক্ত বকর-বকর।)
– কালকে কোরবানির মাংস নিয়ে যেও।
: হু, আমাকে না দিলে কিন্তু গরীবের হক আদায় হবে না।
– থাপ্পড় খাবি। আত্মীয়ের ভাগ হতে পারে না? ফালতু কথা শুধু।
: ঐ হল। এবার কোথায় দিলেন কোরবানি?
– ঘন্টা দুয়েকের পথ হবে এখান থেকে। যাওয়া-আসা একটা ঝক্কি। একবার গরু বাছাই করতে যাও, একবার টাকা দিতে যাও, একবার মাংস আনতে যাও। কোরবানির মাংস, তাই প্রত্যেকেরই যেতে হল।
: কেষ্ট পেতে একটু তো কষ্ট করতেই হবে, কিন্তু তাই বল...
অকুতোভয় সাংবাদিক টিপু সুলতানের কথা মনে আছে? দৈনিক প্রথম আলোর ঢাকা অফিসে চাকরি করছেন যে টিপু সুলতান সেই টিপু সুলতান নয়; এ হলো ঢাকায় পেৌছানোর আগে ফেনীতে প্রথম আলোর প্রতিনিধি হয়ে ছিলেন যে টিপু সুলতান তিনি। সেই সময়কার আওয়ামী এমপি জয়নাল হাজারীর ক্যাডারদের মারধরে যিনি কলম ধরার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলেন সেই টিপু সুলতান।
টিপু সুলতানকে কলম ধরার শক্তি ফিরিয়ে দিতে একটা চিকিত্সা-তহবিল গ...
এক এক্কে এক
---------------
কবে যেন একটা "বিশ্ব চকোলেট দিবস' ছিল ৷ তাই নিয়ে অফিসে শুরু হল আদিখ্যেতা ৷ এই যে মন্দার বাজার, তা এইচ আরের লোকজনএর হাতে আর তেমন কাজটাজ নেই , নিজেদের গুরুত্ব বোঝাতে তাই প্রতিমাসে একটা করে "ইভেন্ট' এর আয়োজন করে চলেছে ৷ তেমনই এক ইভেন্ট হল চকো-ফেস্ট৷ কদিন ধরে সমানে মাস মেইল আসছে, বক্তব্য হল "চকোলেট কিনুন ও কেনান'৷ কিছু নির্দিষ্ট প্রতিনিধির কাছে আপনি টাকা জমা দিয়ে বলে ...