লোকাল ট্রেনের একঘেয়ে দুলুনিতে ছেঁড়া মানিব্যাগটা বের করে টেকো মধ্যবিত্ত ভাবে – “না, এভাবে আর চলছে না”। রান্নায় এম.এ করা শ্রেয়া বউদি ক্ষীরের পায়েসটা চামচ দিয়ে আলতো করে ঠোঁটে লাগিয়ে বলে-“না, আজকেরটা জমল না”। একদিনও তানপুরা না ধরেই সঙ্গীত বিশারদ কেষ্টবাবু আনকোরা গাইয়ের খেয়াল শুনে মাথা ঝাঁকিয়ে বলে ওঠেন-“না, কিসসু হচ্ছে না”। পাড়ার বাচ্চাদের দুরন্ত ক্রিকেট বল গোপালের মুকুটে লাগলেই পিসিমা চিৎকার করে ওঠেন-
ফেসবুক জিনিসটা বিপদেই ফেলে দিয়েছে মানুষদের। চোখের সামনে দেখেছেন হয়তো ওই পাড়ার মকবুলকে। ছোটবেলা থেকে যার নাক দিয়ে দিনরাত পানি পড়তো। যে হয়তো একটা বাক্যও গুছিয়ে বলতে পারত না। নার্ভাস হলে তোতলানো শুরু করতো। রাস্তার নেড়ি একবার ঘেউ ঘেউ করলে যে বাবারে মারে বলে দৌড়ে ,মায়ের আঁচলের তলায় গিয়ে লুকাতো। ফেসবুক আসার পরে সেই মকবুলই হয়তো মিস্টিরিয়াস ম্যাক নাম নিয়ে রাতারাতি হয়ে গেছে বিরাট সেলেব্রিটি। সে এখন সমাজ রা
সম্ভবত ১৯৭১ সালের পর বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী-স্রোত দেখছে পৃথিবীর মানুষ। এই হতভাগ্য মানুষগুলোর প্রায় সবাই মধ্যপ্রাচ্যের ইয়াজিদী, কুর্দী, বাঙালি, আরবীয়, শিয়া, সুন্নী আরও কত সম্প্রদায়ের মুসলিম, অমুসলিম; এক কথায় আদম সন্তান। আরবের রাজনীতি সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়া, জর্ডান, তুরস্ক, ইয়েমেনসহ সবদেশকে তছনছ করে দিয়
আমার আলমা ম্যাটার শাবিপ্রবিতে গত তিরিশে অগাস্ট ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা উপাচার্যের প্রশ্রয়ে আমার প্রিয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপর যে শারীরিক হামলা করা হয় তাতে আমি ভয়াবহ ক্ষুব্ধ। আমার ক্ষোভের কারণ দুইটি - প্রথমত: এটি একটি ভয়ংকর অন্যায় যেটি হওয়ারই কথা ছিল না। দ্বিতীয়ত: এরকম ঘটনা শাবিপ্রবিতে এই প্রথম ঘটেনি। নিশ্চয়ই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্য হিসেবে আমাদের ব্যর্থতা এই পরিবেশটি অব্যাহত রাখছে বছরের পর বছর।
২০১৪ সালে অন্য একটি ঘটনায় সচলায়তনেই আমি একবার শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের কিছু সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে একটি লেখা দিয়েছিলাম। সেবারের মত এবারও চিহ্নিত করার সাহসী কাজটি করেছে আমার কিছু বন্ধু যারা এসব ব্যাপার আরো বিস্তারিত জানে। আমি শুধু মাত্র এখানে পোস্ট করছি।
ছবি ১:
আগেই বলে রাখি, লেখাটা বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের নিয়ে নয়। যদি ভাবেন এখানে লেখা হবে আইনস্টাইন তার রিলেটিভিটির অঙ্ক করার আগে বা হাতের আঙ্গুল কবার মটকাতেন, বা ফাইনম্যান নিউক্লিয়ার বোমার অঙ্ক কষার আগে ক’বার ডিগবাজি দিয়ে নিতেন, তাহলে আপনি ভুল জায়গায় এসেছেন। এই গল্পের বিজ্ঞানীরা এখনো নিতান্তই সাদামাটা, পিএইচডি ধারী, বা পিএইচডি করনেওয়ালা ছাত্র (ভবিষ্যতের ফাইনম্যান-ম্যাক্সওয়েল আরকি!)।
চলমান ছাত্রজীবনে নানা অদ্ভুত ঘটনা ঘটে চলেছে , এটা তারই একটা খিচুড়ি মিক্স। যথারীতি, ঘটনা-তথ্য সত্য, নামগুলো বদলে দিয়েছি।
কবেকার পুরনো সে বোধ
ক্ষণে ক্ষণে,
নিরবে নিভৃতে,
নিঃশব্দ চিৎকারে-
আজো জেগে থাকে মনের গহীনে।
অনেক কাল কেটে গেছে তার নাম শুধায়ে।
উত্তর আসে নি কোন।
এখন আর উত্তরের কোন প্রত্যাশা নেই।
আসলে,
কোন কিছুরই কোন প্রত্যাশা নেই।
যে জীবন চলে বাতাসের মত মৃদু-মন্দ অথবা দমকা ঝড়ো হাওয়ায়,
তার কাছে, তাকে থামিয়ে, কিছু
জানতে চাওয়ারও কোন মানে নেই।
যে বোধ কখনও ছড়ালো না ডানা,
বিদেশ বিভুঁইয়ে এখনও বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা ধরে রাখা বাবা মাদের নিত্য যুদ্ধ লেগে থাকে বাচ্চাকে বাংলা ভাষা শিক্ষা দেবার, চর্চা করার। অনেকেই কিছুদিন লেগে থাকার পর হাল ছেড়ে দেন। কারণ ভাষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির উপাদান তো চাই। বিদেশে বাংলা বই এর অভাব, শিশু সাহিত্য তো আরও দুর্লভ। আর বাংলায় বাচ্চাদের টিভি অনুষ্ঠানের তো অস্তিত্বই নেই। নিজে ছানা পোনা ঘরে আনার আগে তাই কোমর বেঁধে প্রস্তুতি নিলাম। বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা জাগাতে তাই সব রকম বাংলা শিশু সাহিত্যের বই জোগাড় করলাম। উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার থেকে শুরু করে হালের হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবাল সবাই হাজির হলেন । ছানার আগমনের পর সেগুলো গুড়া বয়সেই তাকে পড়ে শোনাতে গিয়েই হলো বিপত্তি।
রাজপ্রাসাদের সৈন্যরা সব শেষ, উজিরের মরল খানিক আগেই, বীরবেশে আমি রাজার ঘরে ঢুকতে যেতেই রাজকন্যা ফোন দিলো, আমার মুঠোফোনের স্ক্রিনে ছবি সমেত নাম ভেসে উঠলো তার, কঙ্কাবতী! আমি তো চমকে উঠলাম। হাতের চকচকে খোলা তলোয়ার সাই করে বগলে চেপে অন্য হাতে কল রিসিভ করেই বললাম, হাআআলোওওও, নেমজ কুমারস, ডালিমস কুমারস!