মাহবুব আজাদ-এর গল্পগ্রন্থ "আশাকর্পূর" এর পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখতে বসে প্রথমেই আগামী পাঠককে সাবধান করাটা দায়িত্ব মনে করি, যাঁরা ফুল ফল লতা পাতাসমৃদ্ধ গোল গোল ভালো ভালো গল্প পড়তে আগ্রহী, এই বই তাঁদের জন্য না। যাঁরা 'মানী লোকের মান সম্মান' বজায় রেখে সমঝোতা আর শান্তির গল্প পড়তে আগ্রহী, "আশাকর্পূর" তাঁদের জন্যও না। খাদি পাঞ্জাবি আর মোটা চশমায় সাজানো মূর্তির আড়াল থেকে খুঁড়ে আনা সত্য প্রাণীকে দেখে যাঁরা 'সব
“স্কুলশিশুকে ধর্ষণের দায়ে স্কুল শিক্ষকের যাবজ্জীবন” এই শিরোনামের একটি সংবাদ [১] থেকে এই লেখার সূত্রপাত।সংবাদটি থেকে যা যা জানতে পারলাম তা হল-- ক) অপরাধের ঘটনাস্থল, কাল, অপরাধীর নাম, বয়স, শিশুটির বয়স, খ) আদালতের অভিমত এবং রায়, আর গ) মামলার পূর্বের অপরাধীর এক সময়ের বাসস্থানের ঠিকানা (স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে জেলা এবং মামলার পূর্বের যেখানে বাস করত সেই এলাকার নাম)। একটু পর মাথায় এলোমেলো কিছু ভাবনা এল,শিশুটি সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেলেও, যৌন অপরাধী সম্পর্কে তেমন পরিষ্কার কিছু জানতে পারলাম না।
মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর যে অত্যাচার চলছে তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। নিজের দেশের মানুষের উপর এরকম অত্যাচার যারা করতে পারে তারা হিন্দু- মুসলমান- বৌদ্ধ যাই হোক মানুষ নয়। কিন্তু এইরকম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে, অপ্রাসঙ্গিক ফটো শেয়ার করে যারা অন্যান্য দেশে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন তারা এদের চেয়েও ঘৃণ্য!
আজ ৩১-০৫-১৫ তারিখের বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় একটি খবর দেখে নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। ঢাকার রামপুরা এলাকা থেকে মনির হোসেন নামে একজন লোককে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়েটার বয়স মাত্র ১২ বছর। গত ৩ মাস ধরে লোকটি নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করে আসছে প্রতিনিয়ত। মেয়েটি গর্ভবতি হওয়াতে তার মায়ের চোখে পড়ে বিষয়টা এবং তিনি চাপ দেয়ায় মেয়েটি স্বীকার করে সবকিছু। এই ধরনের মানসিক বিকৃতির খ
কিছুদিন আগে ফেসবুকের নিউজফিডে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দেয়া ফতোয়ার কথা শুনেছিলাম। আজকে তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে সেটি দেখলাম (লিংক)। বিষয় চেয়ারে বসে নামাজ পড়া নিয়ে।
প্রথম জীবন.
প্রথম জীবনটা দারিদ্রক্লিষ্ট। খুব কষ্ট করে পড়াশোনা, তীব্র অভাব আর টানাটানি। টিউশানি করে পড়ার খরচ, একাংশ সংসারেও যায়। সমাজ ভাঙার স্বপ্ন দুচোখে। পড়াশোনার সাথে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার আন্দোলনে। নতুন সমাজ গড়ে তোলার আকাংখা। দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার ছেয়ে যায় স্বপ্ন শ্লোগানে। সারা রাত চিকা মেরে ভোরবেলা ঘুম। উই শ্যাল ওভার কাম, উই শ্যাল ওভার কাম সাম ডে.... নতুন দিন একদিন আসবেই। পূর্ব দিগন্তে নতুন সূর্য।
আজকে খবর পড়তে পড়তে হঠাৎ করেই একটা খবরে চোখ আটকে গেল, দেশে এখন নাকি গণতন্ত্রের সুবাতাস বইছে! এবার ভালোভাবে খবরটা পড়ে দেখি, ওমা!
যারা চলে যায়, তাদের তো আর কোন দায় থাকে না।
তাদের সকালে উঠে আর অফিস যেতে হয় না, স্কুলের বাস মিস করে মন খারাপ করতে হয় না। বৃষ্টির দিনে তারা অফিসে ছাতা ভুলে ফেলে আসে না, গায়ে জ্বর নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় না। তাদের নেই মাস শেষে নানান বিলের খরচা মেটানো, নেই কোনো জন্মদিনের অথবা বিয়ের দাওয়াত রাখার দায়। ক্লান্ত দিন শেষে ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে তাদের ঘরে ফেরার টান নেই--
খুন,ধর্ষণ সহ নানান সামাজিক অপরাধে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ যখন শঙ্কিত, লেখক ও ব্লগার হত্যার প্রতিবাদে সুশীল সমাজ চুপ করে থাকলেও যখন কথা বলছেন একমাত্র জাফর ইকবাল স্যার, ঠিক তখনই আবারও তাঁর বিরোধীতা করে মাঠে নামলো "সচেতন সিলেটবাসী" নামের একটি স্বার্থান্বেষী মহল। 'আবারও' শব্দটা ব্যবহার করছি কারণ এর আগেও ২০১৩ সালে এই ব্যানার নিয়েই স্যারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিল তারা। তখন তারা সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা বা
নির্দিষ্ট করে কোন কিছু নয়। কিছু একটা নিয়ে - যা হঠাৎ করে জলের অতল থেকে উঠে এসে ঘাই মেরে গেল অথবা নিরন্তর কুট কুট করে কামড়ে যাচ্ছে । সেই খুচরো হাসি-কান্নাগুলো ভাগ করে নেওয়া। প্রধান স্রোতের খবরদারী কি খবর্দারী করা মাধ্যমে হলে বলতাম ভাগ করে দেওয়া। সেখানকার মহাজনেরা দিয়েই খুশী। নিতে হলে তারা লেখার কি অর্থ পড়ুয়া করল তার থেকে লেখার অর্থ প্রকাশক কি করল সেটা যে অর্থ সকল অনর্থের মূল বলে প্রচারিত সেই অর্থে নিতে পছন্দ করেন। ব্লগের লেখা সেই মিনারবাসীর নয়, সাগরতীরের, মিলাবে-মিলিবে, যাবে না ফিরে।