Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

চিন্তাভাবনা

ইট ওয়াজ নট এ পিস অফ কেইক

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০৫/২০১৫ - ১:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই খবর জানানোর পরে আশে-পাশে মানুষ বিশেষ করে কিছু কিছু বন্ধু-বান্ধবদের কথায় মনে হলো শতাব্দীর সবচেয়ে খারাপ কাজটা আমি করেছি। এত বছরের পড়াশুনা সব জলাঞ্জলী দিয়ে একি কাণ্ড বাধিয়েছি! প্রথমে আমি ঠিক বুঝি নাই সমস্যাটা কোন-খানে। কয়েকজন অতি উৎসাহী হয়ে জানালেন আমার বয়েস যাচ্ছে বেড়ে, আরো একবার বিয়ে করা উচিত জলদি; মা হবার বয়েস পার হয়ে গেলে আমাকে নাকি আর পার করা যাবেনা।

একজন আরো এক কাঠি সরেস, ঠারেঠোরে বলেই ফেললেন আমার এমনিতে যা শরীরের গঠন তাতে করে বিয়ে হওয়া মুশকিল, এমন অবস্থায় চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে নিজের পায়ে নাকি কুড়ালই মেরেছি।


কর্মস্থলে নারীর অভিজ্ঞতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৩/০৫/২০১৫ - ৯:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তারপর আরো কিছু টুকটাক আলাপ। আমরা এই ডিপার্টমেন্ট এ আসার আগে বলি বয়ফ্রেন্ড থাকলেও ছেড়ে আসতে, আপনার তো হাসবেন্ড আছে। আমি কি শপিং করি? এই ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হলে শপিং ভুলে যেতে হবে। পিজি তে রাত বিরাতে কাজ করতে হবে। বাসায় কী বলবে? হাসবেন্ড কী করে? ভবিষৎ এ বিদেশে যাওয়ার ইচ্ছা আছে কিনা কারন আজকাল সবাই বিদেশে যেতে চায়। বাংলা মিডিয়াম দিয়ে পড়ে ইংলিশ ভার্সন কাভার করতে পারব কি? ইত্যাদি।

বলা বাহুল্য আমার সেই সেই ভাইবায় পাশ করা হয়নি। সম্ভবত বিবাহিত হওয়াই ছিল আমার অপরাধ।


প্রদীপ জ্বালাতে হবে.....

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৩/০৫/২০১৫ - ২:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যুক্তির পিঠে অস্ত্র দিয়ে আঘাত চালায় যারা
ভালোই জানে, যুক্তি তাদের কতোটাই নড়বড়া।
তবু তাদেরই গুণ গায় যারা, সংখ্যায় বেশি তারাই
মানবতা শুনে, মুখ বুঁজে কাঁদে, পিশাচ-প্রেমীর বড়াই।
আর ঢাকে যারা ঘাতকের গ্লানি, কপোট অজুহাতে,
দার্শনিক আর মানবতাবাদি নেতা তারা বাংলাতে।

বাকি যারা আছি, চিৎকার করি বিচার চাইতে গিয়ে
আশেপাশে সবে, বিদ্রূপ করে, সেই আমাদের নিয়ে।


আমি গাধা বলছি

মাসুদ সজীব এর ছবি
লিখেছেন মাসুদ সজীব (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৫/২০১৫ - ৯:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাঠক জীবনে লেখক কৃষণ চন্দরের কোন ধরণের লেখার সাথে পরিচয় ছিলো না এতকাল। ফলে কোন ধারণাও ছিলো না লেখকের সৃষ্ট সাহিত্যকর্ম নিয়ে। গত বইমেলায় নানান স্টলে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ করে একটা আনকোরা লেখকের অদ্ভুদ সুন্দর নাম চোখে পড়লো। বইটির নাম দেখেই পছন্দ হলো, কি সুন্দর নাম ‘আমি গাধা বলছি’, তাই কিনে ফেললাম। নাম দেখেই এইটুকু বুঝেছি এটা স্যাটায়ার ধর্মী কোন লেখা হবে। কিন্তু সেই স্যাটায়ারের পরিধি যে এত ব্যাপক হ


শুধু নারীর ক্ষমতায়ন নয়, চাই ঊর্ধ্বতন পদে আরো নারী

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৫/২০১৫ - ১১:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লাঞ্ছনা আর বঞ্চনার গল্প
মৌটুসী বুয়েট থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বেরিয়েছে কিছুদিন হলো। তার পরীক্ষার ফলাফল খুব ভালো। আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ হয়ে গেলেও ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় পরের সেমিস্টারে যেতে হচ্ছে তাকে। প্রায় ছয় মাসের এই সময়টুকুতে একটা চাকুরী করতে চাচ্ছিল সে।


বাল্যবিবাহঃ বাবামায়েরা কি জানেন তারা কী করছেন? - ২

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৫/২০১৫ - ১০:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তিন বৎসর পর ওদের ভর্তির টাকা জমা হলো। ওরা ভর্তি পরিক্ষায় উৎরে গেল। শুরু হলো নতুন যুদ্ধ। আমার বাসায় কখনো গৃহ শিক্ষক রাখা হয়নি, কখনো ওদেরকে কোচিং করাই নি। তবুও ওরা মেধা স্থান দখল করতো, বৃত্তি পেতো। আমি রাত জেগে ওদের জন্য নোট করতাম, তার পর যখন নোটে চোখ বুলাতাম সব ক্লান্তি দূর হয়ে যেত। পাবলিক পরীক্ষায়ও ওরা সব চেয়ে ভাল রেজাল্ট করেছে। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, ওদেরকে আনন্দময় শৈশব দিতে পারি নি। একটা গল্পের বই বা খেলনা পাবার জন্য ওদেরকে মেধা স্থান দখল করতে হতো। পছন্দের টিফিন খাবার জন্য এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হতো। কারন সপ্তাহে একবারই ওরা টিফিনে টাকা পেতো।


ব্যাঙগ্যাঙ

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: সোম, ১১/০৫/২০১৫ - ৬:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমরা বলি সত্য কেবল
অন্যরা সব মিথ্যে কয়
বললে আমি হুক্কাহুয়া
আমার দলে সঙ্গী হয়

আমার আছে অস্ত্র ভারী
পাইক্যা বাপের দীক্ষা নেই
যে করতে চায় তর্ক তাহার
মাকে ধরে শিক্ষা দেই


সব ঘটনা-ই প্রতিবাদের না, আবার প্রতিবাদের

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১১/০৫/২০১৫ - ১:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেদিন বিকাল ৫টা হবে অথবা এর একটু পর। এখন আর মনে পড়ছে না ঠিক ঠাক সময় বা মুহূর্ত। আমি পান্থপথে, ওই যে আসবাবের দোকানগুলো ছিল না, সে পাশ দিয়ে হেঁটে মোড়ের দিকে আসছিলাম অফিসে সেরে রিকশা নেব বলে। দুপুরের কিছু পরে বৃষ্টি হয়েছিল তাই এক পাশে পানি জমেছিল বলে রাস্তার কিছুটা মাঝে দিয়ে হাটছিলাম। একটু পরে উলটো দিক থেকে এক মোটর সাইকেল আসছিল। তো, মোটর সাইকেল পুরো গাঁ ঘেষে গেল, আমি সরতে গিয়ে সরতে পারিনি। সরে কোথায়


কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া কি ঠিক?

ও এর ছবি
লিখেছেন [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১০/০৫/২০১৫ - ১০:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের দেশে একটি আইন রয়েছে, যেই আইন কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে। আর তার শাস্তি কম করে হলেও ৭ বছরের কারাদণ্ড।


মানুষ সংস্কারা । সাধুকথার সন্ধানে - ১

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: রবি, ১০/০৫/২০১৫ - ৩:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই যে আপনি আর আমি মুখোমুখি বসে আছি-
এই যে দুইজন আমরা এখন কথা বলছি...
আমরা এরকম আর থাকবো না, তাই না?
না কি, আমরা কোনদিনও এরকম ছিলাম না?
তাহলে এই যে বসে আছি, এ কেমন?

সাধুদের বথাগুলো এরকমই।
পথের ধারে ফুটে থাকা বুনো ফুলের মতন। এমনিতে চোখে ধরবে না কিন্তু যে এর রস পেয়েছে, তার জন্য পৃথিবীটা হয়ে উঠবে- মস্ত একটা ফুলের বাগান। সাধুর কথা মনে নিলে, গোটা মানব জীবন হয়ে ওঠে একটা রসের আধার।