(১)
বিএনপি-জামাতের এই নির্বিচারে মানুষ নিধন কর্মসূচী কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়।
লম্বা শীতনিদ্রার পর স্কুল শুরু হলো ঢিমাতালে। উত্তরাঞ্চলের জানুয়ারির শীত মানে সত্যিকারের হাড় ফুটো করা ঠাণ্ডা। ক্লাশে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি কম, যদিও স্কুল চলে নিয়মমাফিক। নাহরিনের বাসা থেকে স্কুল ঘন্টাখানেক হাঁটা পথ। মিনিট দশেক পেরুলে অবশ্য বড় মসজিদ মোড়ে রিক্সা, অটোরিক্সা মেলে সহজেই। নাহরিন হেঁটে যেতেই পছন্দ করে। হাঁটা তার দীর্ঘদিনের অভ্যেস, প্রয়োজনও।
পার্থিব/অপার্থিব
সাল মনে নেই,মাস মনে নেই, মনে নেই তারিখটাও। কিন্তু বেশ মনে আছে সেটা ছিল কোন এক রোদেলা সকাল।স্কুলের মাঠের সবুজ ঘাসে আমি হেঁটে বেড়াচ্ছি।কোন কারনে ক্লাস হচ্ছিল না, নাহলে সে সময়টায় আমার যাই হোক মাঠে চরে বেড়ানোর কথা না। আমার হাতে একটা ইরেজার, আমরা জিনিসটাকে বলতাম রাবার। সে সময় যেসব ইরেজার ওরফে রাবার পাওয়া যেত তার তুলনায় আমার হাতের ইরেজারটা ছিল খানিকটা অন্যরকম,বাজারে নতুন এসেছে। মুল শরীরটা সাদা রঙের,কিন
ফ্রান্সের শার্লি এঁবদো পত্রিকায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হত্যাকান্ড নিয়ে ফেইসবুকে আর বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় তোলপাড় চলছে । এই ঘটনার বদৌলতে আরো একবার টের পেলাম আমাদের দেশে কি পরিমাণ মৌলবাদী গোঁড়া চিন্তাভাবনার প্রসার বাড়ছে । সরাসরি এই খুনকে সমর্থন করা ভয়ংকর চিন্তাভাবনার লোকজনের সংখ্যা দেখে দেখে আঁতকে উঠেছি । কিন্তু এরা ছাড়াও ফেইসবুকে আরেক শ্রেনী আছে, যাদের বক্তব্য আমার মনে হয়েছে আরও বেশী ভয়ংকর !
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে জনৈক নারী মামলাটি দায়ের করেন। সেদিনই বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় এবং পরদিন সবগুলো দৈনিক পত্রিকায় খবরটি ফলাও করে ছাপা হয়। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও নিয়মিত সংবাদ পরিবেশিত হতে থাকে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতেও খবরটি ব্যাপক প্রচার পায়।
ভাবছিলাম ফেসবুকের কোন বাংলা এখনো চালু হয়েছে কিনা। যেমন ওভারব্রিজ এর বাংলা করা হয়েছে পদচারী সেতু, আর ফ্লাইওভারের বাংলা হল উড়ালসড়ক! ফেসবুকের জন্য “মুখপুস্তক” নামটা শুরু করা যেতে পারে সেক্ষেত্রে। সারা পৃথিবীই এখন এই মুহুর্তে খুব ভয়াবহ রকমের সোশাল মিডিয়া জ্বরে কাতর! বাংলাদেশে মানুষ এখনো ফেসবুকটাই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছে। টুইটার, হাই ফাইভ বা অন্যান্য সাইটগুলো হয়ত বাংলাদেশের মানুষকে ঠিক ততটা প্রভাবিত করে না। এটা একেবারেই আমজনতাকে চিন্তা করে করা মন্তব্য, কিছু ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। বাংলাদেশ এখনও ইন্টারনেট ব্যবহার করেন এমন মানুষের সংখ্যাই তুলনামূলকভাবে অনেক কম। সোশাল মিডিয়ার জ্বরের এই জীবানু এখনো পর্যন্ত বহুলাংশেই শহুরে জীবনের প্রতিচ্ছবি!
বাংলাদেশে সাংবাদিকতার এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের সকল ক্রান্তিকালীন সময়ে সাংবাদিক এবং সংবাদ মাধ্যমগুলো গঠনমূলক এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন। সেই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জনগণ সাংবাদিক এবং সংবাদ মাধ্যমগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, আমাদের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্বের দাবীদার, যা কিছু ভাল তার সাথে চলবার প্রত্যয় ব্যক
০১
রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে অলসভাবে স্ক্রল করে যাচ্ছি বাংলা অনলাইন পত্রিকাগুলি। আজ পাঁচই জানুয়ারি, কোথাও কি কিছু হচ্ছে? দেশ কিংবা জাতি নিয়ে চিন্তার চেয়েও বড় চিন্তা, বাবা-মা এবং স্বজনদের যারা দেশে আছেন, তাদের নিয়ে। চোখে দেখে বিচার করার ক্ষমতা যেহেতু নেই, পত্রিকা দেখেই পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করি। পত্রিকার আর ফেসবুকের হোমফীডে চোখ বুলাতে বুলাতে মনে হলো, আজ ঢাকার পরিস্থিতি বেশ ভালোই গুরুতর। বাসায় ফোন করে বার বার করে বাবা'কে বললাম, কিছুতেই যেন আজ বের না হয়। কথা শেষ করে বেশ নিশ্চিন্ত বোধ করলাম। দেশের বাইরে আমি নিরাপদ আছি- যদি আমার কথামতো বাবা-মা কেউ বাসা থেকে বের না হয়, হয়তো তারাও নিরাপদ থাকবে। বাকিদের কী হবে, তা অবশ্য জানি না।