জিহাদ মারা গেছে। একটা পরিত্যক্ত পানির পাইপের গর্তে পড়ে। এটুকু সবাই জানে। এর বাইরে আর বেশি কিছু আমাদের জানার প্রয়োজন ছিলো না মনে হয়, তবে অনেক কিছু করণীয় ছিলো। আমরা পারি নি ওকে বাঁচাতে। এটা বড় নির্মম সত্য।
বিদেশে বসে দেশি টিভি দেখার সৌভাগ্য/ দুর্ভাগ্য হয়নি, খবর জানবার হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় আপডেট পেয়েছি, বলা ভালো, গুজব শুনেছি। সেগুলোর অধিকাংশই আর পাচ্ছি না এখন, মুছে দেয়া হয়েছে। যা আছে তার থেকে টুকরো টুকরোভাবে জেনেছি ঘটনা। সত্য-মিথ্যা কিনা জানিনা।
জিহাদ দুপুর/ বিকেলে একসময় খেলতে বেড়িয়ে গেছে, খোলা রেখে দেয়া এক গর্তে পড়েছে, এরপরে তাকে আর পাওয়া যায়নি, যখন গেছে তখন সে আর বেঁচে নেই।
এর মাঝে শয়ে শয়ে বা হাজারে হাজারে মানুষ দেখতে গিয়েছে, সাহায্য করেছে, করতে চেয়েছে। ছুটে গেছে দমকল বাহিনী, ওয়াসা, পুলিশ, রেলওয়ে, এমনকি মাথামোটা মন্ত্রীটিও।
সবার উপরে ছিলেন সাংবাদিকেরা, তাদের যন্ত্রণায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়েছে কিনা তা আমি এখানে থেকে শুধু আন্দাজই করতে পারি, তবে গুজব ছড়াতে তাদের অবদান অনস্বীকার্য! তারা কি কি ও কি ধরনের সংবাদ পরিবেশন করেছিলো, তার একটি সারাংশ বা সারমর্ম করার চেষ্টা করছি এ লেখায়, কিছু মন্তব্যও জুড়ে দিয়েছি। প্রথম আলো- ডেইলি স্টার মিডিয়ার অধিকাংশ নিউজ আর পাচ্ছি না। তারা হয় সেগুলো মুছে ফেলেছে, নয়তো পরিবর্তন/ পরিবর্ধন করেছে। তাই মোটামুটি বিডিনিউজই ভরসা।
কেন যেন মনে হচ্ছে এই নামে অন্য একটা লেখা আমি আগেই পড়েছি, তাই অবচেতনে শিরোনামটা রয়ে গেছে। যদি তাই হয়, তাহলে একই নামে আবার লেখার দায়ভার আমি নিচ্ছি, কিন্তু বিষয়টা ইচ্ছাকৃত না। নিজের মায়ের মৃত্যুটা খুব কাছে থেকে দেখার পর ক্যান্সারের প্রতি এই অদ্ভুত ভীতিটা বেড়ে গেছে আরও কয়েক গুণ। কিছুদিন আগে একটা লেখা পড়ছিলাম, একজন ক্যান্সার রোগীর লেখা। লেখাটার সারমর্ম হল এই যে, “যখন আমার মৃত্যু হবে আমার সন্তানদের খুব সহজ ভাষায় বলবে যে আমার মৃত্যু হয়েছে, খুব দুঃখ প্রকাশের দরকার নেই, শুধু আমার কিছু ভাল কথা তাদের বল, আর বল যে আমার যদি ক্ষমতা থাকত আমি কখনো আমার সন্তানদের ছেড়ে যেতাম না। অতএব ওদেরকে কখনো বলবে না যে আমি পৃথিবী ছেড়ে আরো ভাল একটা জায়গায় চলে গিয়েছি। শুধু বল যে আমি বেঁচে ছিলাম, এখন আমার মৃত্যু হয়েছে!” “When I die someday just tell the truth: I lived, I died. The end!”
বিদেশে এসেও পাকিদের একেকটা কান্ড কারখানা শুনি, দেখি আর মনটা বিমলানন্দে ভরা যায়। বিজয়ের মাস শেষ হবার আগেই এক জোড়া + একটি পাকি-রস। এগুলোর কোনটাই কল্প-গল্প বা সৃজনশীল লেখা না, সবগুলোই ’জীবন থেকে নেয়া’।
১। উপমহাদেশের সবচেয়ে সভ্য জাতি
বাংলাদেশ ক্রমশ শিশুদের জন্য বিপদজনক একটি দেশ হয়ে উঠছে।
খবরের কাগজে চোখ রাখলে প্রায় প্রতিদিনই কোনো দুর্ঘটনা বা অপরাধের কথা পড়ি, যেখানে ভিক্টিম এক বা একাধিক শিশু। ধর্ষণের পর শিশুদের হত্যা করার খবরটি মোটামুটি সাপ্তাহিক একটি ঘটনায় পরিণত হয়েছে, কিন্তু সেগুলো নিয়ে আমাদের খুব বেশি প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। ব্যাপারটাকে অনেকটা ভূমিকম্প বা ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে দেখার একটা প্রবণতা আমাদের মধ্যে গড়ে উঠেছে। হয়তো মিডিয়া আমাদের এই ঘটনাগুলোর লাইভ কাভারেজ দেখাতে পারে না বলে আমরা বেশি সাড়াশব্দ করি না। তবে গতকাল ঢাকার শাহজাহানপুরে একটি গভীর কূপের ভেতরে চার বছর বয়সী একটি শিশুর উদ্ধার তৎপরতার বিজ্ঞাপনখচিত কাভারেজ মিডিয়া যেভাবে দেশবাসীকে উপহার দিয়েছে, একটি শিশুর ধর্ষণ ও হত্যার দৃশ্য সেভাবে দেখালে হয়তো আমরা চুপ করে গিয়ে নিজের কাজে মন দেওয়ার আগে অন্তত দুই তিনদিন চেঁচামেচি করার মতো একটা রগরগে ইস্যু খুঁজে পাবো।
১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময় জাল পড়া বাসন্তী যে একটা সাজানো নাটকের মঞ্চায়ন ছিল, সেটা আমরা এখন প্রায় সবাই জানি। বিশেষ করে সেই ছবির আলোকচিত্রি আফতাব আহমেদ খুন হওয়ার পর ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন ভাই এর এই লেখা থেকে আমরা সেই ব্যাপারে অনেক স্পষ্ট ভাবে জানতে পারি। লেখাটির ছোট্ট একটু অংশ এখানে দিচ্ছি পাঠকের সুবিধার্থে-
১)
দুই ক্ষেপ মিলিয়ে নয় নয় করেও পাঁচ বছর হয়ে গেল পুণেতে| বেড়ে ওঠার সেই ছোট্ট মফস্বল কোন্নগরের পরেই জীবনে সবচেয়ে বেশীদিন ত্থাকছি পুণেতে| সহ্যাদ্রির কোলে শান্ত ছোট্ট শহরটাকে প্রায় চোখের সামনেই মেট্রোসিটি হয়ে যেতে দেখলাম|
চিন্তা গুলো মাথার ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছিল, তাই ভাবলাম লিখেই ফেলি। কথাগুলো নতুন না, শুধু উপলব্ধিটা নতুন হতে পারে। ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি চাচারা লন্ডনে থেকে গেছেন, আমার বাবা থাকতে না পেরে ফিরে এসেছিলেন নিজের দেশে। সেই থেকে আমার বাবাকে কেউ কেউ "বঙ্গবন্ধু" ডাকা শুরু করেছিল!
ব্যাপারটা কিছুই না, জাস্ট প্রেসেন্টেশন। আপনার ছবিকে কম্পোজিশন, লাইট, কালার সব দিক থেকে পার্ফেক্ট করে উপস্থাপন করবেন আপনিই, অন্যকেউ এসে এটা করে দিয়ে যাবে না। সুতরাং আপনার ছবিকে ধরে পোস্ট প্রসেস করে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে কে কি বললো এগুলো নিয়ে চিন্তা করে অযথা সময় নষ্ট করার কোনোই মানে হয় না। সেই আদী কাল থেকে 'পাছে লোকে সর্বদাই বলে।' সুতরাং ঝাঁপিয়ে পড়ুন আপনার নিজস্ব ক্রিয়েটিভিটি নিয়ে।
লেখার জন্য কেউ অপেক্ষা করছে ভাবতে ভালোলাগে, সেই একজনটা না’হয় হোক আমার অবচেতন মন কিংবা দু’একজন সত্য বন্ধু।
রবিবার গুলো কেটে যায় আলসেমি না করে, রাজকন্যা কঙ্কাবতীর মতো কফিতে আয়েশি চুমুক দেয়া হয় না আজ ক’মাস। তবে মাথার ভেতর লেখা চলে, অবিরাম নতুন ভাবনা উঁকি দেয়।
[justify]ইসলাম পূনর্জীবন লাভ করে প্রতিটি কারবালার পর। এরকম একটা কথা বাংলাদেশের মুসলমানদের কাছে খুব প্রচলিত এবং জনপ্রিয় বটে। এবং সেটা উর্দুতেই বলা হয়ে থাকে সবসময়। সে হিসাবে এটি সম্ভবত উর্দু থেকেই এসেছে।