উত্তর সাগর থেকে ভেসে আসা নোনা বাতাস শ্যাওলা ধরা জাহাজের কাঠের পাটাতনে মিশে এক ধরনের স্যাতসেতে ঘ্রান তৈরী করে। কাঠের জাহাজ কালের কাছে বিলীন হয়েছে। কিন্তু সমুদ্রচারী নীর্ভিক এক নাবিক জাতির জীবনসংগ্রামের এই ঘ্রান এখনও পাওয়া যায় সেই অঞ্চলে। এই ঘ্রান তারা জাহাজে করে বয়ে নিয়ে গিয়েছে আটলান্টিকের পশ্চিম প্রান্ত ধরে সোজা দক্ষিন দিকে। কাঠের জাহাজে ভেসে আরো পূব দিকের ভারত মহাসাগর ও এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয়
শুরু-
-----------------
গত বছর ডিসেম্বরে দেশে যাবার পরে একটা অচিন্ত্যনীয় ব্যাপার হলো।
সারা দেশে তখন নির্বাচন পূর্ববর্তী আন্দোলন আর অবরোধ, সেই সাথে লেগে আছে হরতাল, জ্বালাও-পোড়াও...। দেশে যাবার আগে আগে শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনেকেই বললেন এরকম পরিস্থিতিতে না যেতে, নির্বাচন শেষ হোক, পরিস্থিতি শান্ত হোক, তারপর যাওয়া যাবে।
আমি তেমন একটা গা করলাম না। নিজের দেশে যাচ্ছি, সেটার জন্যে আবার পরিস্থিতি বিবেচনা কী? অনেককেই দেখেছি দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে দেশে যাবার আগে ‘ওয়েদার’এর খোঁজ নেন, তা না হলে দেশে গিয়ে অসুখে পড়েন, আমার এখনও এরকম হয়নি। একবার শুধু অতিরিক্ত নিমন্ত্রণের চাপে পেটের বারোটা বেজে একেবারে শয্যাশায়ী হয়ে ছিলাম কদিন, এ ছাড়া আমার এতদিনকার চিরচেনা ‘ওয়েদার’ কখনোই আমাকে বিপদে ফেলেনি। আর এইসব হরতাল, অবরোধ এসব তো আমাদের নির্বাচনী কালচার, ডরাইলেই ডর, নইলে তেমন কিছু না।
এই লেখাটা যখন লিখেছি তখন ইবোলা ভাইরাস এবং ইভিডি'র অনেক বিষয় অস্পষ্ট ছিল। আমি চেষ্টা করেছি লেখাটিতে সেই সময়ের সব থেকে সাম্প্রতিক তথ্য দেয়ার। ইবোলা পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণা গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় পরবর্তীতে ইবোলা সম্পর্কে আমরা অনেক 'নিশ্চিত' তথ্য পেয়েছি। সেই সকল তথ্য দিয়ে এই লেখাটিকে "আপডেট" করা হচ্ছে না। সেইজন্য সকল পাঠককে জানিয়ে রাখছি, এই লেখাটিতে দেয়া ইবোলা সম্পর্কিত সকল তথ্য সাম্প্রতিক (এবং সেই হিসেবে সঠিক) নয়।
অনেকে প্রশ্ন করেন, জানতে চান ইবোলা ভাইরাস বিষয়ে। একটা ব্লগে সকলের প্রশ্নের জবাব দিলে সুবিধা।
এই ব্লগটির দুটি অংশ। প্রথম অংশে আপনারা যা জানতে চাইবেন সেসব প্রশ্নের জবাব দেব। দ্বিতীয় অংশে ভাইরাস, জৈবনিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে খানিকটা ব্লগরব্লগর করতে পারি হয়ত।
আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এই অব্যবহৃত ইতিহাসের স্বর্ণখনির সন্ধান পেয়েছি। এটি রাখা আছে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব সার্ভারে। এতে কি আছে? ১৯৭২ সাল থেকে শুরু করে আমার সূত্র মতে ২০০২ সাল পর্যন্ত বেশিরভাগ পত্রিকার সবগুলো পাতার স্ক্যান করা কপি।
আমি নিশ্চিত কমপক্ষে ৯৫% পাঠক শিরোনামের ইংরেজী শব্দটার সাথে পরিচিত নন। ডিকশেনারী না খুলে শব্দটার অর্থ বলতে পারবেন খুব কম মানুষ। এমনকি যারা পারবেন আমি প্রায় নিশ্চিত তাদের ঘরে নার্সারি-কেজি পড়ুয়া বাচ্চা আছে।
শব্দটির সাথে আমিও পরিচিত ছিলাম না দুদিন আগে। এই শব্দটা না জানার কারণে সারাজীবন আমার কোন ক্ষতিবৃদ্ধি হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। আমার ধারণা এই chum শব্দটার অর্থ একজন মানুষ সারাজীবন না শিখলেও কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু ক্লাস টুতে পড়ুয়া বাচ্চাটি এই শব্দ না জানার কারণে স্কুলে বকুনি খাবে হয়তো নাম্বারও পাবে না। আমার কন্যা একটি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ছে। তার বইতে শব্দটা পেয়েছি। আমাকে তাই অর্থটা ডিকশেনারী খুঁড়ে বের করতে হয়েছে।
ইহুদীদের পবিত্র গ্রন্থ তালমুদে বলা আছে, দুনিয়ার মাত্র চারটি ভাষা সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহারের উপযুক্ত - গান গাওয়ার জন্য গ্রীক, যুদ্ধের জন্য ল্যাটিন, কান্না ও শোক প্রকাশের জন্য সিরিয়াক ভাষা (সিরিয়াক/Syriac ছিল প্রাচীনযুগে উত্তর মেসোপটেমিয়ার ভাষা, যা একটি প্রধান সাহিত্যিক ভাষা হয়ে উঠেছিল খ্রীষ্টীয় প্রথম থেকে পঞ্চম শতাব্দী পর্যন্ত) এবং দৈনন্দিন জীবনের অন্যান্য কাজের জন্য হিব্রু ভাষা। কোন ভা
একজন জনপ্রিয় সাহিত্যিক (খুব সম্ভব হুমায়ুন আহমেদ) বলেছিলেন সাক্ষাৎকারে অর্থাৎ প্রশ্ন আর তার উত্তরের মাঝে কাউকে খুঁজতে যাওয়া অনেকটাই বোকামি। কারণ সাক্ষাৎকার প্রদানকারী যদি নিজেকে লুকিয়ে রাখেন তাহলে শত প্রশ্ন করেও তাকে বের করা সম্ভব নয়। তারপরও লেখকের সততার উপর আমরা আস্থা রাখি বলে সাক্ষাৎকার গ্রন্থগুলো আমাদের প্রিয় পাঠ্য হয়ে ওঠে। একজন লেখককে অামরা সাধারণত দুভাবে চিনতে কিংবা জানতে পারি। এক তার লেখা আর
এককালে এসএসসি, এইচএসসি দিয়েছিলাম। গোল্ডেন কোনটাতেই পাইনি, দুক্ষেত্রেই দুটো করে মিস গিয়েছিলো। ইন্টারে আবার ইংরেজিতে এ-প্লাস তো অনেকদূর, এ মাইনাস পেয়েছিলাম। এখনকার কথা ভাবলে গা শিউরে ওঠে! পরে কিন্তু জিআরই ভার্বাল আর আইএলটিএসে খারাপ করিনি (আর আমার এ-প্লাস পাওয়া বন্ধুগণ কি করেছে, সে নাহয় নাই বললাম)
কোনমতে বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পেরেছিলাম, ১৮ দরকার ছিল, পরীক্ষা দিতে বসতে, আমার ছিলো সাড়ে আঠারো। আজকাল ভাবলেই মনে হয়, বিরাট বাঁচা বেচে গেছি! এখন যে পরিমাণ এ-প্লাসের ছড়াছড়ি, তাও আবার গোল্ডেন!
আমার সময়ের গোল্ডেন-ওয়ালারা কোথায়? আমি বলতে পারি, ৫০% বুয়েট-মেডিকেলে পড়ে, খেয়ে-পরে ভালই আছে। আর বাকি ৫০%? আমার কোন ধারণা নেই, তারা কই গেছে কে জানে। সেই ১০-১২ বছর আগের সেই নাক-উঁচু গোল্ডেন এ-প্লাসরাই যদি হারিয়ে যেতে পারে, তাহলে আজকের কাঁচকি মাছের ঝাঁকে ঝাঁকে মত এ-প্লাসেরা কই যাবে?
কোন ভাষায় বর্ণমালার সবগুলো বর্ণ সমান হারে ব্যবহার হয়না। যারা একটু খোঁজ-খবর রাখে তার চট করে বলে দিতে পারবে ইংরেজি ভাষায় সর্বাধিক ব্যবহৃত বর্ণ হল E, তার পর পুনরাবৃত্তির ক্রম ধরে একে একে আসে T, A, O, I ইত্যাদি। যারা বিস্তারিত জানতে আগ্রহী তারা Letter Frequency নিয়ে অন্তর্জালে সন্ধান করতে পারেন।
বাঙ্গালি বিদেশ যাওয়ার সুযোগ খুব বেশি পায় না। যারা পায় তাদের বৃহদাংশের (বাঙালি শ্রমিক গোষ্ঠী) মনের জমে থাকা কথাগুলো কেউ শোনে না, শুনতে চায় না, শুনতে ভালোও না। যাদের কথা/ অভিজ্ঞতা আমরা শুনি, তারা সমাজের সৌভাগ্যবান অংশটুকুর প্রতিনিধিত্ব করে। আরেকদলের মুখে বিদেশের ভাল ভাল কথা খুব শুনি, তারা হচ্ছে আদমবেপারি।
এদের দুইদলের কাছেই, বৈদেশ হলো স্বর্গ। সেখানে মানুষের পকেট চুইয়ে চুইয়ে টাকা পরে, রাস্তা দিয়ে দুধের (আর মদের) নহর বহে, আকাশ হতে স্বর্ণমুদ্রা ঝরে! এরা বিদেশের গুণগান গাইতে গাইতে মুখের ফেনা তুলে ফেলে।
তো বিদেশ আসলে কেমন? বেশিদিন হলো আমি আসিনি বাইরে, যা দেখেছি, তা দেখেই এ লেখার চেষ্টা। অবশ্যই বিদেশ ভালো, অনেক অনেক ভালো। কিন্তু বিদেশে কি ট্রেন-বাস লেট করে না, দুর্ঘটনা হয় না, মারামারি হয় না, রাস্তায় জ্যাম পরে না? সবকিছুই কি স্বপ্নের মত?
ভদ্র সমাজের সুশীলেরা বিদেশে আসে, বিদেশীদের কাছে দেশের বদনাম তো করেই, দেশে ফিরে যেয়েও বলতে থাকলাম, বিদেশে কি দেখে আসলাম! আর দেশে কি অবস্থা, ছ্যা ছ্যা ছ্যা ছ্যা! এই দেশে মানুষ থাকতে পারে?