৫ রাত হল টানা শিফট করছি রাতে। ১২ ঘন্টার শিফট, সন্ধ্যা ৭ টা থেকে সকাল ৭ টা। আজকে শেষ রাত, তার পর তিনদিন কাজ নাই। অবাক ব্যাপার হলেও পুরা বিল্ডিংয়ে আমি একা কাজ করছি। কিছু হয়ে গেলে দেখার কেউ নাই। খরচা কমানোর যুগে এরকমটাই হয়তো স্বাভাবিক। কর্মী আউটসোর্সিং করতে করতে এখন তিরিশ জনের মত বাকি আছি। তাই 'স্বাস্হ্য ও নিরাপত্তা নীতি'র সাথে ঠিক না গেলেও একজন দিয়ে রাতে কাজ চালানোটা এরা বৈধ করে ফেলেছে। আমাদেরও কিছু
নিয়ম অনুসরণের ক্ষেত্রে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে একটা ঢিলেঢালা নিয়তিনির্ভর মনোভাব কাজ করে। এক বাক্যে প্রকাশ করতে গেলে, রাখে আল্লাহ মারে কে?
বিষয়টি নিয়ে অনেক কথা বলা হয়ে গেছে, ইতোমধ্যেই। সচলে একটা লেখা এসেছে, তবুও বলি। কারণটা হলোঃ আমি দুটো প্রশ্ন সবখানে দেখেছি, শুনেছি।
(ক) কিছু তো একটা দিয়েছে, এতে ক্ষতি কি? লাভ না হোক, ক্ষতি কি?
(খ) তুমি কি করেছো সারাজীবনে? কি দিয়েছো? এখন কেউ কিছু করলেই জ্বলে?
আমি প্রথমটার উত্তর দেব। তবে সোজা বাংলায়, ক্ষতি নাই, কোন ক্ষতি নাই। তবে দুইখান কথা (আসলে দুখান না, লেজুড়-ওয়ালা একগাদা কথা) আছে, সেই কথাগুলোই বলবো আর কি। এই মতামত একান্ত ব্যক্তিগত, শিরোনামেই বলেছি, কেউ দাগা নিবেন না মনে।
আর দ্বিতীয়টা নিয়ে কিছু বলার নাই, মাফ করে দিয়েন। কিছু করি নাই, কিন্তু নীতিকথার ঝাণ্ডা উড়াই। কিন্তু ওইযে এক ব্যাটা ছিলো, সৈয়দ মুজতবা আলি, সেও অনেক ঘ্যানর-ঘ্যানর করতো, সেও জীবনে কিছু করে নাই, খালি নীতিকথার বুলি কপচাইসে। কিন্তু দেখেন এই যে ইউনুস সাহেব, খালি মুখে না, কাজেও দেখিয়েছেন। আমি পেরথম দলের লোক, কাজ-টাজ করি না, খালি বক বক এবং সেই জন্যেই ক্ষমাপ্রার্থী।
একটি গল্প
এক জেলে সারা সকাল আর দুপুর মাছ ধরে, দুপুরের খাবার খেয়ে নদীতীরে গাছের ছায়ায় শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে। দু’আঙ্গুলের ফাঁকে ধিকধিক জ্বলা বিড়ির মাথায় বেশ কিছুক্ষণের জমে যাওয়া ছাই আর মৃদু বাতাসে এলোমেলো ধোঁয়া সময়টাকে যেন আরো অলস করে তুলেছে। ঠিক ওই সময়ে ওই রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন এমন একজন মানুষ যিনি একাধারে একজন স্বনামধন্য দার্শনিক, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, কলাম লেখক, টক শো’র জ্বালাময়ী বক্তা, নীতিনির্ধারক এবং বুদ্ধিজীবি। সহজ কথায় সুশীল সমাজের প্রতিভু। যথারীতি একজন মানুষকে এইভাবে অলস শুয়ে থাকতে দেখে তার মনে হল যে এই ভাবে অলস শুয়ে বসে থাকার কারণেই আজ এই জাতির “কিচচ্ছু” হচ্ছে না।
কিছুদিন আগে ফেসবুক স্ট্যাটাস হিসাবে দেয়া সচল ষষ্ঠ পাণ্ডবদার একটা উক্তি দিয়ে শুরু করি,
দুই প্রকার ব্যবসায়ী আছে। প্রথম প্রকার ব্যবসায়ী চুপচাপ ব্যবসা করে যায়, কখনো সম্ভব হলে জনসেবা করে বা করে না। দ্বিতীয় প্রকার ব্যবসায়ী মহা ঢাকঢোল পিটিয়ে ব্যবসা করে, কিন্তু স্বীকার করে না যে সে ব্যবসা করছে। জিজ্ঞেস করলে বলে সে সমাজসেবা করছে বা জনগণের কল্যান করছে। এটাকে মনে হয় সামাজিক ব্যবসা বলে।
মানবতার হ্যাশট্যাগের জোরে মানবতা ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে । আমরা সবাই আজ মানবতার অপরুপ নিদর্শন দেখাচ্ছি । 'যদি, কিন্তু, তবে' মুক্ত আনকন্ডিশনাল মানবতা । মানবতার এই বিশাল পর্বতের দিকে আমি অবাক হয়ে চেয়ে রই আর মাথায় কেবল একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খায় । হামাসের রকেট, চোরাগোপ্তা হামলার টানেল কিংবা আত্মঘাতী বোমা হামলা তো পারলো না মানবতার হ্যাশট্যাগের শেষে 'যদি, কিন্তু, তবে' যোগ করে দিতে । ৩০ লক্ষ বাঙালী, নিহত ব্লগার রাজীব কিংবা ধর্ষিত সংখ্যালঘু কেন বারে বারে 'যদি, কিন্তু, তবে'র জালে পড়ে যায় ?
পানির অপর নাম যদি জীবন হয় তাহলে জীবনে বেঁচে থাকার অপর নাম হবে ঔষুধ। ঔষুধ এর প্রয়োজনীতা কিংবা এর গুরুত্ব কতটুুকু তা নতুন করে বলার কিছু নেই। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্যে ঔষুধের কাছে অসংখবার মানুষের সাহয্য নিতে হয়। আর একটা নিদিষ্ট বয়সের পর তো সেটা নিত্যদিনের সঙ্গী হয়। কিন্তু জীবনরক্ষাকারী এই ঔষুধ ও মৃতুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় যখন সেটি ভেজাল কিংবা মানহীন হয়। আমাদের বঙ্গদেশে প্রায় শোনা যায় ঔষুধে কারণে রোগীর ম