এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান,
জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তুপ-পিঠে
চলে যেতে হবে আমাদের ।
চলে যাব-তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ
প্রাণপনে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ-শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি--
নব জাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার ।
বহুদিন কোন ব্লগ লিখা হয় না। এমনকি ছাইপাশ যে কাজগুলি নিয়মিত করে যাই সেগুলিও আপলোড করা হচ্ছে না ব্যক্তিগত ব্লগেও। আলসেমি একটা নাতি-ক্ষুদ্র কারণ হলেও অবশ্যই তা প্রধান নয়। গত পাঁচ বছর ধরে যে শখের বোঝাটা কাঁধে নিয়েছিলাম 'এ আর কী' ভেবে, সেটা যে নিজের ওজনের চাইতে এভাবে শতগুণ ভারী হয়ে ওঠবে সেটা কি আর মূর্খ মাথায় বুঝেছিলো ! কাঁধে চাপতেই দিনে দিনে ভারী থেকে ভারী হয়ে ওঠা বোঝাটা বুঝিয়ে দিলো ঠিকই, গরু কি সাধে গাছে চড়ে ! কথা ছিলো এই জুনেই কাজটার মুখ বাঁধবো, কিন্তু তা আর হলো কই ! এখন তা প্রলম্বিত করে জুলাইকে টার্গেট করলাম। কোনভাবে ওটা ঘাড় থেকে নামলে আর পায় কে, চুটিয়ে ব্লগিং চলবে আবার ! এ-আশাতেই বুক বাঁধি। কিন্তু এদিকে সচলের আবির্ভাব তিথি যে পেরিয়ে যায় ! কী আর করা ! তাই এই উৎসব-মুখর (?) সংযমের মাসে সকল সহ-সচলের জ্ঞান-গম্যি-ক্ষেমার প্রতি অবিচল আস্থা রেখে আরেকটি ফাঁকিবাজি পোস্ট ! এবং
সচলায়তনের এই আবির্ভাব-তিথিতে সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। সচল থাকুন, সচল রাখুন। প্রিয় সচলায়ন অনেক অনেক দীর্ঘায়ু হোক।
…
স্কুলে যখন পড়তাম তখন প্রায়ই দেখতাম রাস্তায় অপরিচিত এক লোক হাতে কোন লিফলেট ধরিয়ে দিচ্ছে। একবার তো বাসায় নিজের নামে খামে পোষ্ট আকারেই পেলাম। তো কি থাকত এই লিফলেটে?
গতবছর ২ সেপ্টেম্বরে মন্ত্রীসভায় উত্থাপনের পর এবছরের ২৩ জুন 'ডিএনএ বিল-২০১৪' সংসদে অনুমতি পেল। আগামী একমাসের মধ্যে বিলটি পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন প্রদান করতে বলা হয়েছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রনালয়কে। বিলটি কেন দরকার তার উত্তর যথার্থভাবেই দিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ:
নীড় সন্ধানীর সাম্প্রতিক পোস্টে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিয়ে দুর্ভোগের পেছনে নগরবাসীর আচরণ যে একটা সম্ভাব্য কারণ হতে পারে, সে কথা উঠে এসেছে। এই পোস্টটা পড়ার আগে পৃথ্বী শামসের অনুবাদে নোম চমস্কির একটি সাক্ষাৎকার পড়েছিলাম। আমার এই পোস্টে লেখা ভাবনা উসকে দিয়েছে মূলত এই দুটি পোস্টের আধেয়।
১৮৬৩ সালে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালিটির জন্মলগ্নে নগরবাসীর পয়ঃপ্রণালীতে নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য নগরীর চার কোনায় দশটি করে চল্লিশটি বাঁশের তৈরী পাবলিক টয়লেট বানানো হয়েছিল এবং ঘোষণা করা হয়েছিল নগরবাসী এসব নির্দিষ্ট স্থান বাদ দিয়ে যত্রতত্র প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পারবে না। তার প্রতিবাদ আন্দোলনে একদল নগরবাসী পাবলিক টয়লেটগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। প্রতিক্রিয়া হিসেবে বৃটিশদের পাল্টা অ্যাকশানে শহর থেকে অর্ধে
ব্যস্ততা আমায় দেয় না অবসর !! এ পর্ব লিখতে লিখতে সময় বয়ে গেল যে! দুঃখিত সেজন্যে।
গত পর্বের শেষে কথা দিয়েছিলাম কিভাবে কার্বনের চেইন, বাকি-বল, গ্রাফিন ইত্যাদির মধ্যদিয়ে ইলেকট্রনের প্রবাহ পাওয়া যায় সে নিয়ে আলোচনা করবো; আলোচনা করবো এই পরশ পাথরের গবেষণা কতদূর এগুচ্ছে, আমরা কতদূর যেতে চাই সেসব নিয়ে। আসুন তাহলে শুরু করি।
সচলে লেখা শুরু ২০১০ সালের ১৪ এপ্রিল।
তারিখ মনে আছে কারণ কোন কাজ না থাকায় সেদিন বাসাতেই ছিলাম। ঘরকুনো এই আমি তখন অধিকাংশ সময় নেটে আর টিভি দেখে কাটাই। নেটের লাইনের গতি তখন আমার ১৬ কিলোবাইট, একটা গান ডাউনলোড দিয়ে তখন ঘন্টা বসে থাকি, এমন অবস্থা।
সময় বদলাইছে। কাল রাতে নেটের স্পিড দেখে মাথা খারাপ হবার যোগাড়। ১২৫৪ কিলোবাইট স্পিডে সিনেমা ৫ মিনিটে নেমে গেল! ভাল লাগার কথা।