অতি সম্প্রতি ইউনিকোড ৭.০ প্রকাশিত হয়েছে। তাতে 'মধ্যাঙ্গুলি', 'ভালকান স্যালুট', 'কোট পরা মানুষ বাতাসে ভাসছে' - এই ধরনের প্রায়-ফালতু ধরণের আইকন ইউনিকোড বর্ণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে। [ ১, ২ ]
দেশের মাটিতে বিদেশী পতাকা ওড়ানোর বিষয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একটা নীতিমালা আছে। বাংলাদেশে আরো দশটা আইনের মত এই নীতিমালাকে-ও আগে তেমন একটা গুরুত্ব দেয়া হয় নি। এই নীতিমালা না মানার অর্থ এই নয় যে তা বাতিল হয়ে গিয়েছে। আগে কখনো অনুসরণ করা হয়নি বলে ভবিষ্যতেও করা হবে না, এটা ভেবে নেওয়ার কোন অর্থ নেই। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সাধারণ মানুষ এখন এই সব নীতি নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে। গণদাবীর মুখে প্রশাসনকে সে
“শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড”---এরকম ভাবসম্প্রসারণই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো হয় আমাদের স্কুল-কলেজগুলোতে। আমি নিজেও পড়েছি, শিখেছি এবং পরীক্ষার খাতায় লিখে ভালো নাম্বারও পেয়েছি। আফসোসের বিষয় হলো আমাদের যাবতীয় পড়াশোনা শুধু পরীক্ষা পাশের জন্যই করা হয়। আমরা যা পড়ি তা কখনই অন্তরে ধারণ বা বিশ্বাস করি না। তাইতো আজও আমরা শিক্ষাকে জাতির মেরুদন্ডতো বানাতেই পারিনি বরং একে মেরুদন্ড ভাঙার হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করেছি।
পর্ব ১-এ ছিল সিলিকনের বিকল্প কি হতে পারে তার সূচনা
পর্ব ২-এ ছিল সেই বিকল্প পেতে আমাদের পরমানু-তারেকানু পর্যায়ে কি শর্ত মানতে হবে সেই গল্প
পর্ব ৩ ছিল সেই শর্ত মেনে তৈরী করা বিকল্পটা কার্বন থেকে তৈরী, মানে কি না, জৈব (অরগ্যানিক)-সেই নিয়ে
পর্ব ৩ শেষ করেছিলাম বিষ্ময় পরমানু কার্বন, যা দিয়ে বস্তুজগতের প্রায় ১০ ভাগের ৯ ভাগ বস্তুই তৈরী, সেটা দিয়েই আমাদের সিলিকনের বিকল্প কোন উপ-পরিবাহি তৈরী করতে হবে-সেই কথা বলে। কিন্তু কিভাবে? কেমন করে হাতে আসবে আমাদের সেই প্রাণ-ভোমরাটা? আসুন তাহলে শুরু করা যাক! প্রথমেই আসুন চেষ্টা করে দেখি কার্বন বাবাজির হৃদয় ছুঁয়ে দেখা যায় কিনা! চলুন দেখি এর ঘটে কি এমন আছে যে, ৯০% বস্তুই এর তৈরী! কেমন করে গান করে এই গুণী
সপ্তম শ্রেণীতে যখন পড়ি, ছোটোখাটো এক বিষণ্ণ চেহারার শিক্ষিকা এলেন আমাদের ক্লাসে। আমরা নতুন এই ম্যাডামকে খালি হাতে ক্লাসে ঢুকতে দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম, একটু নিরাপদে বিটকেলপনা করা যাবে, এ-ই ভেবে। সেই ভুলজন্মা স্বস্তি মিনিট পাঁচেক স্থায়ী ছিলো। ম্যাডাম নিচু গলায় জানালেন, তাঁর নাম মিসেস ত্রিবেদী। তাঁর পূর্বপুরুষ তিনটি বেদ কণ্ঠস্থ করেছিলেন বলে তাঁদের এই পদবী। তারপর তিনি চেশায়ার বেড়ালের মতো হাসিমুখ
গত বেশ কয়েকটি অর্থবছরে বাংলাদেশ হাজারকোটি টাকার বিশাল ঘাটতি বাজেট প্রণয়ন করে আসছে। আমাদের দেশের দূর্বল এবং দুর্নীতিগ্রস্থ প্রশাসনিক ব্যবস্থায় এত বিশালাকার বাজেট বাস্তবায়নই হলো প্রকৃত চ্যালেঞ্জ। কারণ প্রায় প্রতিটি সরকারের আমলেই অর্থবছর শেষ হওয়ার আগে তাড়াহুড়ো করে এডিপি বাস্তবায়নের জন্য অর্থ ছাড় করানোর প্রবণতা লক্ষনীয়। এর ফলে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রকল্পের গুণগত মান যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয় তেম
১ম পর্বের গল্পটা শেষ হয়েছিল সিলিকনের বিকল্প কি আসলেই সম্ভব-সেই প্রশ্ন রেখে
আমরা জেনেছিলাম, কোন বস্তু বৈদ্যুতিকভাবে পরিবাহি, উপ-পরিবাহি বা কুপরিবাহি হতে পারে। পরিবাহি বস্তুগুলোর দুমাথায় ভোল্টেজ পার্থক্য তৈরী করে দিলেই ইলেকট্রনগুলো প্রবাহিত হতে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত ঐ ভোল্টেজ পার্থক্য বজায় রাখা হয় ততক্ষণ এই প্রবাহ চলে। আর কুপরিবাহি বস্তুগুলো থেকে এমনি করে কোন ধরনের পরিবাহিতা পাওয়া যায় না। উপ-পরিবাহিগুলো থেকে কিছু পরিবাহিতা পাওয়া যায় ঠিকই, তবে এর চেয়ে পরিবাহি বস্তুগুলো অনেক বেশি কাজের। কিন্তু পরিবাহিতা নিয়ন্ত্রণ করার প্রশ্ন যখন আসে তখন এই পরিবাহি বস্তুগুলো তেমন কোন কাজে আসে না। কেন? কেননা, পরিবাহিতা তাদের সহজাত আর তাই সেই পরিবাহিতা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। আমরা জেনেছিলাম, ডোপিং নামে এক ধরনের পদ্ধতি, যেটা আসলে 'খাঁটি বস্তুর সাথে ভেজাল মিশ্রণের পদ্ধতি', সেই পদ্ধতিতে উপ-পরিবাহি, যেমন সিলিকনের পরিবাহিতা চমৎকার ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় আর উপ-পরিবাহির পরিবাহিতাও বাড়ানো যায় পরিবাহি বস্তুগুলোর মত।
মাঠে মাঠে ঘোরা আমার ছেলেবেলার অভ্যাস। আমাদের একটা বাগান ছিল। একপাশে বাঁশবন আরেক পাশে দেশি আমের সারি। ঠিক দুপুরের বাগানে বসে আপন মনে খেলতে ভালবাসি। ঠিক খেলা নয়, ছেলেমানুষী। বুনো লতা পাতার গায়ে হাত বোলানো, কোন গাছে কটা ফল ধরেছে তা গুণে দেখা, শুভ্রপালক শাহ বুলবুল পাখির পেছনে বাগানময় ঘোরা--ছেলে মানুষী ছাড়া কী! নিরিবিলি খেলতে ভালবাসতাম, তেমনি ভয়ও পেতাম খুব। বেঁশেভূতের ভয়। মধ্যদুপুরেই তাদের যত বাহাদুরি।
পেশাগত কারনে গত সপ্তাহে ময়মনসিংহে যাই। সেখানে এক পূর্ব পরিচিত এক অডিও ব্যবসায়ীর সাথে দেখা হলো। দেখি তাঁর দুই যুগেরও অধিক পুরাতন অডিও ক্যাসেট--সিডির দোকান ফ্যানের দোকানে পরিণত হয়েছে। বললাম, “ভাই একি অবস্থা”!