অনেক দিন ধরে পথ চলতে গিয়ে সুমনকে খুঁজছি।
২০০৯ সালে যখন প্রথম দেখা হয়, তার বয়স ৬ বছর। বাচ্চা বয়সে একটা ছেলে রিকশা চালাচ্ছে –এ বাস্তবতায় বিমর্ষ হয়েছিলাম। জিজ্ঞেস করেছলাম, “তুমি ছোটো মানুষ, তুমি টানতে পারবা?”
"চলেন, নিয়া যামু।"
(শুরুতেই নিজের পরিচয় দিয়ে নিই- এই অধমের নাম মাসরুফ হোসেন, আমি বাংলাদেশ পুলিশের একজন ছোটখাটো চাকুরে। "উর্দিপরা লোকগুলো ইন্টেলেকচুয়ালি নানারকম সীমাবদ্ধতায় ভোগে"- এই কথাটি আমার জন্যে সর্বাংশে সত্য।তবুও,বিচিত্র পু্লিশ জীবনের নানা ঘটনা আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়ার উদ্দেশ্যেই খানে লেখার দুঃসাহস করছি।উল্লেখ্য,এখানে লেখা মতামতগুলো একান্তই আমার ব্যক্তিগত, এর সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব আমার নিজের।)
বই রিভিউঃ পৃথিবীর পথে পথে
গ্রন্থকারঃ তারেক অণু
প্রকাশকঃছায়াবীথি, বইমেলা ২০১৪
The past actually happened. History is what someone took the time to write down.- A. Whitney Brown
সামারটা পুরোপুরি শুরু হয়ে যাওয়ার আগেই ভাবলাম যে উইন্টারের কিছু ছবি দিয়ে দেই। এর আগে বরফ দেখেছিলাম লন্ডনে প্রথম। কিন্তু এত বরফ জীবনে প্রথম দেখলাম কানাডায় এসে। লন্ডনের বরফ তো তার তুলনায় নস্যি। প্রথম প্রথম সবাই খুব ভয় দেখাতো যে এখানে অনেক ঠান্ডা পড়ে। যতটা না ভয়, তার চে অনেক বেশী কৌতুহল নিয়ে অপেক্ষা করেছিলাম "অনেক বেশী" ঠান্ডার জন্য। কিন্তু সেবার অত বেশী ঠান্ডা পড়লো না, তবে বরফ পড়লো অনেক। ম
১.
রিমন ঘুম জড়ানো চোখে মোবাইল ফোনে সময় টা দেখে নিলো। ৭ টা ১৫ বাজে, আরো মিনিট পনেরো গড়িয়ে নেয়া যাবে। এই সুযোগে সে ফোন থেকেই ফেসবুকে ঢুকল। হোম পেজে এক গাদা নতুন পোষ্ট। সবগুলোর মূল বক্তব্য একই, সরকার কেন কোটি কোটি টাকা সরাসরি গরীব মানুষেকে না খাইয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মত ফালতু কাজে ব্যয় করতে হবে? প্রায় প্রতিটি পোষ্টের সাথেই গরীব মানুষের কষ্ট করে জীবন যাপনের ছবি। রিমন ফেসবুক থেকে বেড়িয়ে এল। চোখ কচলে বাথরুমের দিকে গেল ফ্রেশ হবার জন্য।
জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় সটান দাঁড়িয়ে, দুই হাত শরীরের দুই পাশে উল্লম্ব ভাবে ঝুলিয়ে, পতাকার দিকে মুখ করে গাইতে হয়। জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় দাঁত খিঁচিয়ে হাসতে হয় না, হাত পা নাড়তে হয় না, ক্যামেরা দেখলে ছ্যাবলার মতো লাফাতে হয় না।
এ শুধু আইনের শিক্ষা নয়, এ শিক্ষা স্কুলেও দেওয়া হয়। কাণ্ডজ্ঞানের কথা বাদই দিলাম।
গ্যালারির অগুণতি দর্শকের হাত, গাল, বুক, পিঠ আর জামায় ভর করে পাকিস্তানী পতাকা উড়ে। স্বাধীনতার মাসে, পাকিস্তানীদের চালানো গণহত্যা সূচনার মাসে এ দেখে জীবিত অনেকেরই তেমন প্রতিক্রিয়া হয় না, তবে মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ হারানো ত্রিশ লাখ শহীদ আর চার লাখ ধর্ষিতার দীর্ঘশ্বাস মনুষ্যত্বের ছিটেফোঁটা থাকলেই টের পাওয়া যায়। একটা পুরো দেশতো আর অমানুষে ভরে যেতে পারে না, তাই স্বজাতির রক্তঋণ অস্বীকারকারী কুলাঙ্গারদের ভীড়ে
আমি তেমন ঘুরাঘুরি টাইপ পাব্লিক না। তাই বলে ঘুরতে যে আমার ভাল লাগে না তা না। কিন্তু একবার বাসায় ঢুকলে আমাকে হাতি দিয়েও টেনে বের করা যায় না। সবাইকেই দেখি বেশ ঘোরাঘুরি করে, অনেক যায়গায় যায়। আমিও মনে মনে ভাবি, এই শেষ, আর বাসায় বসে থাকবোনা। কিন্তু এই শেষ আর শেষ হয় না। প্রতি সপ্তাহেই নতুন করে সংকল্প করি যে এরপর থেকে সপ্তাহে একদিন হলেও নতুন নতুন যায়গায় ঘুরতে যাবো। কিন্তু খোদা মনে হয় দুনিয়ায়
হুমায়ুন আজাদের দেশপ্রেম কবিতা টি এই কয়েক দিন মাথার ভিতর ঘুরছে। কতটা বিরক্তি আর হতাশা নিয়ে হুমায়ুন আজাদ এই কবিতাটি লিখেছেন এখন তা বুঝতে পারি। আসলে নিজেই এখন সেই চরম বিরক্তি, হতাশা আর ঘৃনা নিয়ে দিন কাটাচ্ছি।
আপনার কথা আজ খুব মনে পড়ে, ডক্টর জনসন।
না, আপনি অমর যে-অভিধানের জন্যে, তার জন্যে নয়, যদিও আপনি
তার জন্যে অবশ্যই স্মরণীয়। আমি অত্যন্ত দুঃখিত তার জন্যে