১.
মূল রাস্তা ধরে চলছিল গাড়ি বেশ। কথা নেই বার্তা নেই হুট করে ড্রাইভার গাড়ি নামিয়ে দিল বাইপাস রোডে। “কর কি কর কি?” বলে বাস জুড়ে শুরু হয়ে গেল হাউকাউ! ড্রাইভার বলে-“মেইন রোডে গন্ডগোল মামা, তাই সাইড কাটছি!”
কোথা থেকে বাসে উঠেছিল এক পাগল কিছিমের লোক। হাউকাউ থেমে গেলে সে বলে কি না-“ গন্ডগোল হোক আর যাই হোক, পথে থাকতি হয়। একবার বিপথে নামলি পথে ওঠা খুব কঠিন!”
২.
রাতে আমার ঠিক নিচে সুমন ভাই ঘুমান। পাঠক পাঠিকারা উল্টা পাল্টা কিছু চিন্তা করার আগেই বেপারটা ক্লিয়ার করে নেই। আমরা যেই দোতালা খাটে ঘুমাই তার উপরে আমি,নিচে সুমন ভাই।ঘুম আসার আগ পর্যন্ত নানান বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়।ইতিহাস,রাজনীতি,সিনেমা,নারী। আলোচনার টপিক যখন থাকে নারী,তখন সুমন ভাই কে খুবই উৎসাহী হতে দেখা যায়। গার্লফ্রেন্ড না থাকার জন্যই বোধহয় চেহারায় একটা আহা আহা ভাব চলে আসে।রাত বারোটা একট
স্কুলজীবনে ছাত্র ভালো না থাকার কারণে বরাবরই ব্যাকবেঞ্চার থাকার চেষ্টা করতাম। আর স্বভাবতই পরিচয় ঘটতে থাকে ক্লাসের সবচেয়ে পোংটা গ্রুপের সঙ্গে। দিনে দিনে উপভোগ করতে থাকি ওদের সঙ্গ, ওদের বন্ধুত্ব। একটা দিনের জন্যও কখনই অনুশোচনা হয়নি বরং তৃপ্তি সহকারে প্রতিনিয়ত ওদের আথিতেয়তা গ্রহন করেছি। আর বিনে পয়সায় উপভোগ করেছি ওদের বাক পটুতা, বিভিন্ন কার্যের কার্যপ্রণালী, সার্কাস আর খুনসুটি। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার প
প্রাচীন মানুষের মন কেমন ছিলও? অবচেতন মন বলতে কি কিছু ছিলও? যদি অবচেতন মন থাকে তবে অবদমিত ঘটনাগুলোই বা কেমন ছিলো? এই সব অবদমিত ঘটনাগুলো কিভাবেই বা মানুষের চেতনার জগতকে প্রভাবিত করতো? অর্ধ-চেতন মন (Sub-Conscious Mind) বলতে কি কিছু ছিলও? নাকি, আজকে আমরা মন বলতে যা বুঝি তা নিছক কোটি বছরের বিবর্তিত রূপ? মনের এই স্তরগুলো ঠিক কবে থেকে একসাথে তাদের কার্যকলাপ শুরু করেছিলো ?
২০০৯-এ আমি একবার বেশ লম্বা সময়ের জন্য মন্ট্রিয়ল গিয়েছিলাম। সেই শহরের কিছু গাড়িঅলা মানুষ আমাকে অপার করুণা দিয়েছিলেন।গাড়িতে করে অনেক ঘুরিয়েছিলেন তাঁরা। শহরের আনাচে কানাচে "অনেক ঘুরেছি আমি বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে"! মন্ট রয়্যাল পাহাড়ের ওপরটা তো মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। পাহাড়চূড়ায় দাঁড়িয়ে সমস্ত শহর জুড়ে রাতের আলোকসজ্জা দেখা ছিল আমার প্রিয় অভ্যাস।
দেশ এখন নানাবিধ নির্বাচনী বিতর্কে উত্তপ্ত। নির্বাচন হবে কি না, হলে কি পদ্ধতিতে হবে, কবে হবে, না হলে কি হবে ইত্যকার নানা আলোচনায় বাংলার আকাশ বাতাস আজ মুখরিত। এত শোরগোলের মূল কারন নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার ব্যবস্থা কি রকম হবে, সে নিয়ে সর্বমহলে চরম মতপার্থক্য। আওয়ামী লীগ তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ইস্যুতে সুপ্রীম কোর্টের একটি রায়ের প্রেক্ষিতে সংবিধান থেকে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অপসারন করেছে,
সাম্প্রতিক টিভি কমার্শিয়ালগুলো দেখেছেন নিশ্চয়ই সবাই? টিভি ছাড়লেই তো হরেক রকমের মোবাইল ফোনের রকমারী অফারের বিজ্ঞাপনে মূল অনুষ্ঠান দেখাই দায় হয়ে দাঁড়ায়, এক টক-শো বাদে! তা বাঙালী কথা বলে বটে! কিন্তু এই কথা বলার হাজারো তরিকার মাঝে চিপাচুপা দিয়ে যে মেসেজগুলো পাচ্ছি, তা দিয়ে শিখছি অনেককিছুই, হিন্দি সিরিয়ালের মতো করে নাচনাগানা, যেখানে খুশি সেখানেই ইন্টারনেট ব্যবহার, ইত্যাদি কত্তকিছু!
তবে সবথেকে ভালো লাগে যখন মাঝেমাঝেই গ্রামীণফোন অগ্রদূত হয়ে এসে শিখিয়ে যায় কেমন করে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে হবে সেই তরিকা থেকে শুরু করে পড়ালেখা না করেই শিক্ষকের পিছে পিছে ঘুরে, তার কন্যার (ক্ষেত্রবিশেষে পুত্রও হতেই পারে!) পতন রক্ষা করে কীভাবে পরীক্ষার নম্বর বাড়িয়ে নিতে হবে সেই তরিকা!
১।
সাময়িক জর্মন প্রবাসী হয়রানাবীরের বিবাহ হল সেই গত বছর। স্বামীপ্রবর তো গবেষণা নিয়েই ব্যাস্ত, ওইদিকে তার বৌয়ের ‘নাই কাজ তো খই ভাজ’ অবস্থা। এখন সে রাত-বিরাতে বিবাহানুষ্ঠানের এটেন্ডেন্স খাতা নিয়ে রোলকলে ব্যাস্ত। কালকে রাত সাড়ে তিনটায় হঠাত আমারে জিজ্ঞাসা করে আমি তাদের বিয়াতে গেছি কিনা। আমার নাকি ফোটুক পাওয়া যাচ্ছে না। বললাম- ৯ মাস আগের কথা তো আমারই মনে নেই। কাহিনি এইখানে শেষ হইলে সমস্যা ছিলনা- কিন্তু, ‘৯ মাস’ কথাটা মনের মধ্যে আটকায় গেল। শাহবাগী নাস্তিক ব্লগার তো, ৯ মাস শুনলেই আগে খালি মুক্তিযুদ্ধ মনে পড়ে। ৩০ শুনলে মাসের আগে লাখের হিসাব মাথায় আসে। ৭ শুনলে ভাগ্যের আগে মার্চের কথা মাথায় আসে। ১৪ কিংবা ২৫ শুনলে... নাহ, থাক- মাথা গরম হয়ে যাবে।
প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকুরীর পদমর্যাদা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার এমন খবর নিঃসন্দেহে স্বস্তিদায়ক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের চাকুরী দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হচ্ছে, বাড়ছে শিক্ষকদের বেতনও। প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন স্কেলও স্বতন্ত্র হচ্ছে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এসবই আশার কথা, আনন্দের কথা। আমাদের জাতীয় জীবনে আনন্দের সংবাদ আসে খুবই কম, যা আসে তা-ও পত্রিকার পাতায় ঠাঁই পেতে লড়াই করতে করতে আসে। প্