পূর্বকথা
দূরবীন - http://www.sachalayatan.com/guest_writer/49844
ফাউ - http://www.sachalayatan.com/guest_writer/49897
ভুল - http://www.sachalayatan.com/guest_writer/49929
আমার সেই গহীন ছোটবেলার সবচেয়ে উত্তেজনাময় যে স্মৃতিটি আমার মনে পড়ে সেটি আমাকে আজো আচ্ছন্ন করে রেখেছে। আমি তখন দ্বিতীয় শ্রেণীতে। ঠিক কি উপলক্ষে আজ আর মনে পড়ে না, আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়-এর একটা বড় অনুষ্ঠান হয়েছিল। রীতিমত মাঠ জুড়ে প্যান্ডেল বেঁধে। সেই উপলক্ষে প্রচুর বক্তৃতা আর নাচ-গান-আবৃত্তির সাথে একটা নাটকের আয়োজন করা হয়েছিল। রবিবুড়োর ডাকঘর থেকে একটা ছোট্ট অংশ ছিল আমাদের পাঠ্যবইয়ে, অমল ও দইওআলা শিরোণামে। দিদিমণিরা সেটাই বেছে নিলেন মঞ্চস্থ করার জন্য। সম্ভবত: প্রচুর পটর-পটর করার যোগ্যতায় আমি মনোনীত হলাম অমল-এর ভূমিকায়। চতুর্থ শ্রেণীর এক শ্রীমান হল দইওআলা।
আজ থেকে প্রায় অর্ধ শতাব্দী আগে, হোর্হে লুইস বোর্হেস একবার চোখ বুজতেই ক্ষণিকের জন্য কিছু পাখি দেখতে পেলেন। যদিও সেই কল্পদৃশ্যটির স্থায়ীত্ব ছিলো মাত্র এক পলক, কিন্তু সেটা তার চিন্তাকে নিয়ে যায় ঈশ্বরের অস্তিত্ব সংক্রান্ত এক অবশ্যম্ভাবী উপসংহারের দিকে। বাকিটা আমরা তার মুখেই শুনি, [1]
মিতা হক আমার প্রিয় শিল্পী নন। প্রিয় বক্তা তো মোটেই নন। তার গাওয়া রবীন্দ্র সঙ্গীত আমার কোন একটা কারণে ভাল লাগে না ( আসলে কারণটা আমি জানি---তার গাওয়ার ভঙ্গীর মাঝে আমি কেন জানি তেমন গভীরতা খুঁজে পাই না--যেটা আমি ইফফাত আরা, পাপিয়া সারোয়ার প্রমুখদের গলায় পাই--একেবারেই ব্যক্তিগত অনুধাবন)। মিতা হক বেশ আগে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সাম্প্রতিক দশা নিয়ে কথা বলতে
যে পৃথিবী না-মানুষের
সেই পৃথিবীতে বাঁচি দিন শেষে।
প্রতি সন্ধ্যেবেলা শকুন ঘোরে হাওয়ায়
আধুনিক গেরস্তের ঘরে ঢুকে খেয়ে যায় হৃদয়-
কিছুই হয়নি ভেবে নির্লিপ্ততা গ্রাস করে
ধারহীন নেইলকাটারে নখ কাটি-
ইউটিউব খেতে থাকি চা-সিগ্রেটের সাথে।
প্রতি সন্ধ্যেবেলা-
একটা মানুষ একটু একটু করে মরে যায়।
পূর্বকথা
দূরবীন - http://www.sachalayatan.com/guest_writer/49844
ফাউ - http://www.sachalayatan.com/guest_writer/49897
ছাগলের লাদির প্রভাবে পরিবেশ দূষণের কারণে চরকির বাণিজ্য ফেল করে গেল। স্কুলে প্রথমার্ধের পর টিফিনের সময়ে টুকটাক মশলাদার খাবার-এর বড়ই অভাব এখন! স্কুলের উল্টোদিকের দোকান-এ, মালিকের নাম আজ আর মনে পড়ে না, কাঁচের বয়াম-গুলো কি যে মনোহর দেখতে! তাদের পেটের ভিতর থেকে কি যে মধুর স্বরে বস্তুরা সব ডাকাডাকি করতে থাকত! আহা!
আমাদের ছোটবেলায় একটা দৃশ্য খুব সাধারণ ছিল। রাস্তা দিয়ে ফেরিঅলা হেঁটে যেত রকমারী বিচিত্র হাঁক দিতে, দিতে। বাংলা সাহিত্যে নানা লেখায় এই ফেরীঅলারা অমর হয়ে আছেন। অচেনা, অজানারা ক্ষতি করে রেখে যাবে - এমন আশংকায় জীবন কাটাতেন না আমাদের মা-ঠাকুমারা। এত হরেক কিসিমের ভয়ে ভয়ে বাঁচার জীবন ছিল না তখন!
খেয়াল করে দেখলাম, বর্ণবাদ ব্যপারটা পশ্চিমাদের মধ্যে প্রবল, এইরকম একটা ধারণা একচেটিয়াভাবে চালিয়ে দেয়ার একটা প্রবণতা আমাদের বাঙ্গালীদের মধ্যে আছে। স্কটল্যান্ডে এক ব্রেড এন্ড ব্রেকফাস্টে বা অস্ট্রেলিয়ান আউটব্যাকের এক সার্ভিস স্টেশানে কে কি অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলো, সেইটা আমরা অনেকেই ফলাও করে বলি।
Your friend is your needs answered.
He is your field which you sow with love and reap with thanksgiving.
And he is your board and your fireside.
For you come to him with your hunger, and you seek him for peace.
-- Kahlil Gibran, The Prophet
এইচ.এস.সি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে বেশ হা-হুতাশ চলছে চারদিকে। এরমধ্যে এবার রাজনৈতিক লাভ-ক্ষতির হিসেবও ঢুকে পড়েছে। অভিভাবক হতাশ, শিক্ষক হতাশ, শিক্ষার্থী বিমূঢ়। কিন্তু এটাকে ফলাফল বিপর্যয় কেন বলবো তা এখনও আমি বুঝে উঠতে পারিনি। অর্ধ লক্ষাধিক জিপিএ-৫ প্রাপ্ত সর্বোচ্চ মেধাবীদের নিয়ে আমরা কী করবো যখন তার এক দশমাংশও প্রত্যাশামত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবে না ?
[পাঠক হিসেবে যাঁরা আজাইরা, কেবল তাঁরাই এই পোস্টে লেখকের জন্য নিরাপদ !]
…