প্রতিদিন দীর্ঘ সময় ধরে গান শুনি। একগান বারবার শুনি। আলগোছে, আগুণ, আগুণের পরশমণি, চেরুবিক, মুক্তির মন্দির, সন্ধ্যার মেঘমালা, বন্যা এগুলো হলো উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ারে সেভ করা কয়েকটা প্লে-লিস্টের নাম। ভীষণ পছন্দের সব গান এতে। ল্যাপটপে আর কতই বা জোরে শব্দ হয়! তবুও গান বাজানো শুরু করি যখন সাউন্ড একদম সবচেয়ে জোরে দিইনা। শুনতে শুনতে যখন হঠাত কোন ক্ষণে মনে হবে আরেকটু সাউন্ড বাড়ালেই বোধহয় গানটা আরো দূরে বা কাছে কোথাও ছুঁয়ে যাবে তখনকার সুযোগটা নেবার জন্যেই এই আবেগময় সংযম।
…
(১)
ইদানিং মজার একটি বিষয় নিয়ে খুব শোরগোল শুরু হয়েছে দেশের সবক’টি পর্যায় থেকে। বিষয়টি আর কিছু নয়, নাস্তিক্যবাদ। তবে যারা এটিকে নিজেদের মতো করে উদ্দেশ্যমূলক নাড়াচাড়া করছেন, তা যে খুব খারাপ অর্থেই বা লক্ষ্য নিয়ে করছেন এটি বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁদের বক্তব্য-বিবৃতি শুনে মনে হয়, কোন সংক্রামক ব্যাধির মতোই নাস্তিক্যবাদ নামের অতি জঘন্য একটি জিনিসের দ্রুত প্রাদুর্ভাব ঘটে এই দেশ এই জাতি বুঝি রসাতলে ডেবে যাচ্ছে। সত্যি কি তাই ?
কলেজ থেকে ফেরার পথে মাঝেমধ্যে সার্সেন রোডের পথ দিয়ে ফিরতাম। শহরের সবচে সবুজ-শান্ত রাস্তার একটা ছিল এই পথটা। এই রাস্তায় চলার সময় চোখে পড়ত এক বাসার গেটের সামনের এক নামফলক, প্রফেসর ডঃ জামাল নজরুল ইসলামের নাম লেখা তাতে। আমাদের হাইস্কুলেরই ছাত্র ছিলেন তিনি, সেই সুবাদে স্যারদের মুখে উনার নাম শুনেছিলাম আগেই, জানতাম খুব উঁচুমাপের বিজ্ঞানী ছিলেন। নিভৃতে, অনেকটা আড়ালে থেকে বিজ্ঞানসাধনা করতেই বেশি ভালোবাসতেন
আমরা জানি মুসলিম মারা গেলে কবর দেয়া হয়, হিন্দু মারা গেলে পোড়ান হয়, লাদেন মারা গেলে সমুদ্রে ফেলে দেয়া হয়, কিন্তু নাস্তিক মারা গেলে কি করতে হবে তার কোন সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে না। এহেন সিদ্ধান্তহীনতা নাস্তিকদের মৃতজীবনে কোন সমস্যা সৃষ্টি করে কিনা জানা না গেলেও জীবিতদের জন্য এটা মাঝে মাঝেই সমস্যার কারন হয়ে দাঁড়ায়। উদাহরনস্বরূপ, কিছুদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম ঢাকানিবাসী এক স্কুল/কল
পড়াশুনার জন্য উত্তর আমেরিকার একটি শহরে বসবাস করছি প্রায় তিন বছর। এই কয়দিনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি বাংলাদেশ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের জনগনের জ্ঞান এবং আগ্রহ উভয়ই কম। যারা জানে তারা কেবল দক্ষিন এশিয়ার দরিদ্র দেশ যা ইদানিংকালে তৈরি পোশাক রপ্তানী করছে সেই টুকুই জানে। যারা আরও বেশি জানে তারা জানে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মুসলিম। মুসলিম শব্দটির সাথে তাদের চোখে আমি একধরনের চিত্র দেখতে পাই, যা তৈরি হয়েছে আর
১।
ফ্রিকোনমিক্স নামক একটা বইয়ের কিছু অংশ পড়ার পর এদের ওয়েবসাইটে বেশ কয়েকটা পডকাস্ট শুনেছিলাম। তার মধ্যে উইমেন আর নট মেন শিরোনামের পডকাস্টে মহিলা এবং পুরুষদের সম্পর্কে কিছু তথ্য এবং এক্সপেরিমেন্ট তুলে ধরা হয়েছিলো যা বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছিল। এই লেখায় সেই পডকাস্ট থেকে উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরছি। এখানে প্রচুর তথ্য ও উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে যার নির্ভরযোগ্য উৎস উল্লেখ করা নাই কিংবা ওগুলো শুধুমাত্র আমেরিকানদের ডেটা থেকে অনুসিদ্ধান্ত আকারে এসেছে। তারপরেও এটাতে বেশ কিছু ব্যাপার আছে যা অনেক ব্যাপারেই নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে ভাবতে বাধ্য করে।
কিঞ্চিত দীর্ঘ লেখাটি পাঠকের সুবিধার্থে নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করা হল।
শিশু পালন একটা চব্বিশ ঘণ্টার কাজ। তার সাথে অন্য কোন কাজ করতে হলে চব্বিশ ঘণ্টায় আর কুলিয়ে উঠতে পারি না। মনে হয় দিনটি ৮৪ ঘণ্টার হলে ভাল হতো। বড়টাকে ঘুম পাড়িয়ে ভাত নিয়ে বসেছি। ছোটটা মায়ের দুধ খাচ্ছে। ফোন বাজছে। তাড়াতাড়ি ধরতে হবে, না হলে মেয়েটার ঘুম ভেঙ্গে যাবে। বাঁহাতের মুঠোয় ধরা কাঁচা লংকা টেবিলে রেখে ফোন ধরে বললাম; কায়সার বলছি...
[justify]সারা দেশে মন্দির পোড়ে, হিন্দুদের বাড়িতে হামলা হয়, রামুতে বৌদ্ধ পল্লীতে হামলা হলো, এরকম অনেক ঘটনাই অতীতে ঘটেছে- কোনটিরই বিচার হয়নি, দায়সারা তদন্ত হলেও দোষীদের ধরা হয়নি। অথচ ব্লগে-ফেসবুকে ইসলামের কটূক্তিকারীদের শনাক্ত করতে কমিটি হয়ে গেছে। কার কোন কথাটি উগ্র, কার কোন কথাটি ধর্মপ্রাণ মানুষের কোমল ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিয়েছে- সেসব নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে বসবেন সরকার। বেশ ভাল কথা- কিন
ত্বকীর মৃত্যুর খবর যখন শুনলাম তখন বুকের ভেতর একটা বিশাল শূন্যতা আমাকে পেয়ে বসল। মনে হচ্ছিল একটা কালো ব্ল্যাক হোল পৃথিবীর সমস্ত আলো শুষে নিচ্ছে। গলার ভেতর কি যেন একটা শক্ত লেগে আছে।
আমি ঘরে ফিরে আমার সন্তানকে বুকে নিয়ে অনেকক্ষণ বসে ছিলাম।
ব্লগার থাবাবাবার হত্যায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ ছাত্রের সরাসরি জড়িত থাকার খবর মিডিয়াতে বেশ আলোড়ন তুলেছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আর বাংলা ব্লগে গুরুত্ব সহকারে ফলোআপ রিপোর্ট বেরুচ্ছে প্রতিদিন। সচলায়তনে নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরীর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণমূলক লেখাটিও ছিল তথ্যবহুল। মুক্তমনার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক অভিজিৎ রায়ের কলামে শিক্ষাঙ্গনে জঙ্গিবাদের ব্যাপারে অনেক বিশ্লেষণ উঠে এসেছে যদিও