আমার জন্ম হয়েছে এক হিন্দু পরিবারে অথবা বৌদ্ধ অথবা খ্রিষ্টান অথবা কোনও এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে । এটা কি আমার কোনও অপরাধ ? হয়তোবা আমি কখনো মসজিদের পথ মাড়াইনি , গির্জার ঘণ্টা ধ্বনি আমাকে কখনো বিচলিত করেনি ,মন্দিরে কোনও প্রতিমার সামনে হাত জুড় করে দাড়াইনি কোন দিন । তাই বলে কি আমি এই ধর্মীয় উপাসনালয়গুলকে সম্মানের চোখে দেখব না । হয়তোবা আমি কোনও ধর্মেই বিশ্বাসী নই । অথবা ধর্মভীরু । তাতে কী ?
হোয়াইট হাউস পিটিসনটিকে স্প্যাম ভেবে, আমি কয়েকজনকে এটা করতে নিষেধ করেছিলাম।
যদি ও আমি ব্যাক্তিগতভাবে আমি এটাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করি না কিন্তু আমি দু:খিত আমার ভুল হয়েছিলো।
তাছাড়া ছাগুরা ও নাকি একটি পিটিশন করেছে। আমাদের পিটিশনে ছাগুদের চেয়ে কম ভোট পড়া আমাদের জন্য কিছুটা হলেও লজ্জার।
বাংলাদেশ আক্রান্ত।
দেশ মানে শুধু ক্ষেত নয়, পথ নয়, বাড়ি নয়, উপাসনালয় নয়, দেশ মানে মানুষও। সবকিছুর সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ আজ আক্রান্ত।
[justify]
সম্প্রতি ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সফর করছেন। তার সফরে আবারো উঠে এসেছে তিস্তা চুক্তির প্রসংগ। শুধু তিস্তা নয়, গঙ্গা, বারাক, ব্রহ্মপুত্র, সারি, ফেনী সহ সব অভিন্ন নদ-নদীর ক্ষেত্রে উজানের দেশের যেকোন উন্নয়ন অবকাঠামোর পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন। কিন্তু প্রয়শঃই এই গবেষণায় মূল প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে উপাত্ত। এমনকি আলোচিত টিপাইমুখ প্রকল্প বা ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা করতে যেয়ে একমাত্র উপাত্তের অভাবেই তা বিসর্জন দিতে হয়েছে। অথচ আমাদের যুক্ত নদী কমিশন বাংলাদেশ ভারত অভিন্ন নদীগুলোর উপাত্তের একটি ভান্ডার হতে পারে। কিন্তু উপাত্ত যুক্ত নদী কমিশনের কাছে থাকলেই কি সেটা সবার কাছে উন্মুক্ত হবে? এই প্রসংগে নিজের কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে এই লেখা। দেশের এই মূহুর্তে এই নিবন্ধ হাস্যকর মনে হতে পারে কারো কারো কাছে কিন্তু সিংহভাগ পাঠক লেখাটির গুরুত্ত্ব অনুধাবন করবেন আশা করি।
পাঁচ বছরের ব্লগ জীবনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি এ ধরনের লেখা বিপদজনক। মানুষ খুব সহজে ভুল বোঝে এবং ভুল ব্যাখ্যাও করে। তাই লেখার শুরুতে একটা বিষয় পরিষ্কার করে নিতে চাই। আমার এই লেখার উদ্দেশ্য নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটা সুস্পষ্ট বিষয় সম্পর্কে অবিহিত করা। কোন রকম সমালোচনা করা নয় অথবা প্রাইভেট-পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ককে উস্কে দেয়া নয়। এছাড়া কোন ধর্ম বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে হেয় করাও নয়।
[justify]ছোটবেলায় প্রাইমারী স্কুলে পড়তে আমার দুইজন বন্ধু ছিল। একজনের নাম দীপক আর আরেকজনের নাম ছিল রত্না। ওরা ”হিন্দু” ছিল তখন জানতাম, কিন্তু ”হিন্দু” মানে আসলে যে কি তখন বুঝতাম না। কিভাবে জানতাম ওরা যে হিন্দু সেটা আজ আর মনে নেই, হয়ত কারো কাছ থেকে শুনে থাকব, কিন্তু তখন হিন্দু শব্দটা ছিল অনেকটা নামের মতই, কোন বিশেষ অর্থবহ কিছু ছিলনা। আমার বাসায় কখনও শেখানো হয়নি আসলে হিন্দু মানে কি অথবা আমার নিজের ধর্মের মানে কি!
ফেব্রুয়ারী মাসটা কেটেছে কেমন একটা ঘোর লাগা আনন্দে, উত্তেজনায়। আমরা পেরেছি। আমরা উচ্চকন্ঠে সবাই মিলে নিজেদের দাবী প্রকাশ করেছি। আমি থেকে প্রত্যেকটা মানুষ আমরা হয়ে গিয়েছি। প্রতিদিন এই আমরা একটু একটু করে আরো বড় হয়েছি। রাস্তায়-ঘরে-ক্লাসে-ব্লগে-ফেসবুকে সবাই একই কথা বলেছি। সবাই মিলে একই স্বপ্ন দেখেছি। বিয়াল্লিশ বছরের কলঙ্কমুক্তির স্বপ্ন। সবার ভেতরে দেখেছি অন্যরকম এক আত্মবিশ্বাস, প্রত্যয়ে দেখেছি
যদি তুমি বড়োসড় আকারে মিথ্যা বলতে পারো এবং সেটা চালিয়ে যেতে পারো, শেষে এসে জনতা তোমার কথা বিশ্বাস করতে শুরু করবে।
একদিনের জার্মান চ্যাঞ্চেলর এবং হিটলারের প্রচারমন্ত্রী পল জোসেফ গোয়েবলসের বলা এই কথাটি আজ অবধি সত্যি হিসেবে দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক গণজাগরন নিয়ে আমাদের সাইবার প্রচারজগতে গোয়েবলসের কথার সত্যতা চোখে পড়ার মত।
একটা বিষয় নিশ্চয় সবার মনে আছে, স্কুল কলেজে বাংলা বইয়ের এক একটা গল্প কবিতার পর কিছু শব্দার্থ দেয়া থাকত। এদের মধ্যে কয়েকটা শব্দ হত এতটাই দূর্বোধ্য যে, শব্দার্থ দেয়া না থাকলে গল্প কবিতার আর কিছু বোঝা যেত না ।
শাহবাগের গণজাগরণের হলদে সাংবাদিকতার ঝান্ডাধারি আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাবির ২৫০ শিক্ষক এক বিবৃতি দিয়েছেন বলে দৈনিক সংগ্রামে এক খবর প্রকাশিত হয়েছে।
পত্রিকায় বিবৃতি আসে বিবৃতি যায়। অনেক সময় মূল কথা সেখানে থাকে না বা থাকলেও জায়গার সীমাবদ্ধতার কারণে বিবৃতির অনেক লেখা প্রকাশিত হয় না। তো ঢাবির আড়াইশো' শিক্ষক যেহেতু কোন বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন সেহেতু আমার আগ্রহ ছিলো কোন সে আড়াইশো' শিক্ষক যারা এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন এবং তারা ঠিক কী বলেছেন। ফেইসবুকে হদিস জানাতেই এক সৃহৃদ প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি মেইল করে দিলেন।