নগর উন্নয়ন ও পরিকল্পনা নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের কাছে Urban Sprawl ও Smart Growth শব্দ দুটি খুবই পরিচিত। খুব সোজা কথায় Urban Sprawl বলতে আমরা বুঝি, অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে প্রান্ত সংলগ্ন এলাকায় নগরের বিস্তার ও নগরায়ন। বিশ্বের অধিকাংশ নগরই গড়ে উঠেছে ও বিস্তার লাভ করেছে অপরিকল্পিতভাবে। সময়ের সাথে সাথে এভাবে গড়ে ওঠা শহরগুলো যখন তাদের ধারণ ক্ষমতার মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে থাকে তখন সামাজিক সুযোগ সুবিধা
হবেন নাকি সকাল বেলার পাখি? সবার আগে কুসুম বাগে ডেকে উঠবেন?
মাত্র কিছুদিন আগেই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি'র উপর সাড়ে সাত শতাংশ হারে ভ্যাট নির্ধারনকে কেন্দ্র করে দেশে বেশ উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। ছাত্রদের আন্দোলন ও দাবীর মুখে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের বার্ষিক বাজেট প্রতিবছরই হু হু করে বাড়ছে। বাড়তি টাকার ব্যবস্থা করতে তাই সরকারকে নানান পদক্ষেপ নিতে হয় যার মাঝে ভ্যাট নির্ধারন অন্যতম। তবে নিত্য নতুন অদ্ভুত খাতে ভ্যাট আরোপ করার আগে যেগুলো আগে থেকেই প্রচলিত সেখানে নজরদারি বোধহয় আরেকটু বাড়ানো দরকার। সেই প্রসঙ্গেই দুটি ঘটনা তুলে ধরতে যাচ্ছি।
রেনেল পুনরায় কাজ শুরু করলেন। ৬৭-র গোড়ায় সুখবর এলো,কোম্পানি সার্ভেয়র জেনারেল অব বেঙ্গল পদ সৃষ্টি করে তাঁকে নিযুক্তি দিয়েছে। রেনেলের বয়েস তখন পঁচিশ। মাইনে বাড়লো,তার সঙ্গে পাওয়া গেল চারজন সহকারী সার্ভেয়ার। ভগ্নস্বাস্থ্যের দরুন অসুবিধা হচ্ছিল,ডায়েরি থেকে দেখা যায়,পরিশ্রমসাধ্য কাজগুলির জন্য তিনি সহকারী রিচার্ডসের ওপর ক্রমশ বেশি ভরসা করছেন। ১৭৭১-এ ফিল্ডসার্ভে শেষ হলো,হাজার হাজার স্কেচম্যাপ নিয়ে রেনেল ঢা
অফিসে যাওয়া আসার জন্য প্রতিদিন আমাকে কয়েক ঘণ্টার মতো রাস্তায় সময় কাটাতে হয়। মানে রাস্তা কিংবা ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে হয়, রাস্তা পার হতে হয়, ওভারব্রিজে উঠতে হয়, বাসে বসে থাকতে হয়। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সবসময় চেষ্টা করি, যেখানে ওভারব্রিজ আছে সেখানে ব্রিজ দিয়েই রাস্তা পার হতে; ব্রিজ না থাকলে ট্র্যাফিক পুলিশ গাড়ী থামানোর পর রাস্তা পার হতে। আর রাস্তায় নেমে অসচেতন নাগরিকদের কারণে অনেক সময়ই দেখেছি ভয়ংকর ক
লুই কান বলেছিলেন, “শহর সবসময় অপরিকল্পিত ভাবেই গড়ে ওঠে – তবে আমরা একটা শহরকে নগরে রূপান্তরিত করতে পারি।” এর মানে কিন্তু এই নয় যে অপরিকল্পিতভাবে নগর গড়ে ওঠে না। অপরিকল্পিতভাবেও নগর গড়ে উঠতে পারে। তবে তা শেষ পর্যন্ত ঠিক কতটা বাসযোগ্য থাকে সেটাই প্রশ্ন।
আমি কিন্তু উড়তে পারি!
গতকাল সন্ধ্যায় ট্রাস্ট পরিবহনের বাসে মিরপুর যাচ্ছিলাম। এয়ারপোর্ট রোড এবং কচুক্ষেত রোডের সংযোগস্থলে বাসগুলো সুযোগ পেলেই ইউটার্ণ নিয়ে অনেক খানি রাস্তা কমিয়ে ফেলে। নয়তো বনানী ১১ থেকে বাঁক নিয়ে সেই মহাখালি ফ্লাই-ওভারের নিচ থেকে ঘুরে এসে কচুক্ষেতের রাস্তায় ঢুকতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী সেটাই করার কথা। গতকাল বাসটা সুযোগ পাওয়ার পরেও যখন ট্রাফিক আইন না ভেঙ্গে সেই মহাখালি দিয়ে ঘুরিয়ে আনতে গেল তখন বাসের প্রতিটা যাত্রী ক্ষেপে উঠলো। এই পরিস্থিতিতে প্রথম আক্রমন করা হয় বাস ড্রাইভার আর কন্ডাক্টরকে। বাংলা ভাষায় সর্বনামের তিনটি রূপ থাকায় মানুষের জন্য রাগ বা ঘৃণা প্রকাশের কাজটি বেশ সহজ। প্রথমে আমরা বাস ড্রাইভারকে আপনি আর কন্ডাক্টরকে তুমি দিয়ে শুরু করি এবং এক সময় রাগ আর ক্ষোভের মাত্রা বাড়াতে দুজন'কেই তুই বলা শুরু করি।
সপ্তম অধ্যায়
ফাগুন মাসে প্রকৃতি সাজে সবুজের গয়নায়। আমগাছে থোকা থোকা মুকুল, বাতাবি গাছের শাখায় কচি পাতা আর সাদা ফুলের মেলা। মন পাগল করা গন্ধ সে ফুলের। পিটালি গাছে এসেছে ছোট ছোট গুটি। কুল গাছে টসটসে পাকা কুল। কাঠ বিড়ালি আর পাখিদের আনাগোনা। বসন্তের স্বচ্ছ বাতাস ধোয়া শুভদিনে সবেদ আলির ঘর আলো করে এল ফুটফুটে এক ছেলে সন্তান। বংশের প্রদীপ। বেড়ে গেছে হুরমতির কদর। ছমিরন বিবি ভয়ে ভয়ে থাকে কখন কোন অপরাধ ধরা পড়ে।
সদ্যজাত বংশধরকে নিয়েও আহ্লাদের অন্ত নেই সবেদ আর হুরমতির। ছেলেটা একটু চোখ ফুলিয়ে কাঁদতে আরম্ভ করলে ব্যস্ত হয়ে পড়ে সমিরন। পিঁপড়েয় কামড়াল, মাছিতে জ্বালাতন করছেথ-- ছমিরনকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হয়। পাখা দিয়ে বাতাস করতে হয়। সামান্য শব্দে কেঁপে ওঠে ছোট্ট বুকটা-- সেদিকেও খেয়াল রাখতে হয় ছমিরনকে, ঠোঁট ফোলানোর আগেই বুকে থাবা দিয়ে নিবৃত করতে হয়।
গতকাল রাতে রকমারিতে বিভিন্ন লেখকদের বইয়ের তালিকা ঘাঁটছিলাম আর ঠিক করছিলাম যে কী কী বই কেনা যায় বইমেলা থেকে। কিন্তু লেখক বাছাই করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিলাম কারণ বাংলাদেশে আমার প্রিয় লেখকদের তালিকাটা খুব বেশী বড় না। আর তাঁদের বই আগেই কেনা হয়ে গেছে। হঠাৎ মনে এল একজনের নাম। তার একটা বই আমি বড় ভাইকে দিয়ে কিনিয়েছিলাম বইমেলা থেকে বছর ছয়েক আগে। বইয়ের নাম “বিবর্তনের পথ ধরে”। লেখিকার নাম বন্যা আহমেদ। বাং