সচলায়তনে সুবোধ অবোধ নামের আড়ালে লেখে রাব্বি নামের ছেলেটা। সেই সাথে একটা ব্যান্ডের সাথে গিটারিস্ট হিসেবে গিটার বাজায়। গত ডিসেম্বর বাংলাদেশ যাবার পর দেখা করবে জানালো। ঢাকার বাইরের এক হাসপাতালে ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে রোগী দেখে ফেরার পথে একদিন আমার বাসার কাছে চলে আসলো। একটা খাবার দোকানে বসে ওদের নতুন গান গুলো শোনালো। ওদের তিনটে গান আগেই শোনা ছিলো। আরো কিছু নতুন গান শুনলাম সেদিন। ওদের গানগুলোর ভক্ত আমি শুরু থেকেই।
[justify]১।
বাসায় ফিরে রাতে অনলাইনে পত্রিকা পড়ছিলাম। আমার এখানে রাত হলেও দেশে এখন ভোর সকাল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পত্রিকায় এত বেশি নৃশংসতা যে, দেশটাকে ইদানিং যুদ্ধক্ষেত্র মনে হয়। অমানুষের দল আজকে আবার একটি বাসে পেট্রল বোমা মেরেছে। এবারের ঘটনা যাত্রাবাড়ীতে। সে বোমায় ২৮ জন আগুনে পুড়ে গেছে। তাদের মুখ, শরীরের চামড়া, শ্বাসনালী ঝলসে গেছে। পত্রিকার পাতায় বীভৎস ছবি গুলোর বিভিন্ন জায়গা ঝাপসা করে দেয়া আছে। তবু ছবি গুলোর দিকে তাকাতে পাড়ি না। আগুনে পুড়িয়ে দেয়া মানুষের ছবি দেখার মত সাহস আমার নেই। তাই ছবি গুলো এড়িয়ে কোন রকমে খবরটা শুধু পড়ি। যাত্রাবাড়ী নামটা শুনে বুকটা দুরুদুরু করে কাঁপছিলো। এখানে আমার ভাই-বোন-বন্ধু-আত্মীয়-স্বজনরা থাকে। এই এলাকার রাস্তা দিয়ে তাদের প্রতিদিন আসা যাওয়া.....
এই খবরটি দৈনিক বাংলায় এসেছিল ১৯৭২ সালের দোসরা জানুয়ারী। বিজয়ের পরপর জেনারেল রাও ফরমান আলীর ডেস্ক ডায়রী সরকারের লোকজনের হাতে আসে। রাও ফরমান আলী হল সেই পাকিস্তানী সামরিক কর্মকর্তা যে শহীদ বুদ্ধিজীবি হত্যার পরিকল্পনা সাজিয়েছিল। বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা যে সাময়িকভাবে কিছুটা সফল হয়েছে তার প্রমাণ হল দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক প্রথম আলোর [url=http://www.prothom-alo.com/opinion/article/4294
আমি একটু একটু করে স্বাধীনতার পর পর আমাদের নেতাদের দেয়া বক্তৃতাগুলো পড়ার চেষ্টা করছি। এই বক্তৃতাগুলো থেকে আমরা জানতে পারব কি করে ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এই জিনিসগুলো মুক্তিযুদ্ধের পর পর বাংলাদেশে বোঝার, বোঝানোর ও চর্চার চেষ্টা করা হচ্ছিল। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই ধারণাগুলো একটি সর্বদলীয় কমিটির মাধ্যমে আমাদের বাহাত্তরের সংবিধানে জায়গা করে নেয়। বক্তৃতাগুলো থেকে আমরা বুঝতে পার
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয়ের পর থেকেই যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতার করা শুরু হয়। এই গ্রেফতারের ঘটনাগুলো নিয়মিত পত্রিকায় আসত। আমি ঠিক করেছি এগুলো যতটুকু পারি একত্র করব। দেখা যাক কতদূর যায়। একটি ব্যাপার মনে রাখতে হবে যতজনের খবর আসবে দালালের সংখ্যা তত নাও হতে পারে। কারণ অনেকের খবরই ইংরেজী ও বাংলা দুই ভাষার পত্রিকাতেই আসতে পারে।
১. বি. আর. মজুমদার - জানুয়ারী ১, ১৯৭২, দৈনিক বাংলা
এই লেখাটি মূলত: আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণার কিছু দলিলের স্ক্রিনশটের ডকুমেন্টেশন। স্বাধীনতা ঘোষণা নিয়ে বিস্তারিত জানতে হলে এই লেখাগুলো পড়তে হবে।
প্রায় পাঁচ বছর পর ডিসেম্বর মাসটা ঢাকা শহরে কাটাচ্ছি। ৩০ বছরের জীবনের ২৫টা বছরই কেটেছে ঢাকায়। গত পাঁচ বছরের প্রবাস জীবনে এক-দু’বার যা দেশে আসা হয়েছে তা হয় বছরের মাঝামাঝি, অথবা যীশুখ্রীষ্টের জন্মদিনের পরে। বিজয় দিবসে নগরীর সাজ সাজ রবের ব্যাপারটাই প্রায় ভুলতে বসেছিলাম। এবার তাই সদ্য কেনা স্মার্টফোন হাতে বেশ তৈরি হয়েই বেড়িয়েছি প্রতিদিন, স্মৃতির খাতা ঝালাই করব বলে। কত কিছু যে পাল্টেছে, কত কিছু আবার ঠিক
[justify]
সকালের ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন চারপাশ, দুরবিন চোখে দিয়েও সেতুর ওপারের ঢাকা শহরকে এখান থেকে দেখা যাচ্ছে না। জেনারেল নাগরার মুখে তাই সামান্য বিরক্তির ভাব, সেটা দেখে কেউ ধারণা করতে পারবে না এই মুহূর্তে তার বুকের ভেতর কেমন সব অনুভূতির উথালপাতাল।
আমাদের দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতক রাজনীতিবিদদের একজন থন্দকার মোশতাক আহমদ বেশ কয়েকবার পদত্যাগ করেছিলেন। জন্মযুদ্ধ '৭১ এ একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী না হতে পেরে তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। এর বাইরে বঙ্গবন্ধু আর জাতীয় চার নেতার লাশের উপর দিয়ে হেঁটে গিয়ে তিনি একবার অল্প সময়ের জন্য প্রেস
১৯৬৭ সালে তোলা মন্দিরের একটি রঙ্গিন ছবিঃ বাংলাদেশ ওল্ড ফটো আর্কাইভ নামক ফেসবুক গ্রুপ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে