৪র্থ পর্ব
৭০ এর নির্বাচনের ভূমিকা
১৯৬৯ সালের অক্টোবর মাসের মাঝামাঝিতে আমি মেজর জেনারেল মুজাফফরউদ্দীন এর স্থলাভিষিক্ত হবার জন্য ঢাকায় রওনা হলাম। আমার এই নতুন পদের সাথে আমাকে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান অঞ্চলের দায়িত্বও গ্রহণ করতে হবে।
আমার ছোটছেলেটা (বয়স ৪ মাস) ক্লাবফুটেড (এর বাংলা জানিনা)। চিকিৎসা চলছে। প্রতি শুক্রবার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রীনরোডে নিয়ে যাই। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের কথা জানি না, শুক্রবারের সকালে বোধহয় রাস্তাঘাট একটু ফাঁকা থাকে। সকাল ৯টা- সোয়া ৯টার দিকে রওনা দিলে মোটামুটি ৪৫ মিনিটে পৌঁছে যাই। গুলশান গোল চত্বর, সাতরাস্তা, সোনারগাঁও এর মোড় আর পান্থপথ-গ্রীনরোড মোড় ছাড়া জ্যাম পাই না সাধারনত:।
১ম পর্ব
http://www.sachalayatan.com/murtala31/45657
২ য় পর্ব
http://www.sachalayatan.com/murtala31/45710
৩য় পর্ব
সাইকেল চালাতে চালাতে অনেক কিছু মাথায় আসে। দুনিয়ার সবকিছু মনে হয়...অনেক বেশি ...
"উল্টোপুরাণ
প্রমোশন হয়েছে।আগের তিন বারের মত এবারও হলো।
কাজ করবার পরিবেশ ভাল। সবাই সবসময় সহায়তা করে। বিধবা হিসেবে সবাই অন্য চোখে দেখে না।
উর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রতিদিন প্রশংসা করেন, উৎসাহ দেয়।
আমার আত্মহত্যা করবার ইচ্ছা হয় না। জীবন যখন এত ভাল, কারই বা ইচ্ছা হয় বলুন?
অফিসের মেসেঞ্জার ইসলাম ভাইকে যখনি ব্ল্যাক কফি আনতে বলি একবারে আনতে পারেনা। প্রথমবারে দুধ-চিনি মিশিয়ে আনবে, বলবে 'অহ! ভুইলা গেছি', অথবা শুধু চিনি মিশিয়ে বলবে 'খাইয়া ফালান, এরম তিতা জিনিস মাইনষে খায়।' আজ সকালেও তাই হয়েছে। গলার ভেতর থেকে তিতকূটে একটা স্বাদ মুখকে বিস্বাদ করে রেখেছে। অফিসে কাজের চাপও খুব বেশি। তাই বিষে বিষক্ষয় পদ্ধতি। ঘনকালো তেতো কফির মগে চুমুক দিতে দিতে কাজ করেছি। সমস্ত অনুভূতিকে ভোঁতা করার একটা ব্যর্থ চেষ্টায়।
ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে সামার ভ্যাকেশন চলছে, সকালে যানজট একটু কম।
কল্পনা করুন একদিন ঘুম ভেঙে আবিষ্কার করলেন আপনি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছেন না, চলতে পারছেন না। পরীক্ষা নীরিক্ষা করে জানা গেল আপনি চিরতরে চলনক্ষমতা হারিয়েছেন। বাকি জীবন হুইলচেয়ারে বসেই যাপন করতে হবে আপনাকে। চলাফেরার জন্য অন্য কারুর সহায়তা তো লাগবেই, সেই সাথে আপনার বিচরণের ক্ষেত্রও সীমিত হয়ে আসতে বাধ্য। খুব জরুরি না হলে পাবলিক প্লেসে যাওয়া বা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে এড়াতে চাওয়ার প্রবণতা শুরু
আমার খুব কাছের বন্ধুদের মিস করছি কয়েকদিন ধরে। কারো সাথেই আমার এখনকার পার্থিব দূরুত্ব হাজার কিলোমিটারের কম না। লেখাটা তাদের জন্য। আজকাল চিঠি লেখার চল উঠেই গেছে। তবু আমার মাঝে মাঝে চিঠি লিখতে ইচ্ছা হয়। সেই ইচ্ছাটাও একটা অনুঘটক।
কল্যাণীয়াসু,
সরকার বাংলাদেশের আবাসন খাতে বিনিয়োগের জন্য ভারতীয় কোম্পানি সাহারা গ্রুপের সাথে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে। এতে বলা হয়েছে- [b]“ঢাকার আশেপাশে কয়েকটি উপশহর গড়ে তোলার জন্য সরকার উপযুক্ত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান খুঁজছে এবং সাহারা পরিবার এ কাজ করার জন্য যোগ্য প্রতিষ্ঠান। কম আয়ের মানুষদের জন্য বাসস্থান নির্মাণে দুই পক্ষ একে অপরকে সহযোগি